a আজীবন নিমজ্জিত
ঢাকা সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আজীবন নিমজ্জিত


ফেসবুক ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০১ জুন, ২০২১, ১০:৩৫
 আজীবন নিমজ্জিত

ফাইল ছবি । মোসলেমা পারভীন

  আজীবন নিমজ্জিত 
       মোসলেমা পারভীন

তুমি আমার সামনে থেকে
       সব সুন্দর মুছে দিতে পারো,
       সরিয়ে নিতে পারো সুন্দর,
       ঢেকে দিতে পারো আঁধারে,
তবু আমার দুচোখ খুঁজে নেবে সুন্দর।
সুন্দরকে দেখার যে চোখ, 
              যে মন ও মনন,
সে আমারই থেকে যাবে আজীবন—
অন্ধ বধির তো হয় মন, 
            দৃষ্টি কিংবা শ্রবণ নয়।
যে মন যে চোখ চিরকাল 
        খুঁজে ফেরে সুন্দর 
সে আঁধারেও সুন্দরের দেখা পায়!
আঁধারের সৌন্দর্য তো 
              কেড়ে নেয়া যায়না!
অতল আঁধারে ডুবে দেখেছো কোনদিন?
চেয়ে দেখেছো কি কখনও, কোন সুন্দর 
                         লুকানো সেখানে?
ভালোবাসা সুন্দর,
    ভালোবেসে সুন্দরকে খুঁজে দেখেছো কখনও?
সৃষ্টি সুন্দর, ভালোবাসাই সৃষ্টি,
          ভালোবাসায় সুন্দরের সৃষ্টি।
যে চোখে, যে মনে ভালোবাসা থাকেনা
    সে চোখে, সে মনে সুন্দর অপসৃয়মান।
মমতার আর্দ্রতা ছাড়া
          কোন সুন্দর সৃষ্ট হয়নি কোনদিন!
আমার পৃথিবী চিরকাল সুন্দর, 
     আমার আকাশ চিরকাল কথা কয়।
মানুষ যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
         আমার আদিগন্ত আকাশ,
             আমার সুষ্ময় পৃথিবী
আর্দ্রতায় স্নিগ্ধ করে রেখেছে আমাকে।
আমি আজীবন নিমজ্জমান
         অন্তঃহীন সুন্দরের সমুদ্রে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পঞ্চাশের যুবতী: গোপা গড়াই মন্ডল


মুন্না শেখ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৬ মে, ২০২৫, ০৭:৩৭
পঞ্চাশের যুবতী গোপা গড়াই মন্ডল

ছবি সংগৃহীত

পঞ্চাশের যুবতী

কি সাহস রে বাবা মহিলার।
বয়সটা যে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে সে দিকে
কোনো ভ্রুক্ষেপ ই নেই।
কি একটিভ স‍্যোশাল মিডিয়ায় !!
ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম কিছুতে--ই বাদ নেই।
সারা দিনে তার লাইক, কমেন্ট,আর শেয়ারের ছড়াছড়ি।
আবার টিকটকেও কখনো নায়িকা-, --তো কখনো গায়িকা !
বাপরে বা---প পারেও বটে।
নিজেকে একেবারে টিন এজারে এনে নামিয়েছে।
এই তো সেদিন দেখলাম 
হৈ হৈ করতে করতে 
পার্টিতে মেয়ের সাথে  ডান্স করছে।
উঁঃ লজ্জার মাথা খেয়েছে এক্কেবারে।
           *     *    *
হ‍্যাঁ হ‍্যাঁ বলুন। যত্ত খুশি বলুন।
এ সব শুনে শুনে গা সওয়া হয়ে গেছে, বুঝলেন।
কি হয়েছে পঞ্চাশ হয়েছে তো।
পঞ্চাশ হয়েছে বলে ঘরের কোণে 
একটা সুতির ছাপা পরে বসে থাকব নাকি।
শুনুন,সারা জীবন শুধু 
এটা করতে নেই,ওটা করতে নেই
এখানে যাওয়া হবে না,ওখানে যাওয়া হবে না
এই ই শুনে এসেছি।

যখন ষোলোই ছিলাম 
ছেলে বন্ধু তো দূরের কথা
কোনো মেয়ে বন্ধুর বাড়িতে গেলেও 
মা কে সঙ্গে নিয়ে যেতে হতো।
আর পিকনিক, ঘোরাফেরা,সিনেমা !
এ সব তো অলীক কল্পনা ছিল মশাই--- 
অলীক কল্পনা।

তারপর যখন কুড়ি হল---
বেশ রাঙা টুকটুকে বৌ সেজে শ্বশুরবাড়িতে এলাম।
বাব রে বা---প !!! 
সেখানেও আবার এমন নজরদারি,
কি বলি  !! ---
কোনটা খাইনা, কেন খাইনা?
হাতে কেন বড় বড় নখ রেখেছি?
সকলের সামনে নাইটি পড়তে আমার লজ্জা করে কিনা,---
মেয়ে মানুষ হয়ে এত হৈ হৈ কিসের,
ইত‍্যাদি ইত‍্যাদি।
আর বাইরে গেলে  ! 
শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, জা -ননদ হাজারটা কৈফিয়ত।

তারপর পঁচিশে---,  যখন মা হলাম,
ছেলেকে খাওয়াতে অসুবিধা হবে বলে 
নাইটি ছেড়ে সুতির ছাপা পড়া ধরলাম।
কোমরে আঁচল গুঁজে এমন দশভুজা হয়ে গেলাম যে----
কোথায় সিনেমা,কোথায় বেড়ানো,
আর কোথায় যে আনন্দ সব ভুলে গেলাম।
না না এটার জন‍্য আক্ষেপ করছিনা।
এটা তো আমার কর্তব্য।

দেখতে দেখতে আরো পঁচিশটা বছ--র কেটে গেল।
ছেলে আর মেয়ের পড়াশোনা,গানবাজনা 
আর ওদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা নিয়ে।
ওদের সংসারও গড়ে দিয়েছি নিজের হাতে।
ওরা এখন যে যার মত ---
বন্ধু বান্ধব, হৈ হুল্লোড়,পার্টি, ভ্রমণ এসব নিয়ে ব‍্যস্ত।

তাই আমিও একটা প্রফাইল খুললাম
খুঁজেনিলাম নিজের একটা জগৎ।
জানেন? আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডের সংখ‍্যা এখন দু-হাছার ছাড়িয়েছে!
আমা---র আবার ফেসবুকে ভেসে ওঠা 
ঐ সব রেডিমেড  কমেন্টে মন ভরেনা।
তাই ভালো কোনো পোষ্ট পেলেই
ইয়া---ব্বড় একটা কমেন্ট লিখি।
কত খুশি হয় ওরা জানেন?
আর আমার কবিতা গুলো যখন 
শেয়ারের পর শেয়ার হয়,
তখন মনটা আনন্দে উথলে ওঠে।
এই নিয়েই তো আমার একার দুপুর টা কাটিয়ে দিই রোজ।
মেয়ে,জামাই,ছেলে,বৌমা ওরা যখন দু-দিনের জন‍্য এসে আবার চলে যায়
তখন ঐ খারাপ মনটা ভোলাতে খুব বেশি সময় লাগেনা আমার।
জানেন,আমি এখন নিজের পছন্দের মাছ কিনি বাজার থেকে।
আর যে খাবারটা খেতে ইচ্ছে সেটাই বানাই।
যেখানে যেতে ইচ্ছে করে সেখানে যাই।
আর তো কটা মাত্র দিন পড়ে আছে তাই না।
নিজেকে কি করে ঠকাই বলুন তো?
মর্নিং ওয়াক করি,কিটো ডায়েট করি,
ঘন ঘন পার্লারে যাই।
শরীর চর্চা থেকে মনের চর্চা 
স---ব সব করি এখন।
এই তো আমার যুবতি হওয়ার বয়স।
তাই যে যাই বলুক 
চলুন, মনের বয়স বাড়তে না দিয়ে
এই পঞ্চাশেই আবার না হয় যুবতি হয়ে যাই।

লেখিকা:গোপা গড়াই মন্ডল

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:৫৬
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ

ছবি সংগৃহীত: মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ (বাঁয়ে), মো. জহুরুল হক ও মোছা. আছিয়া খাতুন

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার পর মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তিনি ও দুই কমিশনার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ কী কারণে পদত্যাগ করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি । সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