a
ছবি সংগৃহীত: কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
কোটা আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদের খোঁজ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ থাকার ৫ দিন পর গতকাল বুধবার আসিফ ও বাকেরকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়েছে বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দুজনই নিশ্চিত করেন। আর রিফাত এখন অবধি আত্মগোপনে আছেন।
এই তিন ছাত্রই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। আসিফ মাহমুদকে রাজধানীর হাতিরঝিল ও আবু বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় বলে তাঁরা নিজেরাই জানান। তাঁদের কে বা কারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, ফেসবুক পোস্টে তা স্পষ্ট করে বলেননি। আর রিফাত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গুম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম।’
আসিফ মাহমুদ বিকেলে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গত ১৯ জুলাই রাত ১১টায় আমাকে হাতিরঝিলের মহানগর আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। চলমান আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দিতে চাপ দেওয়া হয়। না মানায় ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস (অচেতন) করে রাখা হয়। এই চার-পাঁচ দিনে যতবার জ্ঞান ফিরেছে, ততবার ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস করে রাখা হয়। আজ বুধবার বেলা ১১টায় আবার একই জায়গায় চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায়।’
আসিফ আরও লিখেছেন, ‘এখন আমি পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসারত আছি। এই কয়েকদিনে যা ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা করছি। কিছুটা সুস্থ হলেই সমন্বয়কদের সাথে কথা বলে আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত বলব।’
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফেসবুক পোস্টে বাকের লিখেছেন, ‘আমাকে ১৯ জুলাই সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং আন্দোলন বন্ধে স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) দিতে বলায় আমি অস্বীকৃতি জানালে একটা অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখে। যে এলাকা থেকে তুলে নেয়, তার পাশের এলাকায় আমাকে চোখ বেঁধে ফেলে যায়। আমি এখন আমার পরিবারের সাথে নিরাপদে আছি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আপনাদের সামনে সবিস্তারে সব বলব।’
সোয়া সাতটার দিকে রিফাত রশীদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি, মরি নাই। আমি গুম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম। সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত মেনেই আমি নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়েছিলাম। তারপর এই সাপ-লুডুর জীবন। আজ এর বাড়ি তো কাল ওর বাড়ি। এর মধ্যে যতবার ফোন কানেক্ট করার চেষ্টা করেছি, ততবারই ফোন ট্র্যাকিংয়ের শিকার হয়েছি। জানি না, কতক্ষণ নিরাপদে থাকব।’
আসিফ ও বাকেরের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। রিফাত রশীদের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আসিফ মাহমুদের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন বলেছিলেন, ‘পত্রিকায় আসিফের গুমের খবর দেখে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তালাশ করেছি। তাকে পাই নাই। এখন আমার একটাই আবদার, আসিফের সন্ধান চাই।’ আন্দোলনের অন্য সমন্বয়কেরাও আসিফের সন্ধান দাবি করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় আসিফের বাবার মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও নন্দীপাড়ার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর তাঁকে পূর্বাচল এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলটিমেটাম শেষ হবে আগামীকাল
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম আজ গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা চার দফা ‘জরুরি দাবি’ পূরণে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার যে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন (আলটিমেটাম), তার সময়সীমা আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শেষ হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামীকাল যে কোনো সময়ে সংবাদ সম্মেলন বা অন্য কোনো উপায়ে তাঁরা গণমাধ্যমকে পরবর্তী বক্তব্য বা অবস্থান জানাবেন। সূত্র: প্রথম আলো
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি: ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ( সম্মান) ১ম বর্ষে এ, বি, সি, ডি ও ই ইউনিটে বিষয়প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ১ম মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ( শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ হয়।
এবার এ
❝এ ইউনিট (বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদ) ❞ এ
"প্রথম শিফটে" সাইন্স থেকে ২৮৪টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩৩০তম পর্যন্ত।
"দ্বিতীয় শিফটে" সাইন্স থেকে ২৮৭টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩২৯তম পর্যন্ত।
"তৃতীয় শিফটে" সাইন্স থেকে ২৮৯টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩৭১তম পর্যন্ত।
❝বি ইউনিট ( কলা ও আইন অনুষদ )❞ এ
"প্রথম শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৮টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩৪তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৮৭টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২১১তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৫০টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৬১তম পর্যন্ত।
"দ্বিতীয় শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৮টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩১তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৮৭টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২২৫তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৪৯টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৬০তম পর্যন্ত
"তৃতীয় শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২০টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২৪তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১২৮টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ১৫৯তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৩৩টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৪১তম পর্যন্ত।
❝সি ইউনিট ( বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ❞ এ
"প্রথম শিফটে " এ বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৩০টি সিটের বিপরীতে সাবজেক্ট গিয়েছে ২৪০তম পর্যন্ত।
এবং "তৃতীয় শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৩০টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২৪২তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৬টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ১৬তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৪৪টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৪৫তম পর্যন্ত।
❝ডি ইউনিট ( সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ)❞ এর
"প্রথম শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ৩১টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩১তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৮৪টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২০৭তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৬৪টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৭৭তম পর্যন্ত।
"তৃতীয় শিফটে" বিজনেস স্টাডিজ থেকে ২৯টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৩১তম পর্যন্ত।
মানবিক থেকে ১৮৬টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ২২৯তম পর্যন্ত।
সাইন্স থেকে ৬৬টি সীটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৭১তম পর্যন্ত।
❝ই ইউনিট ( চারুকলা অনুষদ) ❞ এ
৬০টি সিটের বিপরীতে সাবজেক্ট এসেছে ৬৪তম পর্যন্ত।
উক্ত ইউনিট গুলোতে বিষয় প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আগামী ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখ হতে ৫ মে, ২০২৫ তারিখের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে নিজ নিজ প্যানেলে লগ ইন করে ভর্তি ফিস জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ, বি
( ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, সংগীত, নাট্যকলা) বিভাগ ও ই ইউনিটের জন্য ভর্তি ফিস ১২,৪০০ টাকা এবং বি ( ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, সংগীত ও নাট্যকলা) বিভাগ ছাড়া ও সি ইউনিটের জন্য ১০,৪০০ টাকা ভর্তি ফিস নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভর্তি ফিস জমাদানকারী শিক্ষার্থীদের আগামী ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখ হতে ৬ মে, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সরাসরি সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে "এসএসসি ও এইচএসসির মূল নম্বর পত্র, প্রত্যবেক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষরিত এডমিট কার্ড, প্রিন্টকৃত ভর্তি ফরম এবং সদ্য তোলা ৪ কপি পার্সপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি " জমা দিয়ে বিভাগ হতে কাগজপত্র জমাদান স্লিপ সংগ্রহ করে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ফাইল ছবি
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় হেফাজত নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবিরসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্তবস্থায় রয়েছে। ঘটনাস্থল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ আহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হেফাজতের কোন নেতাকর্মীকে আটক করতে পরেনি।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির, মোল্লাহাট থানান এসআই ঠাকুর দাস, এএসআই লিয়াকত হোসেন, এএসআই বাহারুল ইসলাম, ডিএসবি’র পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য সোহাগ মিয়া ও পুলিশ সদস্য নাজমুল ফকির। আহত পুলিশ সদস্যদের মোল্লাহাট উপহাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা মিছিল নিয়ে হাসপাতাল মোড়ে জড়ো হতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হেফাজত নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের মোল্লাহাট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, মোল্লাহাটে হেফাজত কর্মীরা জড়ো হয়ে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দিলে হেফাজত কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।