a হবিগঞ্জের ধুলিয়াখাল থেকে পিকআপসহ ৩ চোরকে আটক করেছে পুলিশ
ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

হবিগঞ্জের ধুলিয়াখাল থেকে পিকআপসহ ৩ চোরকে আটক করেছে পুলিশ


মজিবর, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২৩, ১১:০৫
হবিগঞ্জের ধুলিয়াখাল থেকে পিকআপসহ ৩ চোরকে আটক করেছে পুলিশ

ফাইল ছবি

হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবাধে পিকআপ ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চুরি হচ্ছে। তবে মালিকরা থানায় জিডি করার পর কিছু উদ্ধার হয়, আবার কখনো উদ্ধার হয় না।

বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে গত বুধবার গভীর রাতে সদর থানার ওসি মোঃ গোলাম মর্তুজার নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধুলিয়াখাল-মিরপুর সড়কের পলিটেকনিক্যাল কলেজ এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে টাটা পিকআপ (রেজিঃ নং-সিলেট-ন-১১-২১৪৯) গাড়ি আটক করেন। এ সময় তিন চোরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হল, মাধবপুর উপজেলার সিদ্দিরপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের পুত্র উজ্জল মিয়া (২৫), গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার পুত্র সজল মিয়া (২২) ও তায়িজ মিয়ার পুত্র সিরাজুল ইসলাম মালু মিয়া (৩০)। জিজ্ঞাসাবাদে তারা চুরির ঘটনা শিকার করে। এ ঘটনায় এসআই পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডে আনা হবে। তারা দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চোরাই গাড়ি অবাধে বিক্রি করছে। তাদের সাথে কারা জড়িত তাও সনাক্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

রিকশাচালকের টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য বরখাস্ত


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শনিবার, ০৮ মে, ২০২১, ০৫:১১
রিকশাচালকের টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

রিকশাচালক শামীম

 

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা হাইওয়ে এলাকায় এক রিকশাচালকের কাছ থেকে ৬০০ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ সত্যতার ভিত্তিতে তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত শনিবার (৮মে) দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার পরদিন না খেয়েই রোজা রাখে ভুক্তভোগী ওই রিকশাচালক। ঘটনাটি গত ৪ মে মঙ্গলবার রাতের ঘটনা। ঘটনাটি জানার পর স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের নজরে আসে। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, এক অটোরিকশাচালকের সারারাতের আয় ৬০০ টাকা নিয়ে নিয়েছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য।

অভিযোগটি বেশ গুরুতর হওয়ায় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তাৎক্ষণিকভাবে বার্তাটি সংশ্লিষ্ট ইউনিট কমান্ডারের কাছে পাঠিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত শনাক্ত করার অনুরোধ করেন।

এরপর অভিযোগর ভিত্তিতে তিন পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক এক অফিস আদেশে সাময়িকভাবে তাদের বরখাস্ত করে হাইওয়ে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৪ মে) মধ্যরাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে রিকশা নিয়ে উঠার কারনে দায়িত্বরত পুলিশ ১০০০ টাকার চাঁদা দাবি করে। পকেটে এত টাকা না থাকায় ৬০০ টাকা দিয়ে নিজের রিকশা নিয়ে যেতে সক্ষম হয় রিকশাচালক শামীম। এই ঘটনায় পরবর্তীতে একাধিক অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।

মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ভালুকা হাইয়ে পুলিশের ওসি জনাব মো. মশিউর রহমান শুরুতেই আশ্বস্ত করেছিলেন অভিযোগের সত্যতা মিললে তারা ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

রিকশাচালক শামীম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার গাড়াজান পন্ডিতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। জীবনজীবিকার তাগিদে পরিবারসহ ভালুকা এমসি বাজার এলাকায় ভাড়া করা খুপরি ঘরে থাকেন এই রিকশাচালক।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করতে আরও ২৪ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৫৮
মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করতে আরও ২৪ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ

দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলার সুবিধাদি সম্প্রসারন ও আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে কন্টেইনার টার্মিনাল, কন্টেইনার ডেলিভারী ইয়ার্ড এবং কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করাসহ বার্ষিক ১ কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, ৪ লক্ষ টন টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বন্দরের উন্নয়নে ২০২১ সাল থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মোট ২৪ টি উন্নয়ন প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি মাস্টার প্ল্যান প্রকাশ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে বন্দরের উন্নয়নে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ১০টি প্রকল্পের মধ্যে ১টির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ৩ টির কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে, অধিক গুরুত্বপূর্ণ আরো ৪ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বন্দর উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট নামে যে প্রকল্পটি রয়েছে সেটি বাস্তবায়ন করতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় নির্ধারন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্পসহ ৫০টির অধিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন ও তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় আছে।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের দ্রুত ও দক্ষ সেবা প্রদানে যেসব উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৭০টি কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল স্থাপন, ৩টি কার ইয়ার্ড নির্মাণ, ১০টি বিভিন্ন ধরনের সহায়ক জলযান ক্রয়, ৬২টি বিভিন্ন ধরনের লাইটেড বয়া, ২টি রোটেটিং বিকন, ৬টি জিআরপি লাইট টাওয়ার সংগ্রহ ও স্থাপন, একটি মোবাইল হারবার ক্রেন, একটি স্টাফিং-আনস্টাফিং শেড, একটি ওয়েব্রিজ মোবাইল স্ক্যানার সংগ্রহ।

এ ছাড়া রুজভেল্ট জেটির বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। বন্দরের আধুনিকায়ন, চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণ ও দক্ষতার সঙ্গে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জাহাজের গড় অবস্থানকাল হ্রাস এবং কার্গো ও কন্টেইনার সংরক্ষণের সুবিধাদির সম্প্রসারণসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে মোংলা বন্দরে যেসব সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে তাহলো জাহাজ হ্যান্ডলিং সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২২৫ মিটার, ড্রাফট ৭ থেকে সাড়ে ৮ মিটার, কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ১০ মিলিয়ন মে.টন, ও কন্টেইনার ৭০ হাজার টিইউজ। এছাড়া কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সুবিধার মধ্যে রয়েছে, স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ার ৫টি, ফর্কলিফট ৩১টি, রিচ স্ট্র্যাকার ২টি, মোবাইল ক্রেন ৫টি, ডকসাইট ক্রেন ৫টি, টার্মিনাল ট্রাক্টরে শেষ হবে।  সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজও সমাপ্তির পথে। এ বছরেই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবে মোংলাবাসী। এসবের বাইরে গত বছরের ডিসেম্বরে মোংলা বন্দরের আউটার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১৯.৪৫ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই চ্যানেল দিয়ে ১০.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হারবারিয়া পর্যন্ত হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধায় আনা হয়েছে। পোর্টের অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম সংগ্রহ। পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং কার্যক্রম বর্তমানে চালু রয়েছে যা ২০২২ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে  হারবারিয়া থেকে বন্দরের জেটি পর্যন্ত ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ খুব সহজেই ভিড়তে পারবে।

সহায়ক জলযান সংগ্রহ, বর্জ্য নি:সৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ থেকে পিপিপি'র আওতায় মোংলা বন্দরের ২টি অসম্পূর্ণ জেটির নির্মাণও কাজ শেষ করা হবে ২০২২ সালের মধ্যে।  চলমান এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোংলা বন্দরে মোট ৭৭২টি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে বলে নিশ্চিত করেছে বন্দরের হারবার বিভাগ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের উন্নয়নে বর্তমানে একাধিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে আউটার বার ড্রেজিং সম্পন্ন করেছি এবং ৭৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে গত মাসের ১৩ তারিখ থেকে ইনারবারে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্দরে কন্টেইনার জাহাজসহ অন্যান্য জাহাজগুলো তুলনামুলকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে যে কয়টি উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অপরাধ