a
ফাইল ছবি
কোনো নোটিশ ছাড়াই পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, কেন্দ্রে এসে তারা জানতে পারেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আজই তাদের শেষ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ২০১৮ সালে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা ২০২২ সালে শেষ হচ্ছে। গত ২১ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোন নোটিশ ছাড়াই তা স্থগিত করা হয়েছে।
অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্রে আসার পর জানতে পারি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। এধরণের আচরণ শুধুমাত্র সাত কলেজের প্রতিই করা হয়েছে। আমরা এমনিতেই ভয়াবহ সেশনজটে পড়ে আছি। আজ শেষ পরীক্ষা থাকলেও কেন্দ্রে এসে জানতে পারি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ৭ কলেজের ডিগ্রির এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ইডেন কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এ বিষয় ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও সেভেন কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. আবদুল কুদ্দুস সিকদার জানান, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন মৌখিকভাবে পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে, কোনো প্রকার নোটিশ দেওয়া হয়নি। এমন আচরণ আমরাও প্রত্যাশা করি না। দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসেছে। তাছাড়া আজ তাদের শেষ পরীক্ষা ছিল।
বিষয়টি নিয়ে সাত কলেজের সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
সুইসাইড নোটে ‘বাবা-মা ক্ষমা করো, গুড বাই’ লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার এক ছাত্রাবাস থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদুর রহমান জামিল (২২)।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলার রহমানের ছেলে। জামিল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জামিলের কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত নোটে লেখা ছিল ‘বাবা-মা ক্ষমা করো, গুড বাই।’
এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সহপাঠীদের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার সাফল্য ছাত্রাবাসে থাকতেন শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান জামিল।
পারিবারিক বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ছাত্রাবাসে নিজের কক্ষে ফ্যানের হুকের সাথে ব্যাগের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তার সাড়া শব্দ না পেয়ে কক্ষের দরজা খুলে তাকে ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন সহপাঠিরা।
পরে পুলিশ গিয়ে তার ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, তার উদ্ধারকৃত সুইসাইড নোট থেকে বোঝা যাচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তারপরও ময়না তদন্ত করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সংগৃহীত ছবিঃ মৃত আব্দুল আউয়াল (৩০)
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঁঙ্গা ইউনিয়নে হাকাম খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় আব্দুল আউয়াল (৩০) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
বুধবার (১মার্চ) সকালে হাকাম খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন লাশ দেখতে পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদের নির্দেশনায় একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন। আব্দুল আউয়াল কালিয়ারভাঁঙ্গা ইউনিয়নের টুকচানপুর গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল আউয়াল মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাননি। আব্দুল আউয়াল নিখোঁজের পরদিন বুধবার সকালে হাকাম খালে স্থানীয়রা ভাসমান অবস্থা দেখতে পান। নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটি উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন।
আব্দুল আউয়ালের ভাই আবুল কালাম জানায়, আমার ভাই আউয়াল মৃগী রুগী ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। সে নেশাগ্রস্ত করত। সে প্রায় সময় বাড়ির বাহিরে রাত্রি যাপন করে এবং এলোপাতাড়ি ঘুরাঘুরি করত। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ।