a
ফাইল ছবি
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে এবং এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে ২ ডিসেম্বর।
আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা দুটির চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করা হয়, যার অপেক্ষায় আছে প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থী।
সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা এবং বিকেল ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দুই ধাপে পরীক্ষা হবে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় থাকবে দেড় ঘণ্টা। এক্ষেত্রে এমসিকিউ ও সিকিউর মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না।
ফাইল ছবি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়াতে ও পড়ার ঘাটতি পূরণ করতে শিক্ষকদের ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
এদিকে নতুন নির্দেশনা ঠিকমত বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা নজরদারিতে রাখতে আলাদা আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এজন্য সকল বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
১১ দফা নির্দেশনা:
অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করতে হবে। তাতে শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি, রোল, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, কী কারণে অনুপস্থিত, গৃহীত পদক্ষেপসহ অন্যান্য বিষয় উল্লেখ থাকবে।
অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করবেন শিক্ষকরা। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে হোম ভিজিট করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির (শ্রেণিভিত্তিক) হার নিয়মিতভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। উপস্থিতির ঘাটতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
কোভিড-১৯ প্রভাবজনিত শিখন ঘাটতি পূরণে শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীদের পারঙ্গমতা যাচাই করে বিভিন্ন দলে ভাগ করে শ্রেণিশিক্ষক ও বিষয় শিক্ষকদের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নির্দেশিত পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। অনলাইন ক্লাস চলমান থাকবে। সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সম্প্রচারিত 'ঘরে বসে শিখি’র পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে।
বিদ্যালয়ের বিষয় শিক্ষক ও শ্রেণি শিক্ষকরা শ্রেণিভিত্তিক প্রতিটি শিশুর শিখন যোগ্যতার প্রোফাইল (শিখন ঘাটতি পরিস্থিতি) প্রণয়ন করে এ সম্পর্কিত অগ্রগতির রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন। শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক মূল্যায়নে শ্রেণির কাজ, বাড়ির কাজ (ওয়ার্ক শিট) যাচাইকরণে একই শ্রেণির শিক্ষার্থীর ঘাটতি নিরূপণে শিক্ষকদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রধান শিক্ষক, শ্রেণি শিক্ষক, বিষয় শিক্ষক এবং কর্মচারীদেরকে শিক্ষার্থীদের মনো-সামাজিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে সহনশীল ও মানবিক আচরণ করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ২টি শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রুটিন অনুযায়ী যেসকল শিক্ষকের পাঠদান কার্যক্রম থাকবে না তারা বিদ্যালয়ে বসে অবশিষ্ট ৩টি শ্রেণির জন্য গুগল মিট-এ (যেখানে সম্ভব) কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
মাঠপর্যায়ের প্রত্যেক মেন্টরকে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ থেকে প্রেরিত মেন্টরিং গাইডলাইন (মেন্টরদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সংক্রান্ত) ও মেন্টরিং টুলস অনুসরণ করে নিজ দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মো: সাইফুল আলম সরকার, ঢাকা: প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান প্রতিষ্ঠান কমিউর একই ধারার আরেকটি কোম্পানি অগমেডিক্সকে অধিগ্রহণ করেছে। এই দুই কোম্পানি একীভূত হয়ে রোগীদের তথ্যসংরক্ষণকে এখন এআই সমৃদ্ধ করে আরো সুচারু ও অধিক সেবামূলক করার ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ অগমেডিক্সের প্রযুক্তি এবং কমিউরের বিস্তৃত সেবা এখন এক হয়ে আরো দ্রুত সমাধান এবং উন্নত রোগীসেবা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম স্তরে উন্নীত হবে। কমিউরের চিফ বিজনেস অফিসার হার্শ সোলাণকি এবং অগমেডিক্সের ফাউন্ডার এবং কমিউরের সিএসও ইয়ান শাকিল সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেন। তারা কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং কিভাবে আরো উন্নত সেবা প্রদান করা যায় সে বিষয়ে কর্মীদের মতামত শোনেন।
ইয়ান শাকিল বলেন, 'অগমেডিক্সে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের মাধ্যমে রোগীদের সেবাপ্রদান আরো সহজ করা। কমিউরের সাথে একীভূত হয়ে এখন সেই সমাধানগুলো আরো বেগবান, ইতিবাচক এবং সেবার মান সর্ব্বোচ্চ করা হচ্ছে।' উল্লেখ্য অগমেডিক্স গত দশ বছর ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং মাত্র ষাটজন দিয়ে শুরু করে এখন প্রায় তেরোশো তরুণের এক বিশাল প্রাণোচ্ছল কর্মীবাহিনী তাদের রয়েছে।
কমিউরের চিফ বিজনেস অফিসার হার্শ সোলাণকি বলেন, ' অগমেডিক্স রোগীসেবা তথ্য সংরক্ষণ এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপণ করেছে এবং এখন কমিউরের সঙ্গে একীভূত হবার পর তা আরো দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাবে এবং বাণিজ্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।'
দুই কোম্পানির একীভূত হওয়ার প্রাক্কালে কমিউরের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাশেদ মুজিব তাদের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত এবং আকর্ষক করার কথা বলেন যা বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের নতুন মাত্রা যোগ করবে।