a
ফাইল ছবি
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ও নকলমুক্ত রাখতে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হবে। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখতে পারবেন না। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে মোবাইল কোর্ট।
সোমবার (২৮ মার্চ) ডিএমপি সদরদপ্তরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। সভায় উল্লিখিত নির্দেশনাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সমন্বয় সভায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা, অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরে কেন্দ্রে আসতে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ছাড়া অন্য কোনো কাগজ সঙ্গে নিতে পারবেন না। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে মোবাইল কোর্ট। কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া পরীক্ষা চলাকালে অন্য কেউ মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখতে পারবেন না। এছাড়া কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে রুমে ঢুকানো হবে।
পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় কেন্দ্রের গেট খুলে দেয়া হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কেন্দ্রের গেট বন্ধ করে দেয়া হবে। তাই পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে। তাদের সকাল ৮টার মধ্যে কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার (১ এপ্রিল) এ বছরের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ১ ঘণ্টার এ পরীক্ষা চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত। রাজধানীতে পাঁটটি সরকারি মেডিকেল কলেজের অধীনে ১৮টি কেন্দ্রে মোট ৬১ হাজার ৬৭৮ জন পরীক্ষার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
পরীক্ষা যে সব কেন্দ্রে হবে:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (৯টি কেন্দ্র): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবন, লেকচার থিয়েটার ভবন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মোকারম হোসেন, বিজ্ঞান ভবন, এ. এফ মুজিবুর রহমান, গণিত ভবন, বিজ্ঞান ভবন, কাজী মোতাহার হোসেন ভবন, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (৩টি কেন্দ্র): ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজ ও নিউ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ (২টি কেন্দ্র): তেজগাঁও কলেজ ও শেরে-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
মুগদা মেডিকেল কলেজ (২টি কেন্দ্র): আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল ক্যাম্পাস ও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মুগদা ক্যাম্পাস।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ (২টি কেন্দ্র): সরকারি তিতুমীর কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি মোট ১০৭টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এতে মোট আসনসংখ্যা ১০ হাজার ৬৯৭টি। তার মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি এবং বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৭টি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
এতিমখানা ছাড়া দেশের সকল কওমি মাদ্রাসা, আবাসিক/অনাবাসিক মাদ্রাসা বন্ধ রাখতে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিরাজমান করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কওমি মাদ্রাসার অফিস খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
এর আগে, দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে প্রতিবছর রমজান মাসের পরপর নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়ে থাকে। এ বছরও শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে অফিস খোলার অনুমতি প্রদানের জন্য কওমি মাদ্রাসাগুলোর পক্ষ থেকে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে অনুধাবন করে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস খোলা রাখার অনুমতি দেন।
তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) থেকে পুনয়ায় কওমি মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হলো।
ফাইল ছবি
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলির পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেওয়া শুরু করেছে সাধারণ জনগন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক টুইটারে সকলেই পণ্য বয়কটের আন্দোলন শামিল হচ্ছে। ইসরায়েল রাষ্ট্র একের পর একে ফিলিস্তিনি নিরীহ মানুষের উপর হামলা করছে। যুগে যুগে যখন মুসলমানদের উপর বিভিন্ন অত্যাচার হচ্ছে সেখানে অত্যাচারিত জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে সকল মুসলিম দেশ। এছাড়া মুসলিম না হয়েও অনেকে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। ইহুদিরা বর্তমানে মুসলমানদের পবিত্র আল আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে নিরীহ মানুষের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের জমি ও বাড়িঘর ধ্বংস করে দিচ্ছে। এমতাবচ্ছায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে, যারা দখলদারদের পণ্য ক্রয় করে বা বাজারজাত করে তারা একই অপরাধে পাপী হিসেবে স্বীকৃত।
টানা ষষ্ঠ দিনের মত ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এছাড়া আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। পাশাপাশি বহু ফিলিস্তিনি নরনারীদের গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল বাহিনী। যতই দিন যাচ্ছে ততই ভয়ংকরভাবে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করতেছে ইহুদি এ রাষ্ট্রটি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের দেশের পণ্য বয়কট করে বিকল্প পণ্য ব্যবহারে ঘোষণা দিচ্ছে অনেকে। অনেকে মনে করেন পণ্য বয়কট একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। এক্ষেত্রে ইসরায়েল রাষ্ট্র কিছুটা হলেও অর্থনৈতিকভাবে বেকায়দা পড়েবে।
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ইসরাইলি পণ্যের মধ্যে আছে কোমল পানীয় পেপসি, সেভেন আপ, স্প্রাইট, মিরিন্ডা, মাউন্টেড ডিউ, ফান্টা, একুয়াফিনা। এছাড়া আছে তাজা চা পাতা, ট্যাং,নাইকি, নেস্টলে লেভিসসহ বহুজাতিক পণ্য যা আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছি।