a আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মরক্কোর কাছে হেরে গেল ব্রাজিল
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ পৌষ ১৪৩২, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মরক্কোর কাছে হেরে গেল ব্রাজিল


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩, ১০:২৮
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মরক্কোর কাছে হেরে গেল ব্রাজিল

ফাইল ছবি

কাতার বিশ্বকাপে হতাশাজনক বিদায়ের পর ঘোর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাঁঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বিশ্বকাপের পর প্রথমবার মাঠে নেমেও তারা মরক্কোর কাছে হেরে গেল।

রবিবার (২৬ মার্চ) ভোর ৪টায় তাঞ্জিয়ারে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল। ম্যাচের শুরু থেকেই তুলনামূলক বেশি গতিসম্পন্ন ছিল মরক্কো। ব্রাজিলিয়ানদের থেকে বল কেড়ে নিয়ে দ্রুতই তারা আক্রমণে উঠছিল বারবার। এতে ম্যাচের মাঝপথে দু’দলের খেলোয়াড়রা একাধিকবার ঝামেলাও বাঁধিয়েছে। অবশ্য ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। ১৩ মিনিটে লুকাস পাকুয়েতার থ্রু বল পেয়ে কাছ থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রনি।

মিনিট দশেক পর মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুর ভুলে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ব্রাজিল। আন্দ্রে সান্তোসের শট এগিয়ে আসা বুনুর হাত ফসকে পেছনে গোলমুখের দিকে চলে যাচ্ছিল। শেষমুহূর্তে পেছনে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রনে নেন তিনি। এর দুই মিনিট পরই অবশ্য বল জালে পাঠান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে আক্রমণ তৈরির সময় অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়।

২৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় মরক্কো। বিলাল এল খাননুসের কাছ থেকে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বুফাল। ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল রদ্রিগোর সামনে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে দশ নম্বর জার্সি পরা এই ফরোয়ার্ড শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন।

পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না ব্রাজিল। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে পৌঁছে তাদের অপেক্ষা পালা। তবে এতে মরক্কো গোলরক্ষকেরও ভূমিকা ছিল। তার ভুলের সুবাদে বক্সের বাইরে বল কয়েক পা ঘুরে অধিনায়ক ক্যাসেমিরোর কাছে যায়। তার শট বুনুর নাগালেই ছিল। ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পেলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মেনেজেসের দল। মরক্কোর আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে ৭৯ মিনিটে ওয়ালিদ ছেদদিরার কাছ থেকে বল পেয়ে হাফ-ভলিতে বল জালে পাঠিয়ে দেন সাবিরি। গোলরক্ষক ওয়েভারটনের দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। দীর্ঘদিন ব্রাজিলের প্রধান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের জন্য পরবর্তী গোলরক্ষকরা সুযোগ পাচ্ছিলেন না। মাঝেমধ্যে ম্যানসিটি কিপার এডারসন মাঠে নামলেও ওয়েভারটনের জন্য সেটিও অসম্ভব হয়েছিল। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

রেকর্ড ১৪তম ইতালিয়ান শিরোপা জিতলো ইউভেন্তাস


ক্রীড়া ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১, ১১:২৫
রেকর্ড ১৪তম ইতালিয়ান শিরোপা জিতলো ইউভেন্তাস

ফাইল ছবি

হতাশায় ভরা এবারের মৌসুমে ট্রফির দেখা পেলো ইতালিয়ান ক্লাব ইউভেন্তাস। ২০ মে রাতে তারা আতালান্তাকে হারিয়ে দুই মৌসুম পর ১৪তম বারের মত ইতালিয়ান কাপ নিজেদের করে নিলো তুরিনের অল্ড ল্যাডি খ্যাত এই ক্লাবটি। রেজ্জিও মাপেইয়ের মাপেই স্টেডিয়ামে বুধবার ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। দেজান কুলুসেভস্কির গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন রুসলান মালিনভস্কি। ইউভেন্তুসের হয়ে জয়সূচক গোলটি আসে ফেদেরিকো চিয়েসার পা থেকে।

চলতি মৌসুমে ইউভেন্তুসের এটি দ্বিতীয় শিরোপা। গত জানুয়ারিতে নাপোলিকে হারিয়ে ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতেছিল দলটি।

