a
সংগৃহীত ছবি
চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে আবারও আদালতে হাজির করা হবে। আজ দুপুরে তাদেরকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদক মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে পরীমণি ও দীপুর শুনানি হবে।
এর আগে মঙ্গলবার পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
গত ৪ আগস্ট রাতে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে র্যাব আটক করে।
ফাইল ছবি
অনেক উৎবেগ, উৎকণ্ঠা, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) অনুষ্ঠেয় এবারের নির্বাচনে ২০২২-২৪ মেয়াদের জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান।
সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন ভোট পেয়েছেন ১৯১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। একই পদের দাঁড়িয়ে নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ডিপজল ও রুবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক, যুগ্ম সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন অভিনেত্রী শাহানূর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মামনুন ইমন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জয় চৌধুরী।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গণনা শেষে নির্বাচনে ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন। কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন মৌসুমী, অঞ্জনা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, সুচরিতা, কেয়া, ফেরদৌস, অমিত হাসান, জেসমিন, চুন্নু।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টায় বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল সোয়া ৫ টায়।
ফাইল ছবি
এবারের বাজেটে আগের মতোই থাকছে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা। অর্থাৎ বার্ষিক আয় যাদের ৩ লাখ টাকার কম তাদের কোনো কর দিতে হবে না। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। নারী করদাতা, সিনিয়র করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য বিদম্যান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। বর্তমান সরকার ব্যবসা সহকীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়ী করদাতাদের কর দায় লাঘবে সরকার সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে ব্যক্তি করদাতাদের ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার কমিয়ে ০.৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। চার বছর করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই ছিল। সাধারণত চার-পাঁচ বছর পরপর জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই সীমা বাড়ানো হয়।