a
ফাইল ছবি
বেশ কিছু চমকপ্রদ পরিবর্তন নিয়ে ক্রিকেটারদের সাথে কেন্দ্রীয় চুক্তি সম্পন্ন করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় চুক্তি করেছিল সেটি ছিল টেস্ট ও সীমিত ওভারের ফরম্যাটের জন্য আলাদা। এবার তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা চুক্তি করেছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। বিশেষ কিছু জটিলতার জন্য আটকে ছিল এই প্রক্রিয়াটি।
অবশেষে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে নতুন চুক্তিতে কোন ফরম্যাটে কে থাকছেন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এবার চুক্তিতে আছেন সর্বমোট ২৪ জন ক্রিকেটার। যেখানে ৩ ফরম্যাটে আছেন ৫ ক্রিকেটার। টেস্টের জন্য বিবেচিত হয়েছেন ১৪, ওয়ানডেতে আছেন ১২ জন এবং টি-টোয়েন্টিতে রাখা হয়েছে ১৫ জনকে।
চলতি বছরের মে থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে এই চুক্তির মেয়াদ। আগের কেদ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নাঈম হাসান। তবে এবার নতুন চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন- নবাগত ক্রিকেটার শামীম পাটোয়ারী, নাসুম আহমেদ, কিপার নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, মোহাম্মদ সাইফ হাসান ও শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও চুক্তিতে ফিরেছেন তাসকিন ও টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। টেস্টে নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ পড়েছেন তামিম ইকবাল।
তিন ফরম্যাটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সুযোগ পাওয়া পাঁচ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস ও শরিফুল।
টেস্ট দলের চুক্তিতে থাকা ১৪ ক্রিকেটার- মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, আবু জায়েদ রাহী, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান ও এবাদত হোসেন।
ওয়ানডে দলের চুক্তিতে থাকা ১২ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
টি২০ তে আছেঃ মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, শেখ মাহাদি হাসান, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ এবং শামীম পাটোয়ারী।
ফাইল ছবি
ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ১ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। রোববার (৪ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসানের স্পিন ভেল্কিতে ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী মিরাজের লড়াকু ব্যাটে ৪ ওভার হাতে রেখে ১ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
১৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দিপক চাহারের বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল শান্ত। এরপর ক্রিজে এসে দ্রতই আউট হয়ে যান এনামুল বিজয়। দলীয় ২৬ রানে ২৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি।
বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। ওপেনিংয়ে নামা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামাল দেন সাকিব। সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন। তবে দলীয় ৭৪ রানে ৬৩ বলে ৪০ রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন।
লিটনের বিদায়ের মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব। তবে দলীয় ৯৫ রানে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব। ৩৮ বলে ২৯ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন তিনি। দু'জন মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩৩ রান। তবে এরপরেই সাজঘরে ফিরে যান এই দুই ব্যাটার। ইনিংসের ৩৫তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১২৮ রানে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। আর ৩৬তম ওভারের প্রথম বলেই সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ দরেন মুশফিক।
এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর ধুঁকতে থাকে বাংলাদশ। ক্রিজে আসেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী মিরাজ। তবে দ্রুতই আউট হয়ে যান আফিফ। দলীয় ১৩৪ রানে ১২ বলে মাত্র ৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে এসেই ফিরে যান এবাদত। তিন বল খেলে রানের খাতা না খুলেই আউট হন তিনি। ১৩৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
ইবাদতের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন হাসান মাহমুদ। এসেই আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। দুই বলে খেলে শূন্য হাতে ফিরে যান তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেন মেহেদী মিরাজ। মোস্তাফিজকে এক পাশে রেখে একাই ব্যাটিং চালিয়ে যান মেহেদী। তার ব্যাটিংয়ে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ।
শেষ ৬ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান প্রয়োজন হয় বাংলাদেশের। ইনিংসের ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে চার মারেন মোস্তাফিজ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে মেহেদীকে স্ট্রাইক দেন তিনি। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখেন মেহেদী। ইনিংসের ৪৬তম ওভারের প্রথম বলেই চার মারেন মিরাজ। ফলে জয়ের জন্য আর মাত্র ৪ রান প্রয়োজন হয় বাংলাদেশের।
ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বল ডট দিয়ে চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নেন তিনি। ওভারের চতুর্থ বল নো করেন দিপক চাহার। ফ্রি হিট বল ডট দেন মোস্তাফিজ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ টাই করেন মোস্তাফিজ। ওভারের শেষ বলে চার মেরে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মেহেদী মিরাজ। মোস্তাফিজ ১১ বলে ১০ ও মেহেদী মিরাজ ৩৯ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ফটো: মাশরাফি
বিসিবিকে নিয়ে সাকিবের বক্তব্যে এমনিতেই উত্তাল ময়দান। নতুন করে মাশরাফির দেয়া একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য যেন আগুনে ঘি ঢালছে। এবার টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার ব্যাপারে মুখ খুলছেন তিনি।
মাশরাফি বলেন, ২০১১ বিশ্বকাপের আগে ডাক্তার ক্লিয়ারেন্স দেয়ার পরও আমাকে দলে নেয়া হয়নি। ২০১৭ সালে যখন অবসরে গেলাম তখন আমার পাশে কেউ ছিল না, দেশের মানুষ ছাড়া। আমি যখন শ্রীলঙ্কায় হোটেলে যাই, আমি তখনও ট্রাভেল স্যুটও খুলিনি তার আগেই আমার সঙ্গে বৈঠকে বসে।
মাশরাফি আরো বলেন, ওই বৈঠকের পরই আমি ভাবি যে, কিছু একটা গোলমাল আছে। কেন? টি-টোয়েন্টি সিরিজটা যখন আসলো তখন ভাবলাম, সবার বিপরীতে থাকার প্রয়োজন নাই। অবস্থা এমন হয়েছিল, তাই অবসর নিতে বাধ্য হয়েছিলাম ওই সময়ে।