a অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী করোনায় আক্রান্ত
ঢাকা বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩২, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী করোনায় আক্রান্ত


নাঈম,বিনোদন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৫৯
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী করোনায় আক্রান্ত

ফাইল ছবি

ভারতে ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনায় নাজেহাল দেশটির জনগণ। আর মাত্র এক দফার ভোট বাকি। একটানা ভোট প্রচারে অতিরিক্ত জন সমাগমের জন‍্যই করোনার এমন সংক্রমণ বাড়ছে বলে অভিযোগ করছে অনেকে। 

ইতিমধ‍্যেই বেশ কয়েকজন তারকা থেকে রাজনীতিবিদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শোনা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ফিল্মফেয়ারের অফিশিয়াল টুইটার হ‍্যান্ডেলে এমনটাই জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনেই থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। 

বর্তমানে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছেন তিনি। তবে অভিনেতার পরিবারের তরফ থেকে এখনো এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রুদ্রতপ্ত বৈশাখে নাচে মন: শহীদুল্লাহ আনসারী


ড. শহীদুল্লাহ আনসারী, কবি লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:২৮
রুদ্রতপ্ত বৈশাখে নাচে মন: শহীদুল্লাহ আনসারী

ছবি: সংগৃহীত

cÖ”Q` iPbv

iæ`ªZß ˆekv‡L bv‡P gb

W. knx`yjøvn Avbmvix

Ô†n ˆfie, †n iæ`ª ˆekvL,

a~jvq a~mi iæ¶ DÇxb wc½j RUvRvj,

Zct wK¬ó Zß Zby, gy‡L Zzwj welvb fqvj

Kv‡i `vI WvKÑ

†n ˆfie, †n iæ`ª ˆekvL|Õ

evsjv‡`‡ki Agi I RvZxq Kwe KvRx bRiæj Bmjvg Gfv‡eB ˆekv‡Li eY©bv w`‡q‡Qb| FZzi½gqx GB iƒcmx evsjvi FZzbvqK MÖx®§| µ× `yÕ‡Pv‡L cÖLi ewýR¡vjv wb‡q iæ`ª Avwef©ve G gnvZvc‡mi| ÔcÖLi ZcYZv‡cÕ RxebavÎx awiÎxi e¶we`xY© n‡q hvq, †PŠwPi n‡q hvq Z…òvZ© cÖvšÍi| †h‡bv giæ imbvq awiÎxi cÖvY-im †kvwlZ n‡q Kw¤úZ wkLvq DV‡Z _v‡K gnvk~‡b¨| G `vnb ¶‡Y ¯Íä n‡q hvq me c¶x-KvKjx| †Kv_vI cÖvY PÂjZv †bB| †bB k¨vgjZvi Avfvm| me©ÎB cwi`„ó nq a~mi giæf‚wgi a~ a~ we¯Ívi| mgMÖ Rxe RM‡Z †b‡g Av‡m GK cÖvYnxb imnxb, cvÛzi weeY©Zv| ZviB g‡a¨ GKw`b Ôa~jvq a~mi iæ¶ DÇxb wc½j RUvRjÕ wb‡q ÔZctwK¬ó, Zß Zby fxlY fqvjÕ MÖx®§ †hb Aciv‡ý D`vË¡ K‡É WvK †`q Kvj ˆekvLx‡K| Av‡m ˆekvL| iæ`ª Zß ˆekv‡L †b‡P I‡V K¬všÍ ü`q-gb| iex›`ªbv‡_i AvKzj K‡Éi m‡½ evsjvi Avevj-e„×-ewYZv ¯^Ztù‚Z© Av‡e‡M ¯^vMZ Rvbvq ˆekvL‡K| AmsL¨ K‡É aŸwbZ nq †mB Av‡eMvcøyZ myiÑ

ÔG‡mv †n ˆekvL,

G‡mv G‡mv Zvcm wbtk¦vm ev‡q

gyg~l©y‡i `vI Dov‡q

eQ‡ii AveR©bv `~i n‡q hvK|Õ

Ggwb K‡iB ZvwcZRxeb †_‡K gyw³i cÖZ¨vkvq PvZ‡Ki g‡Zv Aaxi n‡q I‡V gvbyl-cÖvYxKzj| Kv‡jv †g‡Ni Avkvq me RivRxY© `~i Kivi Rb¨ e¨vKzj cÖK…wZ| FZzivR em‡šÍi we¯§q N‡U| cÖej cÖZv‡c nvwRi nq ˆekvL beel© iƒ‡c| Gw`‡bi ïf¶‡Yi Avb‡›` I we¯§‡q Avgv‡`i ü`q c~Y© n‡q I‡V| †b‡P I‡V gb wecyj mgv‡iv‡n| Avgiv beel©‡K ï‡f”Qv RvbvB| Tennyson Gi fvlvqÑ

‘Ring out the old, ring in the new,

Ring, happy bells, across the Snow;

The year is going, let him go;

Ring out the false, ring in the true.’

