a কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কের খোঁজ পাওয়া গেছে
ঢাকা শুক্রবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ জুলাই, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কের খোঁজ পাওয়া গেছে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪, ১২:০৩
কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়কের খোঁজ পাওয়া গেছে

ছবি সংগৃহীত: কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক

 

কোটা আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদের খোঁজ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ থাকার ৫ দিন পর গতকাল বুধবার আসিফ ও বাকেরকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়েছে বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দুজনই নিশ্চিত করেন। আর রিফাত এখন অবধি আত্মগোপনে আছেন।

এই তিন ছাত্রই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। আসিফ মাহমুদকে রাজধানীর হাতিরঝিল ও আবু বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় বলে তাঁরা নিজেরাই জানান। তাঁদের কে বা কারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, ফেসবুক পোস্টে তা স্পষ্ট করে বলেননি। আর রিফাত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গুম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম।’

আসিফ মাহমুদ বিকেলে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘গত ১৯ জুলাই রাত ১১টায় আমাকে হাতিরঝিলের মহানগর আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। চলমান আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দিতে চাপ দেওয়া হয়। না মানায় ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস (অচেতন) করে রাখা হয়। এই চার-পাঁচ দিনে যতবার জ্ঞান ফিরেছে, ততবার ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস করে রাখা হয়। আজ বুধবার বেলা ১১টায় আবার একই জায়গায় চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায়।’

আসিফ আরও লিখেছেন, ‘এখন আমি পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসারত আছি। এই কয়েকদিনে যা ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা করছি। কিছুটা সুস্থ হলেই সমন্বয়কদের সাথে কথা বলে আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত বলব।’

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফেসবুক পোস্টে বাকের লিখেছেন, ‘আমাকে ১৯ জুলাই সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং আন্দোলন বন্ধে স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) দিতে বলায় আমি অস্বীকৃতি জানালে একটা অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখে। যে এলাকা থেকে তুলে নেয়, তার পাশের এলাকায় আমাকে চোখ বেঁধে ফেলে যায়। আমি এখন আমার পরিবারের সাথে নিরাপদে আছি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আপনাদের সামনে সবিস্তারে সব বলব।’

সোয়া সাতটার দিকে রিফাত রশীদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি, মরি নাই। আমি গুম হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম। সমন্বয়কদের সিদ্ধান্ত মেনেই আমি নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়েছিলাম। তারপর এই সাপ-লুডুর জীবন। আজ এর বাড়ি তো কাল ওর বাড়ি। এর মধ্যে যতবার ফোন কানেক্ট করার চেষ্টা করেছি, ততবারই ফোন ট্র্যাকিংয়ের শিকার হয়েছি। জানি না, কতক্ষণ নিরাপদে থাকব।’

আসিফ ও বাকেরের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। রিফাত রশীদের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আসিফ মাহমুদের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন বলেছিলেন, ‘পত্রিকায় আসিফের গুমের খবর দেখে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে ঢাকায় এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তালাশ করেছি। তাকে পাই নাই। এখন আমার একটাই আবদার, আসিফের সন্ধান চাই।’ আন্দোলনের অন্য সমন্বয়কেরাও আসিফের সন্ধান দাবি করেন।

গতকাল সন্ধ্যায় আসিফের বাবার মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও নন্দীপাড়ার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর তাঁকে পূর্বাচল এলাকায় ফেলে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলটিমেটাম শেষ হবে আগামীকাল

আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম আজ গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা চার দফা ‘জরুরি দাবি’ পূরণে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার যে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন (আলটিমেটাম), তার সময়সীমা আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শেষ হবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামীকাল যে কোনো সময়ে সংবাদ সম্মেলন বা অন্য কোনো উপায়ে তাঁরা গণমাধ্যমকে পরবর্তী বক্তব্য বা অবস্থান জানাবেন। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

৩০ জুলাই ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২, ০৭:৩৯
৩০ জুলাই ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু

ফাইল ছবি

দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময় ১ মাস এগিয়ে আনা হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।

সোমবার রাতে ভার্চুয়ালি আয়োজিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক উপাচার্যদের কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

সভা শেষে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আগামী ৩০ জুলাই ‘ক’ ইউনিট, ১৩ আগস্ট ‘খ’ ইউনিট এবং ২০ আগস্ট ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে গতবারের চেয়ে এবারে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকুল আরেফিন।

এবার ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াও ভর্তি কার্যক্রমসহ সব কিছু কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীরা শুধু একবারই টাকা দিতে হবে। পাশাপাশি ১শ’ নাম্বারের ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ নাম্বারে পাস নাম্বার নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত বছর ২০টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যাকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বলা হয়। এ বছর আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আগের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

২০টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর; বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়; শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চিকিৎসকরা নাচলেন রোগীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৩৪
চিকিৎসকরা নাচলেন রোগীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে

ফাইল ছবি

মহামারীর করোনার প্রভাবে বিশ্বে স্থবিরতা বিরাজ করছে। দেশ-বিদেশ কোথাও নেই এতটুকুন স্বস্তি। করোনার এই সময়ে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হাসপাতালেই নাচলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) চিকিৎসকরা। ভিডিওটি এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে এবং প্রশংসাও কুড়িয়েছে সর্ব মহলে।

নাচের পারফরম্যান্সে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. কৃপা বিশ্বাস, ডা. শাশ্বত চন্দন ও ডা. আনিকা হোসেন খান।

রোগীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ও চিকিৎসকদের একঘেঁয়েমি দূর করতে সোমবার (২৬ এপ্রিল) ডা. শাশ্বত চন্দন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে Surgeons' Dance for inspiring the doctors treating Covid-19 attacked patients এই শিরোনামে পোস্ট করেন। লন্ডন প্রবাসী গায়ক মুজা এর ‘নয়া দামান’ গানটির সাথে ডেন্স করেন তারা।

এর আগে ভারতের কেরালায় একজন হিন্দু ও মুসলিম মেডিকেল শিক্ষার্থী নাচের ভিডিও ভাইরাল হয় সারাবিশ্বে। ঢাকা মেডিকেলের এই ভিডিও ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে কমেন্ট শেয়ার করছেন দেশ-বিদেশের চিকিৎসকসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - শিক্ষা