a
মুক্তা দাশ
খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে
অনেক অনেক কথা !
কথার খৈ ফুটবে,, অনবরত বুলেট-বৃষ্টির মতো
কিন্তু খেই হারাবো না ...
খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে ।
ইনিয়ে- বিনিয়ে , ঘুড়িয়ে- প্যাচিয়ে ! যতোভাবে
আদরে আহ্লাদে কথা বলা যায়... ততো ভাবে শুধু কথাই বলে যাবো ...!!!
এতোসব কথার ভীড়ে তুমি শুধুই আমার হয়ে থাকবে ,
বুকে জড়িয়ে রাখবে।
কপালে চুমু খেতে খেতে বলবে... পাগলী একটা !
টগবগে কথার বকবকানিতে তুমি অতিষ্ঠ হবে না,,
শুধু মুচকি হাসিটা মুখে আঠার মতো লেগে থাকবে দৃষ্টির ছুঁচালো তীরে !
আমি মুর্ছা যাবো ঐ চোখে !!
লুটিয়ে পড়বো তোমার বুকের পরে...
ভার সইতে পারবে তো !!??
জমে থাকা যতো স্ফুটনাংক অভিমান,, যতো প্রেম
সব,, সব উজার করে দিবো..!
ধারন করতে পারবে তো !!??
জানি, পারবে না।
অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে !
দায়ভার এড়িয়ে প্রেম ভার বড়ো বেমানান
বে আাইনী।
গোধূলির রঙ স্বপ্নদেখে আকাশ কুসুম দুরাশার ,
বিচিত্র মন বিচিত্র সব অলীক দৃশ্যপট !
সবটাই জলরঙে আঁকা জলছবি ।।
সিদ্দিকী নাজমুল আলম
সবাই আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিয়েন। বাঁচবো কি না জানি না, তবে এই চরম মুহূর্তে কিছু সত্য কথা বলে যাই। আমি রাজনীতিটা একমাত্র দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মেনেই করতাম এবং করি। কোনদিন তার বাইরে যাইনি। সাবেক অনেক বড় ভাইদের কথায় আমি কখনও চলিনাই। বরং পেছনের সারির অনেককে নেতা বানাইছি নিজের ইচ্ছায়। আর প্রেম করেছিলাম কিন্তু মানিয়ে নিতে পারিনি তাই বিয়ে হয়নি। আর শেষ কথা হলো বাংলাদেশে কোনো ব্যাংকে আমার নামে এক পয়সাও লোন নাই এবং লোনের কোন টাকা বিদেশেও নিয়ে আসিনি। তদবির, ঠিকাদারি, দালালি ও পদ বানিজ্য কখনও করিনি। লন্ডনে গায়ে খাঁটি জীবনে যে কাজ করিনি তা করে জীবন যুদ্ধে লিপ্ত ছিলাম কিন্তু আমার কপাল ভালো না।
কিছুক্ষণ আগেই আমার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে অনেকগুলো ব্লক ধরা পড়েছে ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হবে হয়তোবা, আজকালের মধ্যেই করবে।
সরকারি হাসপাতালেই করবে কারণ এই দেশে চিকিৎসা ফ্রি তাই আর কেউ কষ্ট কইরা ভুল তথ্য দিয়েন না- যে কোটি টাকার অপারেশন। যদি মরে যাই একটাই কষ্ট থাকবে নিজের দলের মানুষের প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে বারবার আমার নামে। আর আফসোস হয়তোবা বড় কোন ভাই আমার নামে অনেক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার নেত্রীর কান ভারী করে রেখেছে, সেই ভুলগুলো হয়তো ভাঙিয়ে যেতে পারলাম না। আপা আপনিই আমার মমতাময়ী জননী, স্নেহময়ী ভগিনী।
আপনাকে অনেক ভালোবাসি ক্ষমা করে দিয়েন আমাকে। সবাই ভালো থাকবেন আপনাদের আর যন্ত্রণা দিবো না।
এস এন আলম, বার্থ হাসপাতাল(এনএইচএস), লন্ডন
১৮-০৬-২১। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
ফাইল ছবি
আর্জেন্টিনা একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইসরাইলের সাথে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও তারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আগামী ৬ জুন হাইফার সামি ওফার স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। এই ম্যাচের মাধ্যমে তাদের ২.৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহ হতো।
ম্যাচটি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল বয়কট, ডিভেস্টম্যান অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস (বিডিএস) আন্দোলন, আর্জেন্টিনা প্যালেস্টাইন সলিডারিটি কমিটি এবং সেইসাথে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির মানবাধিখার ও সংহতি সংস্থাগুলো। ফিলিস্তিনের আল-কাদের ফুটবল ক্লাব আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কাছে একটি চিঠি লেখার পর ম্যাচটি বাতিলের দাবি ওঠে।
ওই চিঠিটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এর অন্যতম কারণ, আল-কাদের এফসির খেলোয়াড় মোহাম্মদ ঘানিম (১৯) এপ্রিলে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়। চিঠিতে গত মাসে ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিতে আলজাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আখলের নিহত হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অধিকৃত এলাকায় আরো কয়েকজনের নিহত হওয়ার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ক্লাবটি আর্জেন্টাইনদের জানায়, ইসরাইল এই ম্যাচকে তার বর্ণবাদী অবস্থা আড়াল করতে ব্যবহার করবে।
চিঠিতে বলা হয়, '১৪ নম্বরটি মনে রাখুন। এটি আমাদের টিমম্যাট মোহাম্মদের টিম নম্বর। সে এখন আর খেলোয়াড় নয়। তবে আপনারা তরুণ ফিলিস্তিনি খেলোয়াড়দের হত্যা অব্যাহত রাখা থেকে ইসরাইলকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে পারেন। মোহাম্মদকে তার পারিবারিক বাড়ির কাছে ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি করে হত্যা করে। স্থানটি ইসরাইলের কুখ্যাত বর্ণবাদী প্রাচীর থেকে দূরে নয়। এই প্রাচীর আমাদের ভূমি বিছিন্ন করেছে, আমাদের খামার চুরি করেছে, আমাদের সম্পদ লুটে নিয়েছে, ফিলিস্তিনি শহরগুলোকে একে অপরটি থেকে আলাদা করেছে।' সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর