a
ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। যেহেতু একটি অভিযোগ এসেছে, তাকে আমরা আর ডিবিতে রাখছি না। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর একটি তদন্ত করবে। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে কি না, এটা পরের বিষয়।
এর আগে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠার কথা এরই মধ্যে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে তুরাগতীরে বহুল আলোচিত বোট ক্লাব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চলার সময় নায়িকা পরীমণির সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
র্যাবের হাতে পরীমণি গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। পরীমণির গাড়ি চালক নাজির হোসেন গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
এছাড়া এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরীমণি-সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রাজারবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত একজন প্রথমে নামেন। এরপর কোলে একটি কুকুরসহ সাদা রংয়ের জামা পরে নামেন নায়িকা পরীমণি।
বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের মামলা ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে ডিবি যে কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ডিবির (উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
ডাকাত বানিয়েই মেজর সিনহাকে হত্যার জন্য আসা নুরুল আমিন ও আয়াজ উদ্দিনকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দশম সাক্ষি হাফেজ জহিরুল ইসলামের আদালতকে দেওয়া জবানবন্দি থেকে জানা গেছে এমন তথ্য।
হাফেজ জহিরুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা জামে মসজিদের ইমাম আমি। ঘটনার দিন রাতে উত্তর মারিশবনিয়া ওমরুল কুরান জামে মসজিদে এশার আযান দিচ্ছিল। আমিও মাইকে এশার আযান শুরু করি। আমার আযান শেষ হয়। এসময় উত্তর মারিশ বনিয়া ওমরুল কুরআন জামে মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছিল পাহাড়ে আলো দেখা যায়, এলাকার মানুষ সতর্ক থাকবেন ওরা ডাকাত।
আমি নিজের কানে শুনতে পাই মাইকিং করা ব্যক্তি নিজামুদ্দিন। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওই মসজিদের ইমাম সাহেব মাওলানা মুক্তারকে ফোন করি আমি নিশ্চিত হয়ে জানতে চাই এ মাইকিং করছে কে? তখন আমি নিশ্চিত হই ওই ব্যক্তি নিজামুদ্দিন। এরপর আমরা আমাদের মসজিদের এশারের ফরজ নামাজের আগের সুন্নত আদায় করি এবং আমার ইমামতিতে এশারের ফরজ নামাজ আদায় করি। আমরা মোনাজাত করে ফেলি। আমাদের মসজিদে আমার পূর্বে মাওলানা হোসেন আহমেদ স্থানীয় একজন ইমাম ছিলেন। আমারে বলেন ভাগিনা উত্তর মারিশবনিয়া মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং করে দেওয়া হয়েছে। তুমিও জলদি মাইকিং করে দাও। আমি উত্তরে বলি মাইকিং করতে হবে না।
উনারা সেনাবাহিনীর লোক আমি নিজে পাহাড়ে যেতে দেখেছি। ওই সময় আমি সেনাবাহিনীর পোশাকের মত পরিহিত লোকটার বর্ণনা দেই। ওনার সাথে আরেকজন আছে এটাও বলি। নামাজ শেষে চায়ের দোকানে গেলে আমার মামা মোহাম্মদ আলি বলেন ভাগিনা উত্তর মারিশবনিয়া মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং করে দেওয়া হয়েছে, তুমিও মাইকিং করে দাও। আমি বলি যে এরা সেনাবাহিনীর লোক মাইকিং করার কোন দরকার নেই।
এরপর আমি ডিসি রোড দিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হই। আমি মুইন্না পাহাড়ের কাছাকাছি গেলে দেখতে পাই দক্ষিণ দিক থেকে নুরুল আমিন ও আয়াস আসছে। নুরুল আমিন ও আয়াশ আমাকে বলছে যে, আমরা মাইকিং করে দিয়েছি তুমি কেন মাইকিং করো নাই। আমি বলি মাইকিং করার কোন প্রয়োজন নাই এরা সেনাবাহিনীর লোক। ওরা বলে এরা সেনাবাহিনীর লোক নয় এরা ডাকাত। এরপর তারা আমার হাত থেকে টর্চ লাইট নিয়ে মুইন্না পাহাড়ের দিকে টর্চ মারতে মারতে যায়।
আমি বলি পাহাড়ের দিকে লাইট মারিও না, ওরা সেনাবাহিনীর লোক। নুরুল আমিন ও আয়াজ আমাকে বলে এত রাত্রে কিসের সেনাবাহিনীর লোক এরা আব্দুল হাকিম ডাকাত, সেনাবাহিনীর ড্রেস পড়ে ডাকাতি করতে এসেছে। আয়াজ ও নুরুল আমিন আমাকে বলে যে শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ছিটখালি পর্যন্ত এসেছে। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ মুইন্না পাহাড়ে আসার জন্য বের হয়েছে।
নুরুল আমিন আমাকে বলেছে যে, ওসি প্রদীপ স্যার তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা দিবে ডাকাত মেরে ফেলার জন্য। তারা আরো বলেন ৫ লাখ থেকে দুই লাখ টাকা তোরে (তুই সম্ভোধন) দিমু আর দেড় লাখ টিয়া (টাকা) করি (করে) আমরা নিমু (নিব) আমি যেন ডাকাত বলে মাইকিং করে দেই। উত্তরে তাদেরকে আমি বলি ২ লাখ টাকা আমার কোন প্রয়োজন নেই আমি মাইকিং করবো না।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এসব সাক্ষ্য দেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তা নিশ্চিত করেছেন সিনহা হত্যা মামলার বিচারকাজের সাথে যুক্ত একাধিক আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী ফরিদুল আলম বলেন, আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দিয়েছেন ডা. রনধীর দেবনাথ ও ইমাম জহিরুল ইসলাম। মেজর সিনহাকে হত্যার জন্য ভিন্ন পরিকল্পনাও ছিল আসামিদের হাতে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ইমাম।
এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদি ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে আরো চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় দফায় প্রথম দিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় দশম সাক্ষিসহ আরো ৭৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
সরকারী কৌঁসুলী ফরিদুল বলেন, মামলায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৩ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছিলেন। গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনদিনে মামলার বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষি জবানবন্দি প্রদান করেন। দ্বিতীয় দফায় গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলায় ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় প্রথম দিনে আরো ৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।
মঙ্গলবার কাঠগড়ায় উপস্থিত আসামিরা হলেন, আদালতে উপস্থিত আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি: বুবলি
দীর্ঘদিনের আড়াল ভেঙে চলতি বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করেছেন চিত্রনায়িকা বুবলী। এখন পুরোদমে কাজ নিয়ে চিন্তা-ভাবনায় ডুবে আছেন। সর্বশেষ ‘চোখ’ শিরোনামের একটি সিনেমার শুটিং করেন এই নায়িকা। এটি পরিচালনা করছেন আসিফ ইকবাল জুয়েল। এ ছবির দৃশ্য ধারণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ছবিতে বুবলীর চরিত্রের নাম রেজনি। এতে তার সঙ্গী দুই নায়ক। নিরব ও রোশান।
এরপর খানিকটা বিরতি নিয়েছেন তিনি। বুবলী বলেন, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমি একটু থেমে থেমেই কাজ করি। যেন খুব কাজের চাপে পড়তে না হয়। আর পরবর্তী কাজেও যেন সমস্যা না হয়। একটু সময় নিলে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় বছরের শুরুতেই দর্শকদের সামনে এসেছি।
বুবলি জানান, বর্তমানে তিনি ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমাটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। এটি পরিচালনা করবেন তপু খান। এতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করবেন বুবলী। যেটির শুটিং আগামী মাসে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে থাকা শাকিব খান অন্য একটি সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। ওই সিনেমার শুটিং শেষ করেই তিনি ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমায় যোগ দেবেন বলে জানা যায়।
এই নায়িকা বলেন, যখন যেই চরিত্রটি করি সেটাই মনে হয় স্বপ্নের। নির্মাতা তপু খান খুবই ভালো আয়োজনে সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন। সব সময় আলাপ-আলোচনা করছেন। নতুন কিছু করার চিন্তা-ভাবনা করছেন। সিনেমাটিতে আমার যেই চরিত্র সেটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। তাই আলাদাভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই শুটিংয়ে নামবো। শুধু এই দুইটি সিনেমা নয় সামনে আরো বড় চমক আছে বলেও জানান বুবলী।
নতুন আরও কয়েকটি সিনেমার সঙ্গে কথা চলছে তার। সেগুলোতে চুক্তিবদ্ধ হলে জানাবেন এক এক করে। বুবলী বলেন, আসলে শতভাগ পাকাপাকি না হওয়া পর্যন্ত বলতে চাই না। তবে খুব ভালো কিছু ছবির প্রস্তাব রয়েছে। ব্যাটে বলে মিললে সেখানো অভিনয় করবো।