a
ফাইল ছবি
হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবাধে পিকআপ ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চুরি হচ্ছে। তবে মালিকরা থানায় জিডি করার পর কিছু উদ্ধার হয়, আবার কখনো উদ্ধার হয় না।
বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে গত বুধবার গভীর রাতে সদর থানার ওসি মোঃ গোলাম মর্তুজার নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধুলিয়াখাল-মিরপুর সড়কের পলিটেকনিক্যাল কলেজ এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে টাটা পিকআপ (রেজিঃ নং-সিলেট-ন-১১-২১৪৯) গাড়ি আটক করেন। এ সময় তিন চোরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হল, মাধবপুর উপজেলার সিদ্দিরপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের পুত্র উজ্জল মিয়া (২৫), গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার পুত্র সজল মিয়া (২২) ও তায়িজ মিয়ার পুত্র সিরাজুল ইসলাম মালু মিয়া (৩০)। জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির ঘটনা শিকার করে। এ ঘটনায় এসআই পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডে আনা হবে। তারা দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চোরাই গাড়ি অবাধে বিক্রি করছে। তাদের সাথে কারা জড়িত তাও সনাক্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে ব্যাকমেইল করে ও হুমকি ধমকি দিয়ে এক মহিলা তাকে বিয়ের করার জন্য তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। এমনকি তার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল সেই নারী।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে লাইভে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব অভিযোগ করেন কাউন্সিলর খোরশেদ। এ সময় তার পাশেই ছিলেন স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা। লাইভের শেষের দিকে স্ত্রীও কথা বলেন এবং রাষ্ট্রের কাছে তার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।
ফেসবুক লাইভে খোরশেদ জানান, সাইদা শিউলি নামে ওই নারী ভয়ংকর চরিত্রের অধিকারী। তার সঙ্গে প্রশাসন ও উচ্চ মহলের বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের উঠাবসা। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও তিনবার বিয়ে করেছেন। ওই নারীর দুটি সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এবং এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন।
খোরশেদ বলেন, ‘আমি করোনার শুরু থেকেই করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিয়েছি ও সম্মুখে থেকে লডাই করে দাফন সৎকার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। একপর্যায়ে গত মে মাসে আমি ও আমার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হই। তখন অক্সিজেনের অভাবে আমার স্ত্রীকে একপর্যায়ে আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়। তখন একটি সংবাদের নিচে ওই মহিলা কমেন্ট করে জানান, তিনি অক্সিজেন দিতে চান এবং আমার সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেন। তখন থেকেই তিনি আমার সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত হন এবং কথা বলা শুরু করেন।’
‘একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারি তার মতলব ভিন্ন। আমি তাকে তখন দূরে সরাতে চেষ্টা করি এবং বোঝাই। এরপর তার ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেকেও আমি এসব ঘটনা জানাই, তখন সে আমাকে বলে তার মা হয়তো দুষ্টুমি করছে, এরকম কিছু সম্ভব নয়। কাজ হবে না বুঝে পরবর্তীতে নভেম্বর-ডিসেম্বরে তার ভগ্নিপতিকে জানাই। এতে তিনি আরও ক্ষুব্ধ হন এবং আমার পেছনে উঠেপড়ে লাগেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্মানকে ভয় পাই বলেই এতদিন মুখ খুলিনি। আমি ধৈর্য ধরেছি। কারণ, আল্লাহ হয়তো একটি ফয়সালা করবেন। তবে দুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দুটি পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে এ সংক্রান্ত নিউজ হওয়ায় আমি নিজেই বিষয়টি সবার কাছে বলতে এসেছি। আমার পাশে থাকার জন্য আমি আমি সাংবাদিক, আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও প্রতিপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ।’
