a জলছবি
ঢাকা বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০২ জুলাই, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জলছবি


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:০৭
জলছবি

মুক্তা দাশ

খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে
অনেক অনেক কথা !  
কথার খৈ ফুটবে,, অনবরত বুলেট-বৃষ্টির মতো 
কিন্তু খেই হারাবো না ... 
খুব   কথা বলতে ইচ্ছে করে । 
ইনিয়ে- বিনিয়ে , ঘুড়িয়ে- প্যাচিয়ে !  যতোভাবে 
আদরে আহ্লাদে কথা বলা যায়... ততো ভাবে শুধু কথাই বলে যাবো ...!!! 
এতোসব কথার ভীড়ে তুমি শুধুই আমার হয়ে থাকবে , 
বুকে জড়িয়ে রাখবে। 
কপালে চুমু খেতে খেতে  বলবে... পাগলী একটা !
টগবগে কথার বকবকানিতে তুমি অতিষ্ঠ হবে না,, 
শুধু মুচকি হাসিটা মুখে আঠার মতো লেগে থাকবে দৃষ্টির ছুঁচালো তীরে !
আমি মুর্ছা যাবো ঐ চোখে !!
লুটিয়ে পড়বো তোমার বুকের পরে... 
ভার সইতে পারবে তো !!?? 
জমে থাকা যতো স্ফুটনাংক অভিমান,, যতো প্রেম 
সব,, সব উজার করে দিবো..! 
ধারন করতে পারবে তো !!?? 
জানি, পারবে না। 
অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে ! 
দায়ভার এড়িয়ে প্রেম ভার  বড়ো বেমানান 
বে আাইনী। 
গোধূলির রঙ স্বপ্নদেখে  আকাশ কুসুম দুরাশার , 
বিচিত্র মন   বিচিত্র সব অলীক দৃশ্যপট ! 
সবটাই   জলরঙে আঁকা জলছবি ।।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

কৌতুক অভিনেতা রবিউল, যার পুরো নাম ছিল রবিউল ইসলাম


আরাফাত আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ০৯:৪৪
কৌতুক অভিনেতা রবিউল, যার পুরো নাম ছিল রবিউল ইসলাম

সংগৃহীত: কৌতুক অভিনেতা রবিউল

 


রবিউলের পুরো নাম রবিউল আলম। দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রথম দিকের জনপ্রিয় ও সফল কৌতুক অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন রবিউল। পেশায় ছিলেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী।

জন্মেছিলেন ৯ জুন ১৯৩৯ সালে মুর্শিদাবাদে।চ লচ্চিত্রের পর্দায় তাঁর উপস্থিতিই দর্শকদের বিনোদিত করতো। যেমন ছিল তাঁর শারিরীক গঠন, তেমনি তাঁর অঙ্গভক্তি ও সংলাপ বলার পারদর্শিতা। এক ধরনের নির্মল আনন্দ দিতো দর্শকমনে।

তাঁর অভিনয়ের অন্যতম আরেকটি গুণ ছিলো তিনি হাতির কানের মতো কান দুটোকে সংলাপ বলার তালে তালে নাচাতে পারতেন, যা ছবির পর্দায় চরম হাস্যরসের সৃষ্টি করত।

তিনি সে সময়ের সিনেমাপ্রেমি দর্শকদের মাঝে প্রসংশনীয় কৌতুক অভিনেতা ছিলেন। রবিউল অভিনীত প্রথম ছবি ফতেহ লোহানী পরিচালিত 'আকাশ আর মাটি' মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালে।

চলচ্চিত্র ছাড়াও বেতার-মঞ্চ ও টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় অভিনেতা একশোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।

তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে - তোমার আমার, জোয়ার এলো, নাচঘর, অনেক দিনের চেনা, নীল আকাশের নীচে, রাজা সন্ন্যাসী, অরুণ বরুণ কিরণমালা, সাত ভাই চম্পা, সমাপ্তি, দর্পচূর্ণ, অধিকার, কাঁচ কাটা হীরে, দীপ নেভে নাই, অশ্রু দিয়ে লেখা, বাঘা বাঙালি, আলোর মিছিল, মাসুদ রানা, পরিচয়, এপার ওপার, দোস্ত দুশমন, প্রতিনিধি, সমাধি, গুন্ডা, হাবা হাসমত, বন্ধু, অশিক্ষিত, জিঞ্জির, অভিমান, সাম্পানওয়ালা, ছুটির ঘণ্টা, যাদুনগর, আনারকলি, গাঁয়ের ছেলে, ভাঙাগড়া, রেশমী চুড়ি, লাল কাজল, বড় বাড়ির মেয়ে, ঝুমুর, রজনীগন্ধা, মৎস্য কুমারী, চোর, অভাগী অন্যতম।

১৯৮৭ সালের ১৮ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সবার সাথে জোট করতে পারলেও জাসদের একাংশ অন‍্য অংশকে সহ‍্য করতে পারেনা: ব্যারিস্টার ফারাহ খান


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:২৫
সবার সাথে জোট করতে পারলেও জাসদের একাংশ অন‍্য অংশকে সহ‍্য করতে পারেনা: ব্যারিস্টার ফারাহ খান

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  আমরা যদি আওয়ামীলীগের সাথে জোট করতে পারি, যদি বিএনপির সাথে জোট করতে পারি তবে আমরা জাসদের একাংশ অন‍্য অংশকে সহ‍্য করতে পারিনা কেন? জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সকলকে এই প্রশ্ন ছুড়লেন ব্যারিস্টার ফারাহ খান।

আজ ১৫ ই মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে বরিশাল প্রেসক্লাবে, খুলনা বিভাগের পর এবার বরিশাল বিভাগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সকল অংশকে একত্রিত করার লক্ষ‍্যে মতবিনিময় সভা করেছেন ব্যারিস্টার ফারাহ খান। তিনি স্বাধীনতার রুপকার নিউক্লিয়াস প্রধান জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খান দাদার ভাতিজি। ব্যারিস্টার ফারাহ খান বলেছেন, ১৯৭১ সালে যে স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।

আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পরে দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিলো, মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো, আমরা দেখেছি সারাদেশে লুটপাট শুরু হয়েছিলো, দেশে এক দলীয় শাষন ব্যাবস্থা কায়েম করা হয়েছিলো। আমরা এমন স্বাধীনতা চাইনি বলেই সিরাজুল আলম খান দাদার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ গঠিত হয়েছিলো। জাসদ একটি আদর্শের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছিলো কিন্তু সেই জাসদ ব‍্যক্তি স্বার্থে বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত হয়ে ব্রাকেট বন্দি জাসদে পরিনত হয়েছে। জাসদ নেতাদের দল নয়, কর্মিদের দল। জাসদের কর্মীরাই অদলের প্রান ভোমরা। তাই জাসদকে আবারো কর্মিদের কাছে ফিরিয়ে নিতে হবে। আমরা কোন অংশের কোন নেতা কে বাদ দিচ্ছিনা কিন্তু আপাতত আমরা নেতাদের ঐক‍্য করবো না। আমরা কর্মীদের ঐক‍্য করবো আগে কারণ আমরা নেতাদের ঐক‍্য হতে দেখেছি ১৯৯৭ সালে, আবার সেই ঐক‍্য আমরা ভাঙতেও দেখেছি বছর ঘুরতে না ঘুরতে যখন নেতাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তাই এবার কর্মীদের ঐক‍্যবদ্ধ করতে হবে আগে তারপর নির্চাবনের মাধ‍্যমে কর্মীরা দলের নেতা নির্বাচন করবেন। ব্রাকেট বন্ধি জাসদকে ঐক্যবদ্ধ জাসদে পরিনত করতে হবে।

শনিবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্তিক দল জাসদের বিভক্ত বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মিদের সাথে মত বিনিময় সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পটুয়াখালী জেলা জাসদের প্রবীন নেতা সাবেক সংসদ সদস্য সরদার রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার ১ বছর পর সিরাজুল আলম খান দাদা ভাই একদল তরুন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু আমাদের জন্মলগ্ন থেকে বিভিন্ন সরকার আমাদের উপর বিভিন্ন সময় অন‍্যায় অবিচার করলেও, আমরা কখনো আওয়ামীলীগ কখনো বিএনপি আবার কখনো এরশাদের হাতকে শক্তিশালী করেছি। আমরা নিজেদের হাতকে শক্তিশালী করতে পারিনি। ৭২ সালে আমরা ছিলাম একটা বিশালাকৃতির বট গাছ, ৫৩ বছর পর আমরা হয়ে গেছি পরগাছা। বড় দলের নেতারা আমাদের একটি দুটি আসন দেয় আর আমরা সেই আসন নিয়ে খুশি হয়ে যাই। কিন্তু জাসদই হতে পারতো এই দেশের মুল কান্ডারী।

আমরা দেখি আমরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সাথে জোট বেঁধে রাজনীতি করে এলাকায় যেতে পারিনা কিন্তু আমরা অন‍্য দলের দল‍্য কেন শাস্তি ভোগ করবো। জাসদ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। একটি বা দুটি আসনের জন্য বড় বড় দলের সাথে যুক্ত হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার নেই। কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, আমরা যদি বিএনপি-জামাত ও আওয়ামী লীগের সাথে জোট বাধতে পারি তবে কেন আমরা ঐক্যবদ্ধ জাসদ হতে পারবো না, কেন সব ভুল ও মান অভিমান ভুলে নিজেদের ভাইদের সাথে আমরা এক হতে পারবো না। তিনি বলেন আপনারা আমাকে সাহায‍্য করুন। আমাদের জাসদের কোন অংশ বা নেতারা নতুন প্রজন্ম তৈরী করেননি। তিনি আরো বলেন সিরাজুল আলম খান সেটি উপলব্ধি করে নিজে উদ্দ‍োগী হয়ে আমাকে তার জীবদ্দশায় এই দলের রাজনীতিতে প্রবেশ করিয়েছেন। জাসদের ঐক‍্য নিয়ে তাঁর সাথে আমার বিস্তর কথা হতো, আমি উনাকে কথা দিয়েছি আমি জাসদের ঐক‍্য করবো যত বাঁধা আসুক না কেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য ব‍্যারিস্টার ফারাহ খান বলেন আমাকে বাঁধা দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে জাসদেরই ভেতর থেকে। আপনারা আমাকে সাহায‍্য করুন। আমি হেরে গেলে, আমরা হেরে যাবো, এই দল হেরে যাবে, জাসদের লক্ষ লক্ষ কর্মীর স্বপ্ন ভেঙে যাবে। আমার পরে এই প্রজন্মের আর কেউ নেই যে আপনাদের কাছে এমন করে জেলায় জেলায় বিভাগে বিভাগে আসবে এবং জাসদ ঐক‍্যের জন‍্য লড়াই করবে।

কর্মি সভায় বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বরিশাল জেলা জাসদের সাবেক সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম মীরন, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাদল, বীর মুক্তযোদ্ধা ও জাসদ নেতা আব্দুল বারেক, জেএসডি নেতা সিরাজ উদ্দিন সিকদার, জাসদ নেতা হাসান মাহামুদ দুলাল, জাসদ নেতা চন্দ্র শেখর হালদার, জাসদ নেতা আল আজম খান সহ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার জাসদের বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সকল নেতাকর্মিরাই দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবন্ধ জাসদ গড়ে তোলার পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন। অবশেষে ব‍্যারিস্টার ফারাহ খানের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে সকলে স্লোগান ধরেন ‘আমাদের লক্ষ‍্য জাসদের ঐক‍্য।’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়