a
ফাইল ছবি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম চরমোনাই পীর হিসেবে পরিচিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সম্প্রতি বিএফআইইউ থেকে ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। আর চিঠি পাওয়ার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকে ফয়জুল করিমের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা জানাতে হবে। অ্যাকাউন্টে শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, জমা স্থিতি, কেওয়াইসিসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্যও জানাতে হবে।
বিএফআইইউর চিঠিতে অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বক্তব্যও দিতে চাননি।
সাধারণত কারও বিরুদ্ধে অর্থপাচার, মানি লন্ডারিংসহ কোনো অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যাংক তার হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। আবার অনেক সময় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা অন্য সরকারি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেও তথ্য চাওয়া হয়। সূত্র: সমকাল
ছবি সংগৃহীত
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: চলতি করবর্ষে ১৫ লাখ ই-রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ করদাতারই করযোগ্য আয় নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
তার জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দাবিটা অযৌক্তিক না হলেও তাতে কিছু সমস্যা আছে।
তিনি বলেন, ধরেন এখন ডিজিটালি রিটার্ন সাবমিশন হওয়ায় সব তথ্যগুলো আমার হাতে চলে আসছে। আজকে দেখলাম ১৫ লাখ ১৫ হাজার (রিটার্ন জমা) হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ২-৩ হাজার করে রিটার্ন পাচ্ছি।
আমাদের অনলাইন রিটার্ন এখনও চালু আছে। অনলাইন রিটার্ন বন্ধ নাই, আবার অনেকে রিভাইজড রিটার্ন দিতে পারছেন অনলাইনে, এটা একটা বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেখানে দেখলাম ১৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ রিটার্নই জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। এরা এক টাকাও ট্যাক্স দেয় নাই।
এটা কিন্তু পেপার রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। মফস্বলে যান এই চিত্রই দেখবেন। এখন করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বেড়ে যাবে বলে ধারণা এনবিআর চেয়ারম্যানের।
তিনি বলেন, কোয়ালিটি ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এখন যদি আমরা এই সিলিংটাকে একটু বাড়িয়ে দিই, আমরা আলোচনা করব, দেব না এটা বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি, আরও বড় একটা গ্রুপ যারা মিনিমাম কর দিত, তারাও ওই যে জিরো ট্যাক্সে চলে যাবে। এইটা হলো অসুবিধা।
ফাইল ছবি
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মুখে খাওয়ার পিল অনুমোদন করেছে যুক্তরাজ্য। ৪ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মের্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্সের তৈরি করোনা পিল মলনুপিরাভিরের অনুমোদন করে দেশটি।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমএইচআরএ) করোনাভাইরাসের ‘গেম চেঞ্জার’ ওষুধ মলনুপিরাভিরের ব্যবহার শুরুর সুপারিশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট ও উপসর্গগুলো প্রকাশ হওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে যথাশীঘ্র এ ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। খবর এনডিটিভি ও বিবিসির।
করোনা থেকে বাঁচতে বিশ্বের প্রথম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ হলো এ মলনুপিরাভির। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও অনুমোদনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। মলনুপিরাভিরের অনুমোদন দেওয়া হবে কি না সে ব্যাপারে চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য উপদেষ্টাদের ভোটাভুটি হবে।
অনেকে বলছেন, এ ওষুধ ব্রিটেনে ল্যাগেভরিও নামে বাজারে আসতে পারে। করোনায় আক্রান্তের প্রথম দিকে এ ওষুধ সেবন করলে ঝুঁকির মুখে থাকা রোগীর মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তি থাকার সম্ভাবনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারে। মুখে খাওয়ার এ ওষুধ করোনাভাইরাসের বংশবিস্তার অকার্যকর করতে সক্ষম বলে দাবি করেছে মের্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স। সূত্র: ভোরের কাগজ
মের্কের কর্মকর্তারা বলেছেন, মলনুপিরাভির মানবদেহে প্রবেশকারী করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোডে সমস্যা সৃষ্টি করে ভাইরাসটির বংশবৃদ্ধি নষ্ট করে দেয়। আর এর মাধ্যমে করোনারোগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।