a
ফাইল ছবি
দীর্ঘ দিনের বলিউডের গোছানো ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী জাইরা ওয়াসিম ও সানা খানসহ অনেকে। কারণ হিসেবে তারা বলেছিলেন ইসলামে সমর্পণ করতে চান নিজেদের। এবার জানা গেল ইসলাম ধর্মের পথে চলতে বিনোদন জগতকে বিদায় জানিয়েছেন ভোজপুরী সিনেমার আরেক অভিনেত্রী সহর আফসাহ। সামাজিক মাধ্যমে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি সকলকে জানাতে চাই যে আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছি আর এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই না। বাকি জীবনটা ইসলামের শিক্ষা এবং আল্লাহর নিয়ম মেনেই কাটিয়ে দিতে চাই। অতীতে আমি যেভাবে জীবন কাটিয়েছি তার জন্য আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি।’
সহর আরও লিখেছেন, ‘বিপুল সাফল্য আর অর্থ পেয়েও আমি তৃপ্ত ছিলাম না। কারণ আমি ছোটবেলায়ও এই ধরণের জীবনযাপন করার কথা ভাবিনি। হঠাৎ করেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমি এসে পড়ি আর এগিয়ে যেতে থাকি। কিন্তু এইসব কিছু শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এর আগে ২০১৯ এ অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম বলিউড ছাড়েন। বেছে নেন ধর্মের পথ। সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া।
ফাইল ছবি : গাজী মাজহারুল আনোয়ার
কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও কালজয়ী গানের স্রষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পুত্রবধূ শাহানা মির্জা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অসুস্থ অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন, তার পালস পাওয়া যাচ্ছে না। এর কিছুক্ষণ পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহানা মির্জা আরও বলেন, গত কয়েক দিন ধরে এসিডিটির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। আমরা শনিবার তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিল। রোববার উনার আরও অনেক কিছু পরীক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু সকালে তো তিনি চলে গেলেন।
দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বেতার, টেলিভিশন, সিনেমাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তার লেখা কালজয়ী গানও অসংখ্য। গীতি কবিতায় অবদান রাখার জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো— ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’ প্রভৃতি। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
দেশে চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) মাথাপিছু আয় গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ১৬৩ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান বছরে মাথাপিছু আয় হয় ২ হাজার ২২৭ ডলার। গত অর্থবছর (২০১৯-২০) ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার।
আজ ১৭মে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য তুলে ধরেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী একটা বিষয় জানিয়েছেন, সেটা আমাদের উন্নয়নের সাথে জড়িত। আমাদের ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগের তুলনায় এবছর মানুষের মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।'
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, 'গত অর্থবছরে জিডিপি ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি, এবার এটা হয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যদিও পরিসংখ্যান এখনও পূর্নাঙ্গ হয়নি। অর্থ বিভাগ থেকে প্রাথমিকভাবে একটা হিসাব দেওয়া হয়েছে।'
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'জিডিপিও বেড়েছে, মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বেড়েছে। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে হয় এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা (প্রতি ডলার ৮৪ দশমিক ৮১ টাকা ধরে)। এটা বাংলাদেশর ইতিহাসে বিশাল এক অর্জন।'