a
ফাইল ছবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমাদের কার্যক্রম অনেক অগ্রসর হয়েছে। ইতোমধ্যে সব উপকমিটি করা করার পাশাপাশি ডীনদেরকে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। সেটিও চলমান। আজ সকাল থেকে প্রার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রও ডাউনলোড করতে পারছেন। তবে আগামী কয়দিন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। ভর্তি পরীক্ষার নম্বর কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ডিন এ ধরনের একটি প্রস্তাব দিলেও ভর্তি পরিচালনা কমিটির সভায় তা গৃহীত হয়নি। তাই সবকিছু আগের মতোই থাকছে।
আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ৭ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এখনো ইউনিট প্রতি ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেনি বিশ্ববিদ্যিালয়টি।
গত বছরের চেয়ে এবার ৫১ হাজার ৯৮৪ শিক্ষার্থী কম আবেদন করেছে। এ বছর এক হাজার ৮৮৯ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ সাত হাজার ৯৭৮টি। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মোট নয়টি ইউনিটের জন্য আলাদাভাবে ফরম পূরণ করতে হয়েছে।
ফাইল ছবি
যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় বৃত্তির গুলোর একটি হলো ‘শেভেনিং স্কলারশিপ’। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাজ্যের শেভেনিং স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শেভেনিং বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়ছেন। এ বছরের বৃত্তির আবেদনের শেষ দিন আগামী ৭ নভেম্বর। বৃত্তির বিস্তারিত জানা যাবে chevening.org ওয়েবসাইট থেকে।
বাংলাদেশ থেকে ৩৮০ জনেরও বেশি শেভেনিং বৃত্তি পেয়ে যুক্তরাজ্য পড়াশোনা করেছেন। এ স্কলারশিপে ফুল ফ্রি। এর সঙ্গে বিমানের টিকিট ও বাসস্থানও মিলবে।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী শেভেনিং বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়ছেন। যুক্তরাজ্যের ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও) ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এ বৃত্তির জন্য অর্থায়ন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেবেন—এমন যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণদের বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দেয় শেভেনিং বৃত্তি। এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের একটি নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাওয়া যায়।
স্নাতক পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা হয়। বৃত্তির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর থাকতে হয়।
নেতৃত্বের ভিত্তিতে দেওয়া স্কলারশিপের মধ্যে শেভেনিং অন্যতম সবচেয়ে সেরা। চিকিৎসকসহ সবাই এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ বৃত্তি পেলে যুক্তরাজ্যের ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করতে পারবেন। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা, নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা, নিজের দেশ ও সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাবের দিকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৃত্তির মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে শিক্ষার্থীদের দুই বছর কাজের অঙ্গীকার করতে হয়।
বৃত্তি যাঁরা পাবেন, তাঁদের উদ্দেশে শেভেনিংয়ের পরিচালক মিরান্ডা থমাস বলেছিলেন, ‘আমরা আপনার জন্য একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করি, যা আপনাকে ব্রিটেনের ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নীতি নিয়ে একাডেমিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোয় আপনাকে অভ্যস্ত করে তুলবে। এর আগে বৃত্তিপ্রাপ্তরা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট পরিদর্শন করেছেন, লন্ডনের গ্যালারিগুলোয় শিল্পের প্রদর্শনী দেখেছেন। বিবিসিতে ইন্টার্ন করেছেন।’
শেভেনিং বৃত্তির আবেদনের জন্য যোগ্যতা হিসেবে পড়াশোনাকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করা হয় বৃত্তির ক্ষেত্রে। বৃত্তির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া বৃত্তির জন্য ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর থাকতে হবে।
যুক্তরাজ্য সরকারের শেভেনিং বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনের মাধ্যমে। যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্সে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন। ইংরেজি ভাষায় দুটি রেফারেন্স লেটার বা সুপারিশপত্র, পাসপোর্ট/ জাতীয় পরিচয়পত্র, সর্বশেষ পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভর্তির ‘অফার লেটার’ সংযুক্ত করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের পর মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে। শেভেনিংয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করা যাবে।
আবেদনের সময় যা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে—
*আবেদনের সময় সব তথ্য ঠিকঠাকভাবে দিতে হবে
*নেটওয়ার্কিংয়ের দক্ষতা, আগামী দিনের নেতৃত্বদানের সম্ভাবনা বৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়।
*আপনি যদি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেটিও কাজে আসবে।
*শেভেনিং বৃত্তির আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান বন্ধ করার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়ার পার্লামেন্ট- দুমা। দুমার ডেপুটি স্পিকার মিখাইল শিরিমিত রবিবার (১৩ মার্চ) বলেন, জেলেনস্কি যদি সত্যিই এখনও ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন তাহলে তাকে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে নিতে হবে।
ছয়টি প্রস্তাব হচ্ছে-
১। নব্য নাৎসিবাদীদের নিরস্ত্র করতে হবে,
২। ইউক্রেনকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে,
৩। দেশটির সংবিধানে নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করতে হবে যাতে কোনো আন্তর্জাতিক ব্লকে যোগ দেয়া না যায়,
৪। ইউক্রেনের বেশিরভাগ মানুষের মাতৃভাষা অর্থাৎ রুশ ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে,
৫। ক্রিমিয়া উপত্যকাকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে,
৬। লুহানস্ক ও দোনেস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতা মেনে নিতে হবে।
দুমার ডেপুটি স্পিকার সাফ জানিয়ে দেন, ইউক্রেনকে রাশিয়া ও এর নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্নকারী দেশে পরিণতি হতে দেবে না মস্কো। এর আগে রাশিয়া ঘোষণা করেছে, ইউক্রেনে চলমান বিশেষ সামরিক অভিযান দেশটির বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধ নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি বড় ধরনের যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো এ সামরিক অভিযানকে ‘ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে আসছে। সূত্র: ইত্তেফাক