খোরশেদ বলেন, ‘২১ জানুয়ারির পর থেকে হোয়াটস অ্যাপে, ম্যাসেঞ্জারে, টেলিফোনে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন এবং হত্যার হুমকি জানাচ্ছেন ওই মহিলা। আমার পরিবারের সবাইকে মারাত্মক মানষিক অত্যাচার করছেন। সর্বশেষ আমার স্ত্রী ও সন্তান নকিবকে তুলে নিয়ে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেন। আমি এসব ঘটনায় শুরু থেকেই সরকারি সংশ্লিষ্ট সব দফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং অবহিত করেছি। বিভিন্ন ঘটনা ঘটার পর পরই তাদের অবহিত করা হয়।’
তনি বলেন, ‘আমার বাড়ি একটি মরা বাড়ি হয়ে গেছে। একের পর এক লাশ দাফন করি। আবার আমার বাচ্চাদের থেকে এসব কারণে লুকিয়ে থাকতে হয়। ওদের জীবনের ভয়ে আছি আমি। আমার ছেলে মেয়ে আমার চিন্তায়, পারিবারিক অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে গেছে। এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার কারণ কি? আমি এসব থেকে মুক্তি চাই আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষকে ব্যবহার করে তিনি আমাদের জ্বালাতন করতেন। এতদিন কষ্ট সহ্য করেছি, আর পারছি না। অনেকে লজ্জায় আমার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না। আপনাদের কাছে এ ঘটনার বিচার চাই। সাংবাদিক ভাইরা লেখনি ও প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে আমাকে এ অবস্থা থেকে বাঁচান। আমি এ নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই। আমি আমার পরিবারের কাছেও ক্ষমা চাই এসব ঘটনায়।’
কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের সচিবকে ফোন দিয়ে বলেছেন, আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে ঐ মহিলা হত্যা করবে। আমার সাথে তার সব কথার রেকর্ড আছে। সাংবাদিকসহ যে কেউ চাইলে আমরা এসব রেকর্ডিং দেব। আমি আমার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তা চাই রাষ্ট্রের কাছে।’
ফাইল ছবি: মোল্লা জালাল ও উদয় হাকিম
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল পুনরায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিং বিডির প্রধান সম্পাদক উদয় হাকিম। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংগঠনটির প্রীতিভোজ ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন শেষে মোল্লা জালাল ও উদয় হাকিমের নেতৃত্বে ৩৫ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সমিতির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক নুরুল হাসান খান। এ সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ ৬ জেলার নেতারা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। এ কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে। কমিটির প্রথম বৈঠক আগামী ১০ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক উদয় হাকিম।
কমিটির সহ-সভাপতিরা হলেন- আশরাফ আলী (টাঙ্গাইল), মহসিন আব্বাস (কিশোরগঞ্জ), নুরুল হাসান খান (নেত্রকোনা), পল্লব মাহমুদ (জামালপুর), রুশো হায়দার (শেরপুর)। যুগ্ম সম্পাদকরা হলেন- ইব্রাহিম খলিল খোকন (কিশোরগঞ্জ), মোহাম্মদ শাহজাদা (জামালপুর), শওকত আলী খান লিথো (নেত্রকোনা), আকতার হোসেন (ময়মনসিংহ) ও তানজিল রিমন (শেরপুর)।
এছাড়া কমিটির কোষাধ্যক্ষ সরদার ফরিদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক বাহরাম খান, দফতর সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া। সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পদটি এখনো শূন্য রয়েছে। কার্যকরী কমিটির প্রথম সভায় তা পূরণ করা হবে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা পদাধিকার বলে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি আজিজুল হক এরশাদ, সাধারণ সম্পাদক হামিদ মোহাম্মদ জসীম, টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি তালুকদার হারুন, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মান্না, ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সভাপতি উৎপল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জামালপুর সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল, নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি ফারুক তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম, শেরপুর সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার আহবায়ক হকিকত জাহান হকি ও সদস্য সচিব মামুন আবদুল্লাহ।
এছাড়া ৬ জেলার নারী সদস্যরা হলেন- মফিদা আকবর (ময়মনসিংহ), শাকিলা জেসমিন (কিশোরগঞ্জ), শাহনাজ পারভীন এলিস (টাঙ্গাইল), বনশ্রী ডলি (নেত্রকোনা), খাতুনে জান্নাত কণা (জামালপুর) এবং তাছলিমা হোসেন শিখা (শেরপুর)।