a
ফাইল ছবি
ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেত্রী বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীকে। ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। চার বছর সংসার করার পর ২০১৯ সালে তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেন। বিয়ের সময় মধুমিতার বয়স ছিল ২১ বছর। ওই বয়সে বিয়ে করাটাই ভুল ছিল বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘খুব অল্প বয়সে বিয়ে করাটা ভুল ছিল। যদি তাড়াহুড়ো করে বিয়েটা না করতাম, তাহলে ক্যারিয়ারে আরো বেশি ফোকাস করতে পারতাম।’ তবে প্রাক্তন স্বামী সৌরভের সঙ্গে কাটানো সময়টা নিয়ে তার আফসোস নেই বলেও জানালেন মধুমিতা। তার ভাষ্য, ‘আমাদের কিছু ভালো স্মৃতি রয়েছে। ওর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই।’
ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন সৌরভ ও মধুমিতা। এরপরও কেন ভেঙে গেছে তাদের সংসার? এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘হয়তো আমাদের গুরুত্বটা আলাদা ছিল; তবে সঠিক বলতে পারব না। আমি খুব রোমান্টিক মানুষ। একদম খাদের কিনারায় না চলে যাওয়া পর্যন্ত সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। এখন মনে হয় বিয়েটা ভেঙে আরো আগে বেরিয়ে আসা উচিৎ ছিল।’
এদিকে কিছুদিন আগেই সৌরভ জানান, মধুমিতার সঙ্গে সংসার করতে পারেননি। তাই এখন আর কোনো কাজও করতে চান না। কাজ করাটা অস্বস্তিকর হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে মধুমিতার ধারণা ভিন্ন। তার ভাষ্য, ‘সৌরভের প্রতি যে অনুভূতিগুলো ছিল, এখন তা হারিয়ে গেছে। তাই পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে সৌরভের মতো একজন মেধাবী অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে আমার কোনো অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না।’
ছবি সংগৃহীত: অভিনেত্রী অঞ্জনার প্রথম জানাজা বিএফডিসিতে
নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে অভিনেত্রীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে বিএফডিসিতে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় অভিনেত্রীর মরদেহবাহী গাড়িটি প্রবেশ করে চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসির ভেতরে। সেখানে অঞ্জনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিচালক ছটকু আহমেদ, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অভিনেতা সনি রহমানসহ চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতের অনেকে।
এ সময় অঞ্জনার ছেলে নিশাত রহমান মনি জানান, বাদ জোহর এফডিসিতে জানাজা শেষে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। সেখানে আরেকবার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শেষ শয্যায় শায়িত হবেন অঞ্জনা।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। ইনফেকশন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর ১ জানুয়ারি (বুধবার) বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় অভিনেত্রীকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালটির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
মৃত্যুর সংবাদ শুনে হাসপাতালে ছুটে যান স্বজন ও চলচ্চিত্রের মানুষেরা। এ সময় শোকে ভারি হয়ে উঠে সেখানকার পরিবেশ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আগামী মঙ্গলবার কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে যুক্তরাষ্ট্র। চির বৈরি দুই দেশের ফুটবল টিম মাঠে নামার আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ নিয়ে রোববার ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু সেই পোস্টে তারা ইরানের জাতীয় পতাকা বিকৃত করেছে।
ইরানের আসল পতাকার বদলে— ইরানের পতাকার মাঝে থাকা প্রতীকটি বাদ দিয়ে বিকৃত ছবি প্রকাশ করে। এ নিয়ে ফিফার কাছে সরাসরি নালিশ জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের পতাকা হিসেবে যে ছবি দেওয়া হয়েছে তাতে ‘আল্লাহ’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ নেই। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিকৃত এই পতাকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে ফিফায় অভিযোগ করেছে তেহরান।
প্রেসটিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ফুটবল দলের ফেসবুক পেইজেও একই কাজ করা হয়েছে।
ইরানের জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন মার্কিন ফুটবল দলের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফা’র কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। তারা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বকাপ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ফিফার কাছে আবেদন জানিয়েছে।
ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরানের জাতীয় ও ধর্মীয় পরিচিতির ওপর আঘাত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরানে যেসব নারী হিজাববিরোধী বিক্ষোভ করছেন তাদের প্রতি সমর্থন জানাতে ইরানের পতাকা থেকে ইসলামিক প্রতীক বাদ দিয়েছিল তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশনের একজন মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, তারা ওই পোস্ট মুছে দিয়েছেন এবং ইরানের সঠিক পতাকা দিয়ে পরবর্তীতে পোস্ট করেছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘ইরানের নারী আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।’
ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ফেডারেশন যে কাজ করেছে সেটি ফিফার নিয়ম অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ। এ অপরাধের শাস্তি হিসেবে একটি দল বা ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন দশ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে।
ইরান এখন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছে। যদিও ফিফা এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে না বলেই মনে করছেন সবাই। সূত্র: যুগান্তর