a
ফাইল ছবি
জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান সন্তান সম্ভাবনা। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই তার মা হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে টলিপাড়ায়। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি নুসরাত।
তার ঘনিষ্ঠমহল সূত্র থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরাতের জীবনে আসতে চলেছে নতুন অতিথি। এক মাস আগেই এই সুখবর পেয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নুসরাতের স্বামী নিখিল জৈন। তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ওর সঙ্গে দীর্ঘদিন আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই সন্তান আমার নয়।’
গত কয়েক মাস যাবত নিখিলের সহিত সম্পর্ক টানাপোড়েন চলছে নুসরাতের। স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে আইনগতভাবে বিচ্ছেদ না হলেও একসঙ্গে তারা থাকছেন না। গুঞ্জন রয়েছে ‘এসওএস কলকাতা’ ছবির শুটিংয়ের সময় থেকেই যশের প্রেমে পড়েছিলেন বিবাহিত নুসরাত। সূত্র: আনন্দবাজার
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ। আজ ১০ এপ্রিল ২০২৫ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা বলেন, আজ আমরা যখন আপনাদের সামনে এই বক্তব্য পেশ করছি তখন সেই মুহূর্তে গাজায় বর্বর ইসরায়েলী হানাদার বাহিনীর বুলেটের আঘাতে হয়তো ঝরে পড়ছে কোন নারী শিশু অসহায় মানুষের প্রাণ।
ফিলিস্তিনের হাজার হাজার মানুষের আত্মদানের প্রতি গভীর শোক বেদনা সম্মান প্রদর্শন করে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক এবং গণমানুষের সার্বিক মুক্তির সাহসী কান্ডারী ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ' আয়োজিত আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন, ধন্যবাদ এবং হৃদয়োষ্ণ ভালোবাসা।
আজ আমরা এখানে এক গভীর উদ্বেগ ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত এটি হয়েছি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। এটি শুধুমাত্র একটি ক্যালেন্ডার বছরের সূচনা নয়, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। বাংলা নববর্ষ-যেখানে গ্রামের মেলা থেকে নগরের শোভাযাত্রা পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে, ব্যবসায়ীরা হালখাতা খোলে, কবিরা নতুন কবিতার প্রাণ- স্পন্দন খুঁজে পায়, শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণী, নর-নারী রঙবেরঙের নতুন পোশাক, ফুলসজ্জায় নদীর ঢেউয়ের মতন রাস্তায় নেমে আসে, সারাদেশে-শহরে নগরে হাটে মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের জোয়ার বয়ে যায়। আর মানুষ জাত-ধর্ম-বর্ণ ভুলে একসঙ্গে একআনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু এই সার্বজনীন আনন্দঘন উৎসব আজ একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের নিশানায়। কিছু গোষ্ঠী-যারা ইতিহাস অস্বীকার করে, যারা সাম্প্রদায়িক মতাদর্শকে সাংস্কৃতিক চেতনার উপর চাপিয়ে দিতে চায়-তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলা নববর্ষকে ‘অইসলামিক' বা ‘বিদেশি সংস্কৃতি'র অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা মোটেও সঠিক নয় বরং ইতিহাস বিকৃতি ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা।
মূলতঃ বাংলা নববর্ষের মূল ইতিহাস হচ্ছে মোগল সম্রাট আকবরের আমলে কৃষি ও খাজনা ব্যবস্থার সহজীকরণের উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত বাংলা সন। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় ৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬ থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ‘ফসলি সন' পরে ‘বঙ্গাব্দ' বা ‘বাংলা বর্ষ' নামে পরিচিত হয়। এটা কোনো ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং প্রশাসনিক প্রয়োজন থেকেই উৎসারিত একটি ক্যালেন্ডার ব্যবস্থা। অথচ আজ একশ্রেণির লোক ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হেয় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়া 'শোভাযাত্রা' আজ একটি ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। কিন্তু কিছু গোষ্ঠী এটিকে ‘মূর্তিপূজা' আখ্যা দিয়ে কটূক্তি করছে। এটি প্রকৃত অর্থে একটি প্রতীকী প্রতিবাদ ও শুভবোধের বহিঃপ্রকাশ, যা বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে বিশ্বমঞ্চে আমাদের পরিচয় তুলে ধরছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও গোপন গ্রুপে নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে। এটা শুধু মত প্রকাশ নয়, সাংস্কৃতিক জঙ্গিবাদের সূক্ষ্ম রূপ। অতীতে ২০০১, ২০০৭, ২০১৫ সালের মতো বিভিন্ন সময় এই উৎসবে হামলা ও হুমকির ইতিহাস আছে। এখনো আশঙ্কা থেকেই যায়, বিশেষ করে জনসমাগমকে টার্গেট করে।
জাতীয় কবিতা পরিষদ মনে করে, বাংলা নববর্ষকে লক্ষ্য করে চালানো এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ এটি কেবল একটি উৎসব রক্ষার লড়াই নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ভাষা আন্দোলনের গর্ব ও জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। আমরা মনে করি, ‘বাংলা নববর্ষ' হলো একটি সাংস্কৃতিক ঐক্যের বাহক। এটি হিন্দু-মুসলিম- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত উৎসব। বাংলা নববর্ষ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এটি বিভাজন নয়, একতা তৈরি করে।
বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে। যা এই ঐক্যকে আরও বৃহৎ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করবে। এই উৎসবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এই দেশবিরোধী, স্বাধীনতা, সার্বভৌম বিরোধী গভীর চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র এখনই প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধ্বংস ও ধুয়ে মুছে যাবে।
আমাদের তাই দাবি ও আহ্বান:
১. সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান-বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ষড়যন্ত্র বা সহিংসতার আশঙ্কা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও গণমাধ্যমে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরা হোক।
৩. ধর্মীয় অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
৪. সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণে দেশব্যাপী ‘সংস্কৃতি রক্ষা অভিযান' গড়ে তোলা হোক-পথনাটক, কবিতা পাঠ, আলোচনা সভা ও গণসংগীতের মাধ্যমে।
৫. সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান-এই অপপ্রচারের জবাব দিন সাহস ও সচেতনতায়। ঘরে ঘরে গর্জে উঠুক বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জয়গান।
বাংলা নববর্ষ আমাদের গর্ব, আমাদের আত্মপরিচয়। এই উৎসব বাঁচলে বাঁচবে আমাদের সংস্কৃতি, বাঁচবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জাতীয় কবিতা পরিষদ এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করছে-অন্ধকারের অপশক্তি যে যেভাবেই যে ষড়যন্ত্রই করুক না কেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপন চলবে, আরও জাঁকজমকভাবে, আরও ব্যাপকভাবে। কারণ এটাই আমাদের প্রতিরোধ, এটাই আমাদের উত্তরাধিকার। চলুন, আমরা শব্দ বর্ণে ছন্দ অলংকারে-কবিতায়, কণ্ঠে, কলমে, শিল্পে চেতনার মশাল জ্বেলে রুখে দাঁড়াই, বলি-বাংলা নববর্ষের ওপর কোনো আঘাত আমরা মেনে নেব না। আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষায় এদেশের প্রগতিশীল কবিরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে আজও তা করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জাতীয় কবিতা পরিষদের কবি ও কর্মীরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করবে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখবে। এটাই আমাদের আজকের দৃপ্ত ঘোষণা।
আপনারা জাতির বিবেক, আপনারা জাতির পথপ্রদর্শক, আপনারা মানুষের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার বাহক, তাই আজ আমরা জাতীয় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে আপনাদের একান্ত অনুরোধ জানাই-আপনারা দেশেবিদেশে সর্বত্র আমাদের এই বক্তব্য, আমাদের এই চাওয়া, আমাদের এই দাবি তুলে ধরে, পৌঁছে দিয়ে আপনার-আমার-আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জাতিসত্তার পরিচয়, ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি সুরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনে আন্তরিক ও অকৃপণ হবেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সভাপতি মোহন রায়হান উপস্থিত সকলকে শুভ বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানান।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: চাকরী জাতীয়করণ এর দাবিতে 'সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন' আজ সকালে ১৭/০৪/২০২৫ খ্রিঃ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক দফা এক দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন, সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি এবং স্মারকলিপি প্রদান করে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশের সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের দাবী আদায়ের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। দীর্ঘদিন যাবৎ অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে ২০১৩ সালে ১৯০০ এবং ২০২৩ সালে ৪০০০ জন কর্মচারীকে মাউশি কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বঞ্চিত করে নতুন জনবল নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত করেছে।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা নিরুপায় হয়ে আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সহানুভূতির সহিত দৃষ্টি কামনায় গত ২১/০৮/২০২৪খ্রি. তারিখে একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনসহ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কে স্মারকলিপি প্রদান করি । তিনি আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করবেন মর্মে তাঁর প্রেস সচিব দ্বারা মৌখিক আশ্বাস প্রদান করেন।
তারা আরো বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশের স্বনামধন্য ৩৩০ টি (পূর্বের/পুরাতন) সরকারি কলেজে ০১ থেকে ৩৫ বছর যাবৎ সরকারি কলেজে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে বেসরকারিভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের আলোকে স্ব-স্ব কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিয়োগের মাধ্যমে সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছি। কিন্তু আমাদের চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হচ্ছে না। ১৯৯১ এর নিয়োগ বিধিতে স্ব-স্ব কলেজের শুন্য পদের ১০০% এর ভিতর ৬০% নিয়োগ কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রদান করে মহাপরিচালক মহোদয়ের নিকট সুপারিশসহ প্রেরণ করতেন, তখন আমাদের মধ্যে থেকে যারা সিনিয়র হিসেবে কর্মরত থাকতো তাদের মধ্যে কয়েক জনের চাকুরী রাজস্ব খাতে নিতো যা ২০০৪ খ্রি. পর্যন্ত ছিল, অবশিষ্ট ৩০% মাউশির মহাপরিচালক নিয়োগ দিতেন। কিন্তু ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা ১৯৯১ এর নিয়োগ বিধি সংশোধন করে আমাদেরকে বঞ্চিত করে কেন্দ্রীয়ভাবে ১০০% নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় আমরা ২০০৪ ইং সালের পর থেকে রাজস্ব খাতের নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হই।
আমাদের অনেকের বয়স ৩০ বছরের অধিক হয়ে গেছে। আমরা সামান্য মজুরীতে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমরা সরকারি কলেজের সকলেই যে দপ্তরে চাকুরী করছি সেখানে আমরা সরকারি দায়িত্ব পালন করছি। বিভিন্ন কলেজ জাতীয়করণ/ সরকারিকরণ করা হলেও আমাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করা হচ্ছে না। ২০১৩ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও আমাদের জাতীয়করণের জন্য মহামান্য হাইকোট ডিভিশনে রিট পিটিশন করা হয়। কিছু কিছু মামলা ইতোমধ্যে আমাদের পক্ষে রায় ঘোষনা দিয়েছে। ২০১৭ সালে মামলার প্রেক্ষিতে কিছু পদ শূন্য রেখে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর নিয়োগ সম্পূর্ণ করে। সমগ্র বাংলাদেশের কলেজসমূহের সূচনালগ্নে যে গন সৃষ্টি হয়েছিল তা দিয়ে বর্তমান কলেজের অনার্স মাস্টার্স বিভাগসমূহ পরিচালিত হচ্ছে ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে না পেরে আমাদের মাউশির পরিপত্র মোতাবেক কলেজ অধ্যক্ষগণ নিয়োগ প্রদান করেন। আমরা অত্যন্ত সুনামের সাথে সরকারি কলেজের সরকারি দায়িত্ব দীর্ঘবছর যাবৎ পালন করে আসছি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক নং- ওএম-১৫১-জিএ/২০০৮/ ৫৫৪৩১/১২জিএ, ১৪/১১/২০০৮ তারিখে ১৯৯১ সালের নিয়োগ বিধি ৬(৩) (ক) ধারা মোতাবেক অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক হওয়ায় চাকুরী স্থায়ী করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্বারক নং- ওএম-৯৪-জি /২০১১ (অংশ-১)/২৮৮৩৩/১০, ০৯/০৫/২০১৭ খ্রি. মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রীট পিটিশন নং-৩২৭৫/২০১৭ ও ৩১১৭/২০১৭ বিচারাধীন থাকায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদ সংরক্ষণ করা হয় । মামলা নম্বর: ৭৫৩৪/২০১৭ বয়স শিথিল করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের আদেশ দেন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোট ডিভিশন। এতে সরকার মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আফিলিয়েট ডিভিশনে (২৯৩২/২০১৯) আপিল করেন। কিন্তু আমরা এখনও কোনো প্রকার আশার বাণী পাইনি।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার মৌখিক আশ্বাস পেয়ে আমরা আমাদের কর্মসূচী সমাপ্ত ঘোষণা করি। পরবর্তীতে আমাদের বিষয়ে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না হওয়ায় গত ০৪/০৯/২০২৪খ্রি. পুনরায় প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিবের কার্যালয়সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়গণকে স্মারকলিপি প্রদান করি এবং ২৯ অক্টোবর ২০২৪খ্রি. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকদের নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন ও ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি মতবিনিময় সভার আলোজন করি কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০১৩ সাল থেকে অদ্যবধি মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচী, ১৮দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন, সাংবাদিক সম্মেলন, নিজ নিজ কর্মস্থলে ১ঘন্টা প্রতিকী কর্মবিরতিসহ একাধিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে আমাদের দাবী আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও আমাদের বিষয়ে কোন সরকারই এখনও পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর দ্বারা আমাদের নায্য দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা অব্যহত রাখবো।
দাবীসমূহ:
* সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণ করতে হবে;
* কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করতে হবে, অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের চাকুরীর নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে; (শূন্য পদের বিপরীতে এবং নতুন পদ সৃজনের মাধ্যমে স্ব স্ব কলেজে অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাজস্বখাতভূক্ত করতে হবে।)
* রাজস্বখাতভূক্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।