G w`bwU h_vwbq‡gB D`q w`M‡šÍ †f‡m I‡V| c„w_ex D™¢vwmZ nq Av‡jvK cøve‡b| Avb›` ¸Äi‡Y Pvwiw`K gyLwiZ nq| bZzb‡K Avgiv mvb‡›` eiY Kwi| cyivZb eQ‡ii `yL, Møvwb, e¨_©Zv I nZvkv‡K wemR©b w`B| b‡evw`Z m~h©v‡jv‡Ki †gvnbxq SY©v avivq Avgiv ï寜vZ n‡q Abyfe Kwi cig †cÖgvZ¥vi Avb›` ¯úk©| G cigjMœ wn›`y-gymjgvb Df‡qi Rb¨ Ab¨Zg †kÖôZg Drm‡ei w`b| GKvšÍB evsjvi gvwU I gvby‡li cig Drme|

bee‡l©i Drmvbyôvb

wewfbœ Drme Avi Abyôv‡bi ga¨ w`‡qB bee‡l©i w`bwU Avb›` avivq gyLi n‡q I‡V| evsjv beel©‡K DcRxe¨ K‡i †h me Abyôvb Avgv‡`i Rxe‡bi m‡½ Rwo‡q Av‡Q †m¸‡jvi g‡a¨ Ab¨Zg n‡”Q : (1) evwl©K †gjv (2) nvjLvZv I (3) cyb¨vnÑ

(1) evwl©K †gjv/ˆekvLx †gjv

bee‡l© evwl©K bv ˆekvLx †gjv GKUv mve©Rwbb Abyôvb| cqjv ˆekvL| GgbwK mvivgvm e¨vcx bvbv ¯’v‡b bvbv AvKv‡ii †gjvi Av‡qvRb K‡i _v‡Kb ¯’vbxq RbMY| Gme †gjvq dj, Lvevi, †Ljbv, Kviæwkí cY¨ BZ¨vw` †Kbv‡ePv n‡q _v‡K| Mvb-evRbv, Ave„wË I bvMi‡`vjvmn bvbv cÖKvi wPËwe‡bv`bg~jK †Ljva~jvi Av‡qvRb Kiv nq †gjvq|

(2) nvjLvZv

bee‡l©i Av‡iKUv mve©Rwbb Abyôv‡bi bvg nvjLvZv| Avgv‡`i †`‡ki me †kÖwYi, me a‡g©i e¨emvqxiv G Abyôvb K‡i _v‡Kb| cqjv ˆekv‡L Zviv †`vKvb-cvU ay‡q gy‡Q cwi®‹vi cwi”Qbœ K‡i, jZv-cvZv, KvMR †K‡U, dzj I cZvKv w`‡q †`vKvb mvRvq| Gw`b †ePv‡Kbvi †P‡q eis Avjvc Av‡jvPbv I Kzkj wewbgqB nq †ewk| e¨emvqxiv bZzb LvZv ev ÔnvjLvZvÕ †Lv‡j Ges eQ‡ii e¨v‡jÝ cvKvcvwK wj‡L iv‡L| KvR Kviev‡ii †jb‡`b, evwK e‡Kqv mewKQz wjwce× _v‡K GLv‡b| Avb›` I Djøvm wb‡q Av‡m MÖvnK, c„ô‡cvlK I ïfv_©xiv| Zv‡`i Avc¨vq‡bi e¨e¯’v _v‡K| G mgq ewntcÖKvk N‡U mvgvwRKZv, †jŠwKKZv, m¤úÖxwZ I †mŠRb¨Zvi |

