a
ফাইল ছবি
বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে রাজধানীর দারুস সালাম থানার সামনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে।
২৮ জুলাই, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় দারুস সালাম থানা থেকে কয়েকশ গজ সামনে (দারুসসালাম জোন এসির কার্যালয়ের) এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দারুস সালাম থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসলাম গ্রুপ ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নাবিল খান গ্রুপের মধ্যে বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে দুগ্রুপের মধ্যে দখল-পাল্টাদখলের ঘটনা ঘটত।
আজ বিকালে দু-গ্রুপের ৫ শতাধিক সদস্য নিজেদের মধ্যে রামদা, হকিস্টিক, বাঁশ, লাঠি, ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। ঘটনাস্থালে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিতে সময় লাগে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মুরাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইট বালুর এ ব্যবসাটি আমার ছিল। স্বেচ্ছাসেব লীগের ইসলাম কিছু দিন আাগে আমার কাছ থেকে জোর করে এ ব্যবসা ছিনিয়ে নেয়। আজ আবার আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে।
দারুসসালাম থানার ফাঁড়ির ইনচার্জ শারিফুজ্জামান বলেন, আমরা পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ইটপাটকেল নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। চলেছে প্রায় ২০ মিনিটের মতো। হতাহতের সংখ্যা পরে বলতে পারব না। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। সূত্র: যুগান্তর
ভিডিও লিংক: capital/447600
সংগৃহীত ছবি
রাজশাহীতে বাস-মাইক্রোবাস ও লেগুনার ত্রিমুখী সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, দুপুরে রংপুর থেকে একটি হায়েস মাইক্রোবাস রাজশাহী আসছিল। পথে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে কাটাখালী থানার সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি হিউম্যান হলারকে (লেগুনা) ধাক্কা দেয়। এ সময় মাইক্রোবাসটির গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। ফলে গাড়ির ভেতরে সবাই দগ্ধ হয়ে মারা যায়।
তিনি আরও জানান, মাইক্রোবাসটির ভেতরে চারটি পরিবারের ১৩ জন ব্যক্তি ছিলেন। সবাই মারা গেছেন। এছাড়া বাসের আরও চারজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে রামেক হাসপাতালে নেয়ার পর পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে ১১ জনের লাশ বের করা হয়। আগুনে মাইক্রোবাস ও হিউম্যান হলারটিও (লেগুনা) পুড়ে গেছে। রামেক হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত-নিহতদের নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
ফাইল ছবি
রাজধানীর ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে ৪ কোটি টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের ওই শাখার ক্যাশ ইনচার্জসহ দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে বংশাল থানার ডিউটি অফিসার মাসুম বিল্লাহ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
মাসুম বিল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই টাকা উধাওয়ের বিষয়টি বুঝতে পারে ব্যাংকের ওই শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ক্যাশ ইনচার্জসহ দুই কর্মকর্তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। দুই ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন- রিফাত ও ইমরান। এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি।