a
ফাইল ছবি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম চরমোনাই পীর হিসেবে পরিচিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সম্প্রতি বিএফআইইউ থেকে ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। আর চিঠি পাওয়ার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকে ফয়জুল করিমের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা জানাতে হবে। অ্যাকাউন্টে শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, জমা স্থিতি, কেওয়াইসিসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্যও জানাতে হবে।
বিএফআইইউর চিঠিতে অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বক্তব্যও দিতে চাননি।
সাধারণত কারও বিরুদ্ধে অর্থপাচার, মানি লন্ডারিংসহ কোনো অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যাংক তার হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। আবার অনেক সময় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা অন্য সরকারি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেও তথ্য চাওয়া হয়। সূত্র: সমকাল
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: আসন্ন জাতীয় বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের কর কাঠামো সংস্কার ও কঠোর নজরদারি করতে হবে। এজন্য জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ, কর আদায় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশন এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকের কর ফাঁকি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে কর্মরত তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার (২৭ মে, ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো’র প্রকল্প কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, বিশিষ্ট আইনজীবি ও নীতি বিশ্লেষক মাহবুবুল আলম তাহিন, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর টেকনিক্যাল এডভাইজর আমিনুল ইসলাম সুজন, একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা, দেশ রুপান্তর পত্রিকার বিজনেস এডিটর মাসুম বিল্লাহ, তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক নাসিরুদ্দিন শেখ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা ও প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিদ্যমান তামাক কর ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল ও ত্রুটিপূর্ণ। পাশাপাশি বিদ্যমান একাধিক মূল্যস্তর তামাক কোম্পানিগুলিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিতে সহায়তা করছে। সমস্যা সমাধানে অ্যাড ভেলোরেম কর পদ্ধতির পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক পদ্ধতি চালুর দাবি জানানো হয়। বক্তারা তুলে ধরেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর উৎপাদন দ্বিগুণ হলেও মুনাফা বেড়েছে পাঁচ গুণ। যা প্রমাণ করে তামাকজাত দ্রব্যের কর ও মূল্য বাড়ালেও সরকারের রাজস্ব আয় কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। পাশাপাশি ব্যবহার হ্রাসেও কোনো প্রভাব পড়েনি।
বক্তারা আরো বলেন, জর্দা ও গুলসহ ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কার্যকর কর আরোপ ও ফাঁকি রোধে এখনো কোনো শক্তিশালী ব্যবস্থা নেই। বাজারে ৩৫০টি কোম্পানির ৮০০টির বেশি ব্র্যান্ডের এসব পণ্যের অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই এবং নির্ধারিত ব্যান্ডরোল ও স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা নেই। এর ফলে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। উল্লেখ্য, দেশে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হলেও এই খাত থেকে আদায়কৃত করের পরিমাণ সিগারেট ও বিড়ি থেকে আদায়কৃত মোট করের ৬০০ ভাগের এক ভাগ।
তারা বলেন, ডিজিটাল ট্যাক্স ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু না থাকায় স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবস্থাও কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ করে বিদেশি সিগারেটের প্যাকেটে ব্যান্ডরোল না থাকায় সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। এমতাবস্থায় তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুত ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলক লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আনা, নিয়মিত বাজার তদারকি, এবং এনবিআর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া জরুরি।
এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। তামাক পাতা রপ্তানি শুল্ক মওকুপ করায় গত ৭ বছরে সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকারও অধিক রাস্বস্ব হারিয়েছে। খুবই উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গত এক বছরেই ৫০,০০০ একর জমিতে তামাক চাষ বেড়েছে। অথচ এই জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদন করলে ডাল ও গমের আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা যেত। এছাড়া তামাক চাষে ব্যবহৃত জমির কারণে পশুপালন কমে যাচ্ছে, শিশুদের পুষ্টি ও শিক্ষায় ব্যাঘাত ঘটছে এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরেন, যেমন—
> সকল তামাকজাত দ্রব্যের উপর সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
> ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের জন্য ডিজিটাল ট্যাক্স ট্র্যাকিং ও ব্যান্ডরোল চালু করা।
> সকল তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদের জন্য বাধ্যতামূলক লাইসেন্সিং ব্যবস্থা কার্যকর করা
> মোড়কে উল্লেখিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) তে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিশ্চিতে মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।
> ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত বাজার তদারকি করা
> শক্তিশালী তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি ও তামাক কর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
> তামাক পাতা রপ্তানিতে ২৫% শুল্ক পুনর্বহাল করা।
সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, বাজেটে তামাক নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।
সংগৃহীত ছবি
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সকলকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি দিয়েছে সরকার। শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণের হার রোধের জন্য সর্বক্ষেত্রে সকলের মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি পালন করার বিষয়টি মনিটরিং তদারকিতে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনওদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
কিছুদিন সংক্রমণ পরিস্থিতি নিম্নগামী থেকে চলতি সপ্তাহে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে আবারও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৪ জনের শরীরে এবং মারা গেছেন ১২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৫২৭ জন এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জন।