a জলছবি
ঢাকা সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জলছবি


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:০৭
জলছবি

মুক্তা দাশ

খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে
অনেক অনেক কথা !  
কথার খৈ ফুটবে,, অনবরত বুলেট-বৃষ্টির মতো 
কিন্তু খেই হারাবো না ... 
খুব   কথা বলতে ইচ্ছে করে । 
ইনিয়ে- বিনিয়ে , ঘুড়িয়ে- প্যাচিয়ে !  যতোভাবে 
আদরে আহ্লাদে কথা বলা যায়... ততো ভাবে শুধু কথাই বলে যাবো ...!!! 
এতোসব কথার ভীড়ে তুমি শুধুই আমার হয়ে থাকবে , 
বুকে জড়িয়ে রাখবে। 
কপালে চুমু খেতে খেতে  বলবে... পাগলী একটা !
টগবগে কথার বকবকানিতে তুমি অতিষ্ঠ হবে না,, 
শুধু মুচকি হাসিটা মুখে আঠার মতো লেগে থাকবে দৃষ্টির ছুঁচালো তীরে !
আমি মুর্ছা যাবো ঐ চোখে !!
লুটিয়ে পড়বো তোমার বুকের পরে... 
ভার সইতে পারবে তো !!?? 
জমে থাকা যতো স্ফুটনাংক অভিমান,, যতো প্রেম 
সব,, সব উজার করে দিবো..! 
ধারন করতে পারবে তো !!?? 
জানি, পারবে না। 
অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে ! 
দায়ভার এড়িয়ে প্রেম ভার  বড়ো বেমানান 
বে আাইনী। 
গোধূলির রঙ স্বপ্নদেখে  আকাশ কুসুম দুরাশার , 
বিচিত্র মন   বিচিত্র সব অলীক দৃশ্যপট ! 
সবটাই   জলরঙে আঁকা জলছবি ।।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‘এতে গা জ্বলে কেন কিছু মানুষের?’ - আসিফ নজরুল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১, ০৫:৪৫
‘এতে গা জ্বলে কেন কিছু মানুষের?’

অধ্যাপক আসিফ নজরুল

এই ফেসবুক পাতায় বিজ্ঞাপন দিলে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাতে পারতাম। যে সময় নিয়ে বই লিখি তা দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দিলে বা কন্সালটেন্সি করলে কমপক্ষে ১০ গুণ টাকা উপার্জন করতে পারতাম।

কাজেই গল্প-উপন্যাস টাকার জন্য লিখি এটা ভাবার কোন কারণ নেই। লিখি আপনাদের পড়ার জন্য। নিজের সৃষ্টি কে না শেয়ার করতে চায়! আর সেটা করছি নিজেরই পাতায়।

এতে গা জ্বলে কেন কিছু মানুষের?


(ফেসবুক পাতা থেকে)

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ভাড়াটিয়ারা ছাড়ছেন শহর, বাড়িওয়ালারা উভয় সংকটে


আরাফাত, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শনিবার, ১৪ আগষ্ট, ২০২১, ১০:০৩
ভাড়াটিয়ারা ছাড়ছেন শহর, বাড়িওয়ালারা উভয় সংকটে

সংগৃহীত ছবি

ভালো নেই রাজধানীর বাড়ি-ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটিয়ারা। করোনা মহামারিতে গ্রামে চলে গেছেন শতকরা ৪০ ভাগ ভাড়াটিয়া। ফাঁকা পড়ে আছে অনেক ফ্ল্যাট, বাড়ি। রাজধানীর অনেক বাসার গেটে বা দেওয়ালে সাঁটানো হয়েছে ‘টু-লেট’ বা ‘বাড়ি ভাড়া’ বিজ্ঞাপন। 

আবার বড় বাসা ছেড়ে দিয়ে কম ভাড়ার বাড়িতে উঠতে বাধ্য হচ্ছে অনেক পরিবার। করোনার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে ধাক্কা লেগেছে, তাতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। আয় কমে গেছে অগণিত মানুষের।

রাজধানীতে আগে কাজের সুবাদে যারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন, তারা এ পরিস্থিতিতে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। অনেকে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেখেছেন বাড়ির মালিককে। এ কারণে মূলত ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে করোনা মহামারিতে শুধু যে ভাড়াটিয়ারাই অর্থসংকটে বিপদে পড়েছেন, তা নয়; একই সংকটে পড়েছেন বাড়ির মালিকরাও। বাড়িভাড়ার টাকায় সংসার চালানো বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়া না পেয়ে মাসের পর মাস অর্থকষ্টে ভুগছেন বলে জানা গেছে ।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকার ৮০ শতাংশ বাড়িওয়ালা বাড়িভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়িই যেহেতু তাদের ব্যবসা, তাই বিভিন্ন বিল ও করের ঊর্ধ্বগতি সাপেক্ষে তারা বছরে গড়ে ৯ শতাংশ ভাড়া বাড়ান। ৭৫ শতাংশ বাড়িওয়ালা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিংবা সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে বাড়ি বানিয়ে থাকেন। বাড়িভাড়া ছাড়া সাধারণত তাদের অন্য কোনো আয়ের উত্স থাকে না। তাই ঋণের কিস্তি পরিশোধ কিংবা সংসার চালানোর তাগিদে ভাড়া পাওয়া তাদের জন্য জরুরি।

বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া পরিষদের তথ্যমতে, ঢাকার মোট ভাড়াটিয়ার ৪০ শতাংশ রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। করোনা মহামারিতে চাকরি চলে যাওয়া, বেতন কমিয়ে দেওয়া এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের ওপর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ধরনের সমস্যা যে কেবল নিম্নবিত্তের তা নয়, ঢাকায় বাড়িভাড়ার টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারও।

ইতালি প্রবাসী সোয়েব হোসেন (ছদ্মনাম) বলেন, ‘করোনায় আমার চাকরি নেই, স্ত্রী-তিন সন্তান, বৃদ্ধ মা ও ভাই রয়েছে ঢাকায়। আমাদের আয়ের উত্স রাজধানীর ফ্ল্যাট ভাড়ার টাকা। অথচ আমার চাকরিও নেই, ঢাকায় বাড়িভাড়ার টাকাও নেই, এখন জমানো টাকা ভেঙে সংসার চালাতে হচ্ছে। সঙ্গে তিন সন্তানের স্কুলের বেতন দিতে হচ্ছে।’

অনেক বাড়িওয়ালা তার বাড়ি ভাড়া বাড়াতে একই ফ্লাটে একাধিক পরিবারকে ঢুকিয়ে তারা বিকল্প পথ খুঁজছে। এসবের ফলে পুরাতন ভাড়াটিয়াদের সাথে নতুন ভাড়াটিয়াদের নানা রকম সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে। এসব ব্যাপারে কিছু কিছু বাড়িওয়ালা নিজে সেসব বাড়িতে না থাকলে ভাড়াটিয়াদের কোন সুযোগ-সুবিধা না দেখে নানান কৌশলে বাসা ভাড়া বাড়ানোর চেষ্টা করে, যা দেখার কেউ নেই।

এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের আয়ে যে প্রভাব পড়েছে তা বিবেচনা করে বাড়িভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। এরই মধ্যে এক থেকে তিন মাসের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য বাড়ির মালিকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতি এবং ভাড়াটিয়া পরিষদ।

ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি, নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য কিছুটা হলেও বাড়িভাড়া মওকুফ করার জন্য। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। অনেক মানুষ বেকার এবং আয় কমার কারণে তাদের পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর আয়ের আশায় পরিবারের কর্তা ব্যক্তিটি কোনো মেসে বা কম টাকা ভাড়ার বাসায় উঠেছেন। মানুষকে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের প্রতি সহানুভূতি না দেখিয়ে ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। যে কারণে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ভাড়াটিয়াদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে বাড়ির মালিকদের উচিত কিছুটা ছাড় দেওয়া, কিছুটা ভাড়া মওকুফ করা। অনেক বাড়িওয়ালা উভয় সংকটে পড়েছেন, কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