a
ফাইল ছবি
আগামীকাল ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা। এতে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ১৯ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
পরীক্ষার হলে রওনা দেওয়ার আগে অবশ্যই প্রশ্নপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কলম সঙ্গে নিন।
পরীক্ষার শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থানটি ভালো করে জেনে নিন এবং আপনার বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে তার পরিষ্কার ধারণা নিন।
পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী/অভিভাবকদের সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বাসা থেকে এমনভাবে বের হতে হবে যেন ন্যূনতম ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়।
যেসব সড়ক পারাপারে রেলক্রসিং আছে তা বিবেচনা করে বাসা হতে সময় নিয়ে রওনা দেওয়া জরুরি।
আপনার বাসার বা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের সড়কে যদি কোনো খোঁড়াখুঁড়ি বা মেরামত কাজ চলে তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো রওনা দিতে হবে।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হলো।
কোনো অবস্থাতেই গণপরিবহনে ঝুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করবেন না।
যেসব পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে গমন করবেন তারা অবশ্যই নিরাপত্তাজনিত কারণে হেলমেট পরিধান করবেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীরা যানজট বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকুন, প্রয়োজনে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন এবং পুলিশের সহায়তা নিন।
রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে ব্যবহার করুন।
পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক/পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে দূরবর্তী নিরাপদ স্থানে পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়, তাই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেন্দ্রের সম্মুখে প্রধান গেইটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
গত এক বছরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রার্থীদের পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন রাখতে পারে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন কর্তৃক আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হবে এবং আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে বিধায় অবশ্যই ছাতা, রেইনকোর্ট কিংবা বৃষ্টি থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করুন।
ফাইল ছবি
সুইসাইড নোটে ‘বাবা-মা ক্ষমা করো, গুড বাই’ লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার এক ছাত্রাবাস থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদুর রহমান জামিল (২২)।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলার রহমানের ছেলে। জামিল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামিলের কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত নোটে লেখা ছিল ‘বাবা-মা ক্ষমা করো, গুড বাই।’
এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সহপাঠীদের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার সাফল্য ছাত্রাবাসে থাকতেন শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান জামিল।
পারিবারিক বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ছাত্রাবাসে নিজের কক্ষে ফ্যানের হুকের সাথে ব্যাগের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার সাড়া শব্দ না পেয়ে কক্ষের দরজা খুলে তাকে ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন সহপাঠিরা।
পরে পুলিশ গিয়ে তার ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, তার উদ্ধারকৃত সুইসাইড নোট থেকে বোঝা যাচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তারপরও ময়না তদন্ত করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ফাইল ছবি
সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী। ইয়েমেন জানায়, এই হামলা তাদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব ও তার মিত্র কয়েকটি আরব দেশের বর্বরোচিত আগ্রাসন এবং সর্বাত্মক অবরোধের জবাব।
গতকাল মঙ্গলবার ইয়েমেনি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ির জানান, তাদের সেনারা সৌদি আরবের খামিস মুশাইত শহরের কিং খালিদ বিমানঘাঁটির কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। জেনারেল সারিয়ির বরাত দিয়ে ইয়েমেনের আল-মাসিরা টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি দুটি কাসেফ-টু কে কম্ব্যাট ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালায়।
জেনারেল সারিয়ি আরও জানান, নিখুঁতভাবে ড্রোনগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। গত মাসেও ইয়েমেনের বিমান বাহিনী সৌদি আরবের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করেছে। এর মধ্যে আবহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কিং খালিদ বিমানবন্দর প্রায়ই হুথি সমর্থিত সেনাদের হামলার শিকার হচ্ছে। সূত্র: পার্সটুডে