a স্বেচ্ছাসেবক লীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ (ভিডিও)
ঢাকা বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

স্বেচ্ছাসেবক লীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ (ভিডিও)


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১, ০৯:৩৪
স্বেচ্ছাসেবক লীগের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ (ভিডিও)

ফাইল ছবি

বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে রাজধানীর দারুস সালাম থানার সামনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে। 

২৮ জুলাই, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় দারুস সালাম থানা থেকে কয়েকশ গজ সামনে (দারুসসালাম জোন এসির কার্যালয়ের) এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দারুস সালাম থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসলাম গ্রুপ ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নাবিল খান গ্রুপের মধ্যে বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে দুগ্রুপের মধ্যে দখল-পাল্টাদখলের ঘটনা ঘটত। 

আজ বিকালে দু-গ্রুপের ৫ শতাধিক সদস্য নিজেদের মধ্যে রামদা, হকিস্টিক, বাঁশ, লাঠি, ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়। ঘটনাস্থালে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিতে সময় লাগে।
   
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মুরাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইট বালুর এ ব্যবসাটি আমার ছিল। স্বেচ্ছাসেব লীগের ইসলাম কিছু দিন আাগে আমার কাছ থেকে জোর করে এ ব্যবসা ছিনিয়ে নেয়। আজ আবার আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। 

দারুসসালাম থানার ফাঁড়ির ইনচার্জ শারিফুজ্জামান বলেন, আমরা পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ইটপাটকেল নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। চলেছে প্রায় ২০ মিনিটের মতো। হতাহতের সংখ্যা পরে বলতে পারব না। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। সূত্র: যুগান্তর

ভিডিও লিংক: capital/447600

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিমানবন্দরে দুধের শিশুকে যে কারণে ফেলে পালিয়েছিলেন মা



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৫২
যে কারণে দুধের শিশুকে বিমানবন্দরে ফেলে পালিয়েছিলেন মা

গতকাল শুক্রবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিভাবকবিহীন অবস্থায় ৮ মাস বয়সের এক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার সকাল আটটার পরে বিমানবন্দরের ভেতরে একটি চেয়ারে বসে ফিডারে দুধ খাচ্ছিল শিশুটি। তখন বিষয়টি পুলিশর নজরে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির কোনো অভিভাবককে পায়নি বিমানবন্দরে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে জানান, রাত দুইটার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এক নারী যাত্রী আসেন এবং এরপর তিনি ৫ নম্বর বেল্ট থেকে মালামাল সংগ্রহ করেন। সেই নারীর সঙ্গে এই শিশুটি ছিল। শিশুটিকে নিয়ে সে নারী সকাল পর্যন্ত অ্যারাইভাল বেল্টের পাশেই শিশুটিকে নিয়ে বসে ছিলেন।

মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সকাল পর্যন্ত ওই নারী বিমানবন্দরেই ছিলেন। আটাটার দিকে শিশুটিকে ফেলে তিনি চলে যান। এরপর আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করি।’

এদিকে এ বিষয়ে ওই শিশুটির মায়ের সাথে আসা এক সহযাত্রী বলেন, ‘আমি চারটার দিকে নামছি। তখন থেকে ঐ বাচ্চাকে ওখানে ঘুমিয়ে আছে। আর ওর মা ওখানে দাঁড়ায়ে আছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘শিশুর মা তাকে বলেছেন, আপা সৌদি আরবে আমি বিয়ে করছি। আমি বলছি আপনার এটা করা উচিত হয়নি। বলতে-বলতে কেঁদে দিছে।’

এদিকে পুলিশের ধারণা হয়তো লোকলজ্জার ভয়ে শিশুটিকে সঙ্গে না নিয়ে এয়ারপোর্টে রেখেই চলে যান সে নারী।

এদিকে যে নারী এই শিশুটিকে বিমানবন্দরে রেখে চলে গেছেন তাকে এরইমধ্যে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। শিশুটি এখন পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।

এ বিষয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, এখন শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘দত্তক নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যাচাই-বাছাই করে ভালো একটি জায়গায় দত্তক দেওয়ার কথা আমরা চিন্তা করছি।’ পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে সে নারীর নাম, ঠিকানা এবং অবস্থান জানা গেছে। কিন্তু সেটি প্রকাশ করা হবে না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হাসপাতালগুলোতে ভরে যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগী


স্বাস্থ্য ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৪১
হাসপাতালগুলোতে ভরে যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগী

ফাইল ছবি

অন্য সব বছরে অক্টোবর মাস আসলে ডেঙ্গুর দাপট কমে এলেও এ বছর উল্টো বাড়ছে। মশারিতে ঘেরা ডেঙ্গু রোগীতে ভরে উঠছে হাসপাতালগুলো। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার তিন দিন ধরে নিম্নমুখী রয়েছে।

গতকাল সারা দেশে ২৭৮ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে গত এক দিনেই ৬৭৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রাণ গেছে চারজনের। আর মোট ভর্তি ছিলেন ২ হাজার ৪৯৩ জন, যা হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীর প্রায় ৯ গুণ।

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বাংলাদেশ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত সেপ্টেম্বরের পর ডেঙ্গু মশার উপদ্রব কমে আসে। এ জন্য আমরা আগস্ট-সেপ্টেম্বরে মশা নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানোর পরামর্শ দিয়ে থাকি। এবার দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় অক্টোবরেও ডেঙ্গুর দাপট বাড়ছে। এটা পুরো মাসই বাড়বে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হটস্পট ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। আমরা রাজধানীর হাসপাতালে আসা ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন হটস্পট চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে ১ নম্বরে আছে মিরপুর, ২ নম্বরে উত্তরা, ৩ নম্বরে মুগদা ও ৪ নম্বরে আছে ধানমন্ডি। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, বাড্ডা ও মোহাম্মদপুর এলাকায়ও ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এসব স্থান থেকে সর্বাধিক রোগী হাসপাতালে আসছেন। হটস্পটগুলোতে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালিয়ে উড়ন্ত এডিস মশা মেরে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে জনগণকেও সচেতন ও ডেঙ্গুবিরোধী কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল। বছরের প্রথম দিনে ৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জানুয়ারিতে ভর্তি হন মোট ১২৬ জন। তবে ১২৫ জন সুস্থ হওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি ভর্তি ছিলেন ১ জন। এপ্রিল পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই তিন মাসে হাসপাতালে মোট ভর্তি হন ৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী।

মে মাস থেকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। মে মাসে ১৭২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জুনে ৭৫০ জন, জুলাইয়ে ১ হাজার ৬৩৬ জন, আগস্টে ৩ হাজার ৬১০ জন, সেপ্টেম্বরে ১০ হাজার ৩৭০ জন ও অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনেই ৫ হাজার ১৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চলতি বছর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ২১ জুন। গতকাল পর্যন্ত মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৭৪ জন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - সারাদেশ