a
ফাইল ছবি : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
আগামী বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল বিস্তারিত তুলে ধরতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই অনুষ্ঠিত হবে।
ফাইল ফটো:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা স্কুল-কলেজের ছুটি ফের বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। কারণ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ১৮ মার্চ থেকে। এ সময়ে অনলাইনে এবং সংসদ টিভিতে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রেখেছে সরকার।
তবে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি নির্দেশনার আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুতিরও নির্দেশ দিয়েছে।
অপরদিকে, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে পবিত্র শবে বরাতের ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করেছে সরকার। এছাড়া করোনা রোগী শনাক্তের হার তিন হাজার ছাড়িয়েছে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ)।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে কিনা- প্রশ্নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বুধবার (২৪ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমরা সববিষয় মাথায় রাখছি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, করোনারোগী বাড়ার কারণে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কারণ এ পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্কুল-কলেজে পাঠানো ঠিক হবে না। ঈদের পর পর্যন্ত এ ছুটি আপাতত বাড়তে পারে।
সংগৃহীত ছবি
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) কোষাধ্যক্ষ পদে অবসরপ্রাপ্ত (পি আর এল) একজন অতিরিক্ত সচিবকে নিয়োগ দেওয়ায় এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার (৭মে) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে এ নিন্দা জানানো হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টির স্থান। একজন কোষাধ্যক্ষ ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে সমন্বয়পূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সহ জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টির নানাবিধ কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেন। কাজেই একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদই এই পদের যোগ্য। এই পদে একজন সরকারি কর্মকর্তার নিয়োগদান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর আমলাতন্ত্রের নগ্ন হস্তক্ষেপ।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পিআরএল ভোগরত) মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর চাকুরীজীবন শেষ করেছেন। এই নিয়োগাদেশ শিক্ষকসমাজে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এছাড়াও এ প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে অবিলম্বে এই নিয়োগাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি।
উল্লেখ্য, গত ৫মে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৭ এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী জনাব মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে (অতিরিক্ত সচিব, পি আর এল ভোগরত) বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়।