চলতি মৌসুমে তৃতীয় দেখায় তারা আতালান্তাকে হারাতে সক্ষম হলো ইউভেন্তাস। সিরি আ তে প্রথম দেখায় ১-১ ড্রয়ের পর গত এপ্রিলে দলটির মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল আন্দ্রেয়া পিরলোর দল।

একের পর এক বাজে পারফরম্যান্সে টানা ৯ মৌসুম পর লিগ শিরোপা হারানো ইউভেন্তাস ম্যাচের শুরুতেই বিপদে পড়তে পারতো। তৃতীয় মিনিটে পালোমিনোর শট রুখে দেন কিংবদন্তি গোলকিপার জিয়ানলু্ইজ বুফন তার দুই মিনিট পর  দুভান সাপাতার নেওয়া শট  লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

মাঠের খেলায় দারুন আধিপত্য বিস্তার করতে থাকা আতালান্তা বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য ধরে রাখে। এ রকম আক্রমানাত্বক খেলার পরেও ইউভেন্তাসের কাছে ৩১তম মিনিটে পিছিয়ে যায় আতালান্তা ।

ডি-বক্সে রোনালদো ঢুকলেও তাকে আটকাতে পারেননি বিপক্ষ দলের রক্ষণভাগ। বল পেয়ে শট নেন কুলুসেভস্কি। বল বাঁক খেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে পায়।

৪১তম মিনিটে সমতায় ফেরে আতালান্তা। ডি-বক্সের মুখ থেকে জোরালো শটে গোলরক্ষক বুফনকে পরাস্ত করেন ইউক্রেনের মিডফিল্ডার মালিনভস্কি।

বিরতির পর ইউভেন্তুসের খেলার ধার কিছুটা বাড়ে। ৬০তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যেতে পারতো তারা; চিয়েসার শট পোস্টে বাধা পায়। ৭৩তম মিনিটে আর ব্যর্থ হননি ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ড।

বাঁ দিক দিয়ে ওঠা আক্রমণে কুলুসেভস্কিকে পাস দিয়ে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন চিয়েসা। প্রথম গোলদাতা চোখের পলকে বাড়ান ফিরতি পাস, বল ধরে একটু এগিয়ে ‘ওয়ান-অন-ওয়ানে’ গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে তারাতারিই বাদ পড়ে যাওয়া ইউভেন্তুসের লিগের মুকুট ধরে রাখার স্বপ্নও শেষ অনেক আগেই। অনেক হারানোর মৌসুমে  এই শিরোপা জয়ে মনোবল চাঙ্গা হলো জুবদের।তার সাথে টেবিলের  শীর্ষ চারে থেকে সেরি আ শেষ করার ইচ্ছাটাও টিকে রইলো।

কঠিন সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জয়ের আশা নিয়ে শেষ রাউন্ডে আগামী রোববার বোলোনিয়ার মাঠে নামবে  ইউভেন্তুস। ৩৭ রাউন্ড শেষে লিগ টেবিলের পাঁচ নম্বরে আছে আন্দ্রে পিরলো শীষ্যরা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

বিজয় ও পরাজয় উভয়ই একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তা জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশও বটে


কর্নেল(অব.) আকরাম, লেখক ও কলামিস্ট, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৯:৫৫
বিজয় ও পরাজয় উভয়ই একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তা জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশও বটে

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

কর্নেল (অব.) আকরাম: বিজয় ও পরাজয় উভয়ই একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং তা জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়। প্রতিটি জাতির ইতিহাসে বিজয় ও পরাজয় রয়েছে, যা জাতির গঠন ও অগ্রগতিতে ভিন্ন ভূমিকা পালন করে। কিছু জাতি তাদের সাফল্যের ইতিহাসে গর্বিত, আবার কিছু জাতি দুর্ভাগ্যবশত ব্যর্থতার ইতিহাসেই বেশি সমৃদ্ধ। মানব সভ্যতার উত্থান-পতন প্রকৃতির নিয়ম, যা আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না।  

