a
ফাইল ছবি
জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন সারা দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসেও তারা ক্লাসে ফিরে যাচ্ছেন না। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত শিক্ষকদের ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
রোববার মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হক হেনরী সই করা চিঠিতে বলা হয়, জুন মাসে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় মাধ্যমিকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ৩৪ জন শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত না থাকার সুস্পষ্ট কারণ মাউশিতে পাঠাতে হবে। শোকজ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষে আছে রংপুর। এ অঞ্চলের ১০ জন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন।
এরপর রাজশাহীর সাতজন, খুলনা অঞ্চলের পাঁচজন, ঢাকা অঞ্চলের চারজন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের তিনজন, কুমিল্লা অঞ্চলের দুইজন এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট অঞ্চলের একজন করে রয়েছেন।
এ বিষয়ে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হক হেনরী বলেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই দুই দিন বা তার বেশি সময় ধরে স্কুলে আসেন না। এটা সতর্কীকরণ নোটিস। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও কয়েক দফা শোকজ করা হয়েছিল।
ফাইল ছবি
করোনার কারনে দীর্ঘ দেড় বছর পর আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষেরদিকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইতোমধ্যে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ।
পাশাপাশি এ বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি নেওয়ার সিদ্ধান্তও প্রায় চূড়ান্ত। তবে সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল। ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছুটি আরও বাড়ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ি আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। যখনই পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে, তখনই আমরা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
গতকাল সোমবার (২৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রোগ্রাম (কর্মসূচি) ঠিক করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজকেও কথা হয়েছে। তারা প্রোগ্রাম ঠিক করছে-কীভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে জানাবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি চলবে। ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দাবি সবচেয়ে বেশি জোরালো। এই পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
সংগৃহীত ছবি
বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন)। এ গ্রহণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৭ মিনিটে। গ্রহণের পর এটি সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছবে বিকেল ৪টা ৩৬ মিনিটে। যা শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে এ সূর্যগ্রহণ তিন মিনিট ৫১ সেকেন্ড ধরে দেখা যাবে। এ সময় সূর্যের প্রায় ৯৪.৩ শতাংশ অন্ধকারে ঢাকা পড়বে। কেবল একটি বলয় দৃশ্যমান থাকবে গ্রহণের সময়। যাকে বলে 'রিং অব ফায়ার'ও বলা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সূর্যগ্রহণের ফলে আকাশের কোলে সৌন্দর্য বিচ্ছুরিত হবে।
রাশিয়া, কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও উত্তর মেরু থেকে এ আগুনের বলয় দেখা যাবে। তবে গ্রহণের চূড়ান্ত অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যাবে গ্রিনল্যান্ড থেকে। এছাড়া ইউরোপ ও এশিয়ার উত্তরাংশ থেকেও সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
এ সূর্যগ্রহণের বিষয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, আজকের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও রাশিয়া থেকে। গ্রহণের কক্ষপথ কানাডার উত্তর অন্টারিও এবং সুপিরিয়র হ্রদের উত্তর দিয়ে পার করবে। কানাডায় এই গ্রহণ তিন মিনিট স্থায়ী হবে। তবে ভারতে সূর্যাস্তের আগে অরুণাচল প্রদেশ ও লাদাখের কিছু অংশে মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য এই গ্রহণ দেখা যাবে।
নাসা আরো জানায়, বিকেল ৫টা ৫২ মিনিট নাগাদ অরুণাচলের দিবাং অভয়ারণ্য অঞ্চল এলাকা থেকে এই সূর্যগ্রহণের সামান্য একটা অংশ দেখতে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, লাদাখে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ। এছাড়া ভারতের আর কোনো জায়গা থেকেই দেখা যাবে না এই গ্রহণ।