a
প্রতিকী ছবি
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নে এক প্রেমিকের বিরুদ্ধে ১২ বছরের পঞ্চম শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিকসহ আরো দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জাজিরা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের মজিদ ঢালী কান্দি এলাকার আজাহার মোল্লার ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান মোল্লা (২৬) ও তার সহযোগী লতিফ ঢালীর ছেলে শরীফ ঢালী (২৭)। অপর আসামি শুকুর মাদবরের ছেলে কাশেম মাদবরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মামলাসূত্রে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাইদুর রহমান মোল্লার সাথে ঐ ছাত্রীর আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার (১৪ মে) বিকেলে প্রেমিক সাইদুর রহমান ও তার বন্ধু শরীফ ঢালী ঐ ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কৌশলের স্থানীয় কাশেম মাদবরের বাড়িতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে প্রেমিক সাইদুর রহমান। পরে বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি সব বলে দিলে জাজিরা থানায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত (১৭ মে) জাজিরা থানা পুলিশ সাইদুর রহমান ও শরীফ ঢালীকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাজিরা থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মাহফুজুর রহমান বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় প্রেমিক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ফাইল ছবি
গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের ‘পৃষ্ঠপোষক’ বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা ভারতে আটক হয়েছেন।
শুক্রবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে আটক করে।
শনিবার ভারতীয় এক গণমাধ্যমে খবর পাওয়া যায় যে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে শুক্রবার কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছে, আটকের সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল এবং এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। তাকে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা করেছে বিএসএফ।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিজ অফিস করেছেন সোহেল রানা। এরপর থেকে আর থানায় আসেননি, রিপোর্টও দেননি, ছুটিও নেননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে খবর পাচ্ছি তিনি নেপাল-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন। তবে আমরা এখনো তা নিশ্চিত হতে পারিনি। বনানী থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা ও আটক সোহেল রানা একই ব্যক্তি কি না তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, এখন তিনি কোথায় আছেন সেই তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ভারত- নেপাল সীমান্তে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশি আটক হয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু আমরা বিএসএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাইনি। সোহেল রানা আটক হয়ে থাকলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হবে।
বিএসএফের হাতে আটক সোহেল রানা গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বোন ও ভগ্নিপতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’পরিচালনা করতেন। তাদের ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম
সম্প্রতি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের এর বরাত দিয়ে হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হক’কে নিয়ে একটি বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে এক বিবৃতি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি এ ধরণের কোন বিবৃতি দেননি। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ধরণের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে বা কারা এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তা আমার জানা নেই। তবে আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছি। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ যেন এরকম বিভ্রান্তিকর তথ্য যাচাই না করে মন্তব্য বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে সোমবার দুপরে বিবৃতিটি পোস্ট করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নাম দিয়ে একটি মিথ্যা বিবৃতি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছিল।