a
ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ সেশনের ‘ভর্তির লড়াই’ শুরু হচ্ছে আজ। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা। সূত্র: যুগান্তর
করোনা পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষা। পাঁচটি ইউনিটের পরীক্ষার আসন বিন্যাস, সময় ও নম্বর নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার্থীদের থাকা ও যাতায়াত অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সিট ঢাকার বাইরে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মানবণ্টন ও সময় গত সেশনের মতোই।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় পাঁচটি ইউনিটের সাত হাজার ১৪৮টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন তিন লাখ ২৪ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে আসনপ্রতি লড়বেন ৪৫ জন আবেদনকারী।
‘ক’ ইউনিটে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৯৫৭ জন। আর মোট আসন সংখ্যা ১৮১৫টি। সেক্ষেত্রে এ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ দশমিক ৯৯ জন।
ক-ইউনিটের পরীক্ষা ১ অক্টোবর, খ-ইউনিটের ২ অক্টোবর, গ-ইউনিটের ২২ অক্টোবর, ঘ-ইউনিটের ২৩ অক্টোবর। এসব পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এই চারটি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের
এমসিকিউয়ের জন্য সময় ৪৫ মিনিট। ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৪৫ মিনিট। মোট ৯০ মিনিটে ১০০ নম্বরের উত্তর দিতে হবে।
ফাইল ছবি
করোনা ভাইরাসজনিত স্বাস্থ্যঝুকির কথা চিন্তা করে একে একে পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সেশনের ভর্তি পরীক্ষা। এবার ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে পূর্বের সিদ্ধান্তেই অটল রইলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা পূর্বে সাধারণ নিয়মেই অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামী ২০ জুন আরম্ভ হয়ে শেষ হবে ৩১ জুলাই।
গতকাল ১৮ মে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির ষষ্ঠ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পূর্বে গত ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির পঞ্চম সভায় দুই ধাপে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী বাছাই করার পদ্ধতির কথা বিবেচনা করা হয়েছিল। তখন প্রাথমিক ধাপে জিপিএর ভিত্তিতে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮ হাজার জনকে বাছাই করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে যাদের বাছাই করা হবে তাদের ভিতর থেকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পাশাপাশি আবেদন ফরমের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের ফরমের দাম ৪০০ ও ৬০০ টাকা থেকে যথাক্রমে ৭৫৫ ও ১ হাজার ১৫৫ টাকা করা হয়েছিল।
গৃহীত এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিত গত ১ মে ভর্তি পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সেদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল, ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিদ্ধান্ত ঈদুল ফিতরের ছুটির পর ১৮ মের সভায় চূড়ান্ত করা হবে। সে মোতাবেক গতকালের সভা হয়।
আবু হাসান বলেন, এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ে জিপিএ রেজাল্টের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী যাচাই বাছাই করে দুই ধাপে ভর্তি আবেদনের বিষয়টি আর থাকছে না। তবে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ বহাল থাকছে। কিন্তু পরবর্তী বছরেও এই সিদ্ধান্তই ঠিক থাকবে কি না, এ নিয়ে সভায় কোনো কথা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এ বছর ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সর্বসম্মত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তি চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটি ।
ভর্তি পরীক্ষার তারিখ আবেদন করার পর কিংবা আগামী মিটিংয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সংগৃহীত ছবি
গতকাল ২৪.০৫.২০২১ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল এর ঈদ উত্তর সাধারণ সভা অনলাইন মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় "শক্তশালী ঐক্য গড়তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও কর্ম: আমাদের করণীয়" শীর্ষক বিষয়ে নীলদলের সদস্যবৃন্দ আলোচনা করেন।
সভায় বক্তাগণ বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানান উদ্ধৃতি টেনে সংগঠন পরিচালনায় আদর্শ, ত্যাগ ও সততার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কোন ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া, পদ-পদবীর প্রতি মোহাচ্ছন্ন না থেকে আদর্শ ভিত্তিক জনহিতৈষী কাজ করতে সবার মতামত গ্রহণের উপর জোর দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চায় শিক্ষকদের মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাস বজায় রেখে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করার কথা বলা হয়।
ক্যাম্পাসে শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ বজায় রাখতে সবাই একমত পোষণ করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চার মাধ্যমে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে শিক্ষকদের নিজ নিজ কর্মনিষ্ঠা অব্যাহত রাখার জন্য সবাই একমত পোষণ করেন। বিভিন্ন বিভাগে নতুন যোগদানকৃত শিক্ষকবৃন্দকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানানো হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সমস্যাসমুহ দ্রুত নিরসনকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষকবৃন্দের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করা হয়।
যে সমস্ত সহকর্মী বা তাদের আত্মীয়স্বজন করোনা মহামারীতে অসুস্থ হয়েছেন বা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের জন্য সহমর্মীতা ও শোক প্রকাশ করা হয়। সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য, চেয়ারম্যানসহ সব স্তরের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া এর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন নীলদলের সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তফা কামাল এবং অনলাইন জুম প্লাটফরম ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নীলদলের দপ্তর সম্পাদক জনাব কাজী ফারুক হোসেন।