a
ফাইল ছবি
ভারতে ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনায় নাজেহাল দেশটির জনগণ। আর মাত্র এক দফার ভোট বাকি। একটানা ভোট প্রচারে অতিরিক্ত জন সমাগমের জন্যই করোনার এমন সংক্রমণ বাড়ছে বলে অভিযোগ করছে অনেকে।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন তারকা থেকে রাজনীতিবিদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শোনা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ফিল্মফেয়ারের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে এমনটাই জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনেই থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী।
বর্তমানে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছেন তিনি। তবে অভিনেতার পরিবারের তরফ থেকে এখনো এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
ফাইল ছবি: লতা মঙ্গেশকর
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রোববার সকালে ৯২ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হলেও শনিবার হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। লতা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন। প্রথম থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি। এর আগেও সংকটজনক অবস্থায় একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল লতাকে। কিন্তু অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে প্রত্যেকবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম হয় এক মারাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করেছিলেন। ১৩ বছর বয়সেই প্রথমবার সিনেমায় গান গেয়েছিলেন মারাঠি ছবিতে। মুম্বাই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি গান গেয়েছেন ‘মজবুর’ ছবিতে।
সংগৃহীত ছবি
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সকলকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি দিয়েছে সরকার। শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণের হার রোধের জন্য সর্বক্ষেত্রে সকলের মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি পালন করার বিষয়টি মনিটরিং তদারকিতে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনওদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
কিছুদিন সংক্রমণ পরিস্থিতি নিম্নগামী থেকে চলতি সপ্তাহে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে আবারও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৪ জনের শরীরে এবং মারা গেছেন ১২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৫২৭ জন এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জন।