(3) cyY¨vn

bee‡l©i Ab¨Zg G cyY¨vn Abyôvb Aaybv wejyß cÖvq| wKQzw`b Av‡MI mgMÖ evsjvq Rwg`vi ev ZvjyK`viMY KvQvix‡Z evsjv bee‡l© ÔcyY¨vnÕ Abyôvb Ki‡Zb| cÖRviv bZzb Rvgv Kvco c‡i Rwg`vi ev ZvjyK`vi evwoi KvQvix‡Z G‡m we`vqx eQ‡ii e‡Kqv ev bZzb eQ‡ii AvswkK LvRbv cwi‡kva KiZ| ZLb cÖRv‡`i A‡bK mgq LvIqv-`vIqv I cvb-mycvix †`qv nZ| G mgq Rwg`vi I cÖRv‡`i g‡a¨ fve wewbg‡qi gva¨‡g †mŠnv`¨©c~Y© cwi‡ek m„wó nZ| evsjvi we‡kl we‡kl A‡j GL‡bv G Abyôvb cÖPwjZ i‡q‡Q|

G meB mycÖvPxb HwZ‡n¨i aviK I evnK wKQz e¨w³I Gme Abyôvb wPiKvj a‡i Awe‡”Q`¨fv‡e Rwo‡q Av‡Q| hvi †Kv‡bvwU a‡g©i, †Kv‡bvwU g‡bi, Avevi †Kv‡bvwU Dfq i‡O iwOb| cÖvPxbKvj †_‡K bvbvfv‡e cvj‡bi ixwZ cÖPwjZ n‡q Avm‡Q e‡jB beel© GLb GK we‡kl HwZ‡n¨ cwiYZ n‡q‡Q| cÖL¨vZ fvlvwe` W. Gbvgyj nK e‡jb, Ôcqjv ˆekv‡L evsjvi Rb‡Mvôx AZx‡Zi myL-`ytL fz‡j wM‡q bZz‡bi AvnŸv‡b mvov w`‡q I‡V| Zviv Rv‡b G bZzb Awbwð‡Zi mywbwðZ m¤¢vebvq cwic~Y©| ZvB gb mvov †`q, PÂj nq, bZzb‡K MÖnY Kivi cÖ¯‘wZ †bq|Õ

ˆP‡Îi wejyw߇Z wZwgi ivwÎ †f` K‡i bZzb w`‡bi †R¨vwZ©gq m~h© hLb DuwK †`q c~e© w`M‡šÍ, ZLbB cÖvK…wZK wbm‡M© aŸwbZ nq be Rxe‡bi b„Z¨m½xZ| mgMÖ evsjvq e‡q hvq Avb›`‡gjv| gb hLb †b‡P I‡V, evsjvi RvwZ ag© wbwe©‡k‡l mevB GKm‡½ †g‡Z I‡V Djøv‡m| N‡i N‡i bZz‡bi †Quvqv, bev‡bœi Av‡qvRb| SMovSvwU `ye¨©envi eR©b K‡i gvbyl KvUvq my›`i I my‡gv¾j GKUv w`b| bee‡l©i wba©vwiZ Drmevbyôvb QvovI P‡j Av‡iv bvbv Av‡qvRb| Avb›`‡K Av‡iv Nwbf‚Z Kivi Rb¨ I Dc‡fvM¨ Kivi Rb¨ Av‡qvwRZ nq †bŠKv evBP, MÖv‡gi me‡P‡q eo eUe„‡¶i Zjvq Mv‡bi Avmi, †Kv_vI †Nvo‡`Šo, †gviM jovB wKsev Kzw¯Í cÖwZ‡hvwMZv| G w`‡b PvKgv, Lvwmqv, gyis DcRvwZivI K‡i _v‡K bvbv Abyôvb |

cqjv ˆekv‡Li HwZn¨ GLb Qwo‡q c‡o‡Q ivRavbx kn‡i| GLv‡b evsjvi mycÖvPxb HwZ‡n¨i K_v ¯§iY K‡i mKv‡j igbvi eUg~‡j Abyôvb ïiæi Av‡MB †mŠwLbZv ekZ †fvRb ce© mv‡ib A‡b‡K| Bwjk fvRv, gwiP †cqvR w`‡q cvšÍvfvZ †L‡q cÖvPxb HwZn¨‡K Dc‡fvM K‡ib Zviv| Zvici igbv eUg~‡j e‡m Mvb Avi KweZvi Avmi| evDj msMx‡Z gyLwiZ nq evsjvi cÖK…wZ| hw`I cÖvK…wZK fqvj _vev ˆekvLx So, NywY© wKsev wb‡`©vl gvbyl †evgvZs‡K w`b KvUvq| ZeyI K‡gbv Avb›` eb¨vi †Rvqvi| Ggwb K‡iB cÖwZeQi Avwef©~Z nq cqjv ˆekvL| evsjv bee‡l©i cÖ_g w`b| iæ`ª Zß `» gb †h‡bv evwi el©‡Y wm³ n‡Z Pvq| mviv eQ‡ii ¸wb RivRxY©Zv, AveR©bv Dc‡o †d‡j bZzb w`‡bi ¯^cœ †`‡L iæ`ª `» gvbyl| Nvgwm³ kix‡i e„wó wm³ nevi AvKzj cÖv_©bvq MÖvg-M‡Äi gvbyl †M‡q I‡VÑ

ÔAvjøvn †gN †` cvwb †`

Qvqv †`-†i ZzB

Avjøvn †gN †`...|Õ

Mfxi Avkv Avi cÖZ¨vkvi c_ †e‡q †h‡bv `ªæZj‡q †b‡P †b‡P P‡j Av‡m kxZj e„wó S‡oi Kuv‡a mIqvi n‡q| †m Rb¨B Avcvgi Rb-gvbyl ¯^‡cœ we‡fvi n‡q bZzb K‡i kc_ †bq| me Acms¯‹…wZ we`yi‡bi gva¨‡g †`kxq K…wóKvjPv‡i AvcøyZ nq| iæ`ª Zß ˆekv‡L †b‡P I‡V gvby‡li K¬všÍ gb|

 

†jLK : Aa¨vcK, AvBbRxwe, wnmveweÁvbx, mvsevw`K, me¨mvPx †jLK I msMVK

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

একজন সাইফুল আজমের প্র‍য়োজনবোধ করছে ফিলিস্তিন


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১, ০৪:৩৬
একজন সাইফুল আজমের প্র‍য়োজনবোধ করছে ফিলিস্তিন

ফাইল ছবি । সাইফূল আজম

 

সাইফুল আজম শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র যোদ্ধা, যিনি আকাশপথে লড়াই করেছেন তিন তিনটি, আলাদা দেশের বিমানবাহিনীর সদস্য হয়ে। তিনিই একক ব্যক্তি হিসেবে আকাশপথে যুদ্ধের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিলেন। ইতিহাসে নজির সৃষ্টিকারী ২২ জন ‘লিভিং ঈগলের’ অন্যতম একজন ছিলেন এই বীর বাঙালি বিমান সৈনিক'

১৯৭১ সালের পূর্বে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কাজ করেছিলেন সাইফুল আজম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে অংশ নেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের জুন মাসে তৃতীয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ আরম্ভ হলে সশরীরে যুদ্ধে অংশ নিতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইরাকি বিমানবাহিনীতে স্থানান্তরিত হন সাইফুল আজম। পশ্চিম ইরাকে অবস্থান নিয়ে ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন তিনি।

যুদ্ধ আরম্ভ হবার মাত্র ৫ দিনের মাথায় গাজা এবং সিনাইয়ের কর্তৃত্ব নিয়েছিল ইসরাইল। জুনের ৫ তারিখে সিরীয় বিমানবাহিনীর দুই-তৃতীয়াংশ শক্তি ধ্বংস করে দিয়েছিল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলি বিমান সেনারা। তেমন কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ইসরাইল পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেম তারা দখল করেছিল। করায়ত্ব করেছিল সিরিয়ার গোলান মালভূমিও। তাদের সামনে বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ তৈরি করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ। এ সময় ইসরাইলিদের যমদূত হয়ে জর্ডানে যান সাইফুল আজম।

৬ জুন আকাশ থেকে প্রচণ্ড আক্রমণে মিসরীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধ-সরঞ্জাম গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ইসরাইলি বাহিনী। একই দিনে চারটি ইসরাইলি সুপারসনিক ‘ডাসল্ট সুপার মিস্টেরে’ জঙ্গি বিমান আক্রমণের জন্য ধেয়ে আসে জর্ডানের মাফরাক বিমান ঘাঁটির দিকে। এবার তাদের উদ্দেশ্য ছিল জর্ডানের বিমানবাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া।

সে সময় ইসরাইলি শক্তিশালী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করার মতো সমতুল্য বিমান আরবীয়দের ছিল না। তবু ইসরাইলিদের আটকাতে মাফরাক বিমান ঘাঁটি থেকে 'হকার হান্টার’ জঙ্গি বিমান নিয়ে বুক চিতিয়ে উড়াল দিয়েছিলেন সাইফুল আজম।

আর সেই হকার হান্টার দিয়েই চিতার ন্যায় তীব্র গতিতে দুটি ইসরাইলি সুপারসনিক বিমানকে ভুপাতিত  করে মাটিতে আছড়ে ফেলেছিলেন  সাইফুল আজম। তার অব্যর্থ আঘাতের পর আঘাতে ভূপাতিত হচ্ছিল এক  একটি ইসরাইলি ‘সুপার মিস্টেরে’। 

সে দিন ভয়ডরহীন বৈমানিক সৈনিক সাইফুল আজমের অকল্পনীয় সাহস আর বীরত্বের কাছে ইসরাইলের সকল পরিকল্পনাই হারিয়ে যায়। উল্টো নিজেদেরই দুটো বিমান হারাতে হয়েছিল তাদের। এমন সাহসী বীরত্বের জন্য পুরস্কারস্বরূপ সাইফুল আজমকে ‘হুসাম-ই-ইস্তিকলাল’ সম্মাননায় ভূষিত করে জর্ডান সরকার।

সাইফুল আজমের কাছে ইসরাইলি বৈমানিকদের ধরাশায়ী হওয়া এটাই প্রথম। পরদিনই তার কৃতিত্বে ইরাকি বৈমানিক দলের কাছে চরমভাবে পরাজিত হয় ইসরাইলিরা। ৭ জুনে ইরাকের ‘এইচ-থ্রি’ ও ‘আল-ওয়ালিদ’ ঘাঁটি রক্ষা করার দায়িত্ব পড়ে এক ইরাকি বৈমানিক দলের কাঁধে। আর সাইফুল আজম সেই দলের অধিনায়ক। সে দিন চারটি ‘ভেটোর বোম্বার’ ও দু’টি ‘মিরেজ থ্রিসি’ জঙ্গি বিমান নিয়ে আক্রমণ চালায় ইসরাইল।

একটি ‘মিরেজ থ্রিসি’ বিমানে ছিলেন ইসরায়েলি ক্যাপ্টেন গিডিওন দ্রোর। দ্রোরের গুলিতে নিহত হন আজমের উইংম্যান। তার হামলায় ভূপাতিত হয় দুটি ইরাকি বিমান। পরক্ষণেই এর জবাব দেন আজম। তার অব্যর্থ টার্গেটে পরিণত হয় দ্রোরের ‘মিরেজ থ্রিসি’। সে আঘাতের পর বাঁচার উপায় না পেয়ে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ধরা দেন ক্যাপ্টেন দ্রোর। ওই যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে জর্ডান ও ইরাকের সহস্রাধিক সৈন্যকে মুক্ত করে দেয় ইসরাইল।

আরব-ইসরাইল যুদ্ধের প্রথম ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সাইফুল আজম একটি অনন্য রেকর্ড তৈরি করেন। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভূপাতিত করেছেন সর্বোচ্চ তিনটি ইসরাইলি বিমান। যে জন্য ‘নাত আল-সুজাহ’ সামরিক সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

ইতিহাসে তার অন্যান্য নজিড় স্থাপনকারী এই কাজের জন্য তাকে  পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা ‘সিতারা-ই-জুরাত’-এ ভূষিত করা হয়। সাইফুল আজমই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বৈমানিক যিনি চারটি দেশের বিমানবাহিনীর সৈন্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই চারটি দেশ হল পাকিস্তান, জর্ডান, ইরাক ও মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

এই চার দেশ ব্যতিত ও তিনি আটটি আলাদা দেশের আট বাহিনীর বিমান পরিচালনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, জর্ডান, ইরাক, রাশিয়া, চীন ও নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশের হয়ে বিমান চালিয়েছেন তিনি। যুদ্ধক্ষেত্রে অনন্য সব অর্জন আর ইতিহাস গড়া সাইফুল আজমকে ২০০১ সালে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স বিশ্বের ২২ জন ‘লিভিং ইগলস’-এর একজন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

কিংবদন্তি এই বীর বাঙালি আমাদের মাঝে আর বেচে নেই। গত বছর জুনে ঢাকার মহাখালী ডিএসএইচওর তার নিজ বাস ভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন তিনি নানা জটিল ও কঠিন রোগে ভুগছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - বিনোদন