a
সংগৃহীত ছবি
দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এসডি রুবেল পরিমণিকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হ্যালো বিবেক, বিচার আদালতে হোক, মিডিয়া তে নয়। হয়তো তিনি যথার্থই বলেছেন, তার মতো অন্ধ কিছু ভক্ত পরিমণিকে নিয়ে মাতামাতি করছেন তাদের কাছে রুবেলের এই মন্তব্য যথার্থই মনে হবে।
কিন্তু আজ সমাজে পরিমণির মতো ব্যক্তিরা সমাজ সংসারকে (পুরুষ/মহিলা) কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। পরিমণির মতো এসব নায়িকারা যখন চলচ্চিত্র প্রাঙ্গণ কলুষিত করছে, তখন ভাল ইমেজের নায়ক-নায়িকারা বা অভিনেতারা বিব্রতবোধ করেন এবং পরিমণির এসব কর্মকান্ডে বিব্রত হয়েছেন অনেকেই। সাধারণ মানুষ মনে করেন চলচ্চিত্র প্রাঙ্গণ এমনই। আসলে কি তাই?
বিচারালয়ে বিচার হবে, তবে নষ্ট মানুষগুলো কষ্ট দেবে সমাজের ভাল মানুষকে তা হতে পারে না। একজন পরিমণি ৫/৬ বছরে সমাজে এরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, তা হতে দেয়া যায় না। আর সমাজে এসব ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভবও হয়ে উঠে না।
তাই বিচারালয়ে বিচার হয়তোবা যথোপযুক্তভাবেই হবে। পাশাপাশি জনসম্মুখে এসব ব্যক্তিদের কার্যকলাপ প্রকাশ পেলে অন্য সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা ও ঘৃণা জন্মাবে। ফলে ভবিষ্যতে এসব পরিমণরা গড়ে উঠার সুযোগ নেবে না।
সমাজে নষ্ট ব্যক্তিদের অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। আমাদের সমাজে প্রত্যেক সেক্টরে এসব পরিমণি খুঁজে পাওয়া যাবে। এদের ঘৃণিত কাজগুলো অঙ্গুলি দিয়ে প্রকাশ করার সুযোগ থাকলে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনাগুলো কম ঘটবে বৈকি।
সমাজে নষ্ট বা বিতর্কিত মানুষের পক্ষ নিয়ে স্বনামধন্য ব্যক্তিরা মন্তব্য করতে আরও যত্নশীল হবেন, এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল। প্রসঙ্গত, পরিমণের বিষয়টি নিয়ে এস ডি রুবেল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এভাবে-
‘হ্যালো বিবেক, বিচার আদালতে হোক, মিডিয়া তে নয়। জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে প্রথমত মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করানো উচিত ছিল? একান্ত ব্যক্তিগত জীবনে পরীমণি যদি ভুল করে থাকে, একজন শিল্পীকে বৃহত্তর স্বার্থে শুধরানোর জন্য সামাজিক সুযোগ রাখা উচিত ছিল কি! পর্দার আড়ালে সে যদি ভুল করে থাকে, সেটা বিচ্ছিন্নভাবে জনগণের সামনে এনে কার স্বার্থ হাসিল করা হল! সম্ভাবনাময় একজন শিল্পীর এমন পতনে হৃদয় ব্যথিত!’
ফাইল ছবি
বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের (অস্কার) ৯৩তম আসরের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হলো। এবার সেরা চলচ্চিত্রসহ সর্বাধিক চারটি বিভাগে সেরা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান ভাষায় নির্মিত ‘প্যারাসাইট’। সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কারের ৯৩ বছরের ইতিহাসে ইংরেজি ব্যতিত অন্যভাষার ছবির জয়ের ঘটনা এটাই প্রথম।
প্রতি বছরের মতো এবারও সেরা ছবি, সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা, সেরা অভিনয়শিল্পী, সেরা প্রামাণ্যচিত্রসহ ২৩টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করেছে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদানের জমকালো এই আয়োজনে ছিল না কোনও সঞ্চালক। এবিসি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৫টি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় অনুষ্ঠানটি।
একনজরে ৯৩তম অস্কারের বিজয়ীরা
সেরা চলচ্চিত্র: নোম্যাডল্যান্ড
সেরা অভিনেতা: অ্যান্থনি হপকিন্স (দ্য ফাদার)
সেরা অভিনেত্রী: ফ্রান্সেস ম্যাকডরম্যান্ড (নোম্যাডল্যান্ড)
সেরা পরিচালক: ক্লোয়ি জাও (নোম্যাডল্যান্ড)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা: ড্যানিয়েল কালুইয়া (জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসায়া)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী: ইয়া-জাঙ উন (মিনারি)
সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য: প্রমিসিং ইয়াং ওম্যান (এমারেল্ড ফেনেল)
সেরা অ্যাডাপ্টেড চিত্রনাট্য: দ্য ফাদার (ক্রিস্টোফার হ্যাম্পটন ও ফ্লোরিয়ান জেলার)
সেরা অ্যানিমেটেড ছবি: সৌল (পিট ডক্টর ও ডানা মারে)
সেরা চিত্রগ্রহণ: ম্যাঙ্ক (এরিক মেসারস্মিট)
সেরা পোশাক পরিকল্পনা: মা রেইনি’স ব্ল্যাক বটম (অ্যান রোথ)
সেরা প্রামাণ্যচিত্র: মাই অক্টোপাস টিচার (পিপ্পা এরলিচ, ক্রেগ ফস্টার ও জেমস রিড)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র: কলেট (অ্যালিস ডয়ার্ড ও অ্যান্থনি গিয়াচ্চিনো)
সেরা সম্পাদনা: সাউন্ড অব মেটাল (মিকেল ই. জি. নিলসেন)
সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র: অ্যানাদার রাউন্ড (ডেনমার্ক)
সেরা রূপ ও চুলসজ্জা: মা রেইনি’স ব্ল্যাক বটম (সের্গিও লোপেজ-রিভেরা, মিয়া নিল ও জেমিকা উইলসন)
সেরা মৌলিক সুর: সৌল (ট্রেন্ট রেজনা, অ্যাটিকাস রস, জন বাটিস্ট)
সেরা মৌলিক গান: ফাইট ফর ইউ (জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসায়া)
সেরা শিল্প নির্দেশনা: ম্যাঙ্ক (ডোনাল্ড গ্রাহার বার্ট ও জ্যান পাসকেল)
সেরা শব্দ: সাউন্ড অব মেটাল (জেইম বখত, নিকোলাস বেকার, ফিলিপ ব্লাড, কার্লোস করতেস ও মিশেল কুটোলেঙ্ক)
সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস: টেনেট (স্কট আর. ফিশার, অ্যান্ড্রু জ্যাকসন, ডেভিড লি ও অ্যান্ড্রু লকলি)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড ছবি: ইফ অ্যানিথিং হ্যাপেনস আই লাভ ইউ (মাইকেল গোভিয়ার ও উইল ম্যাককরম্যাক)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: টু ডিস্ট্যান্ট স্ট্রেঞ্জার্স (ট্রেভন ফ্রি ও মার্টিন ডেসমন্ড রো)
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
চুনারুঘাটে মামুন মিয়া (২৫) নামের এক ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার উত্তর বড়জুষ গ্রামের এজবত উল্লার পুত্র।
গতকাল শুক্রবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে সে বিষপান করে ছটফট করতে থাকে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।