আমাদের জাতীয় উত্থান-পতনের ইতিহাস বুঝতে হলে আমাদের অতীতের পৃষ্ঠাগুলোতে ফিরে যেতে হবে। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীকে মীরজাফর বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে পরাজয়ে পরিণত করে। আমাদের নিজেদের ভুলের কারণেই বিদেশি শক্তি এদেশে প্রবেশ করে এবং দুই শতাব্দী ধরে আমাদের শাসন করে। কিন্তু আমরা সেই পরাজয়ের ইতিহাসকে বদলে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির মাধ্যমে বিজয়ে রূপান্তর করি।  

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ এবং ঢাকাকে রাজধানী করে পূর্ববঙ্গ সৃষ্টি হওয়া ছিল বাংলা মুসলমানদের জন্য এক বিশাল বিজয়। কিন্তু এটি খুব দ্রুতই কলকাতার হিন্দু অভিজাতদের ষড়যন্ত্র ও বিচারপতি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১৯১১ সালে বাতিল হয়ে যায়। এতে বাঙালি মুসলমানদের সম্ভাব্য সামাজিক উত্থান রুদ্ধ হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তানের ভিতরেও বাঙালি মুসলমানদের জাতীয়তাবাদ আবার পরাজিত হয়।  

পাকিস্তান জন্মের পর থেকেই ভারত পাকিস্তানকে ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তথাকথিত বাঙালি জাতীয়তাবাদ নতুন করে প্রাণ পায়। পাকিস্তানের অপরিপক্ব সামরিক-রাজনৈতিক নেতৃত্ব পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য করে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ কখনোই যুদ্ধ চায়নি, এটি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ২৫শে মার্চ ১৯৭১।  

আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, কিন্তু বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বিদেশি শক্তি। পলাশীর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৯৭১ সালে। আমরা বিজয় অর্জন করলেও তা পরাজয়ে রূপ নেয়। আজ চব্বিশ বছর পর আমরা বুঝতে পারছি, ১৯৭১ সালে আমরা কতটা বড় ভুল করেছি। আমরা নিজেরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করতে পারতাম, কিন্তু শত্রুর ফাঁদে পা দিয়ে চূড়ান্তভাবে হেরে গিয়েছিলাম।  

১৯৭১ সালের বিজয়কে ভারত তাদের নিজের অর্জন হিসেবে দেখেছে এবং গত ৫৩ বছরে, জিয়াউর রহমানের ছয় বছরের শাসনকাল ব্যতীত, বাংলাদেশকে তারা তাদের উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর তারা আরও স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছে যে, ১৯৭১-এর বিজয় তাদেরই।  

বিএনপির ভুল এবং সেনাপ্রধান মইনউদ্দিনের বিশ্বাসঘাতকতা, যিনি ইতিহাসের দ্বিতীয় মীরজাফর, ভারতের হাতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর সুযোগ করে দেয়। ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও বিজয় পরাজয়ে পরিণত হয়। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল এবং ভারত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের প্রকৃত শাসক।  

কিন্তু যখন জাতি সমস্ত আশার আলো নিভে যেতে দেখছিল, তখন ছাত্রদের নেতৃত্বে ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে এক বিস্ময়কর বিপ্লব ঘটে এবং আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করি।  

কিন্তু অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারিনি। আমরা ৫ই আগস্টের বিজয়ের পর একটি জাতীয় বিপ্লবী সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছি। জুলাই বিপ্লবের অংশীদারদের মধ্যে বিভক্তি জাতিকে হতাশায় ফেলেছে। আমরা কি সঠিক পথে এগোচ্ছি, নাকি আবারও ভুল পথে পা বাড়াচ্ছি—এ প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের।  

আমাদের এই বিজয় কি হাজারো প্রাণ ও সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে, তা কি আবার পরাজয়ে পরিণত হবে?  

আমরা, বাংলাদেশিরা, আর কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করবো না। দলীয় স্বার্থের জন্য জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে কেউ যদি বিদেশি শক্তির সহায়তা নিতে চায়, জনগণ তা প্রতিরোধ করবে। অতীতের ইতিহাস আর দেখতে চাই না। এই বিজয় চিরদিনের জন্য অটুট রাখতে হবে, আর সেই লক্ষ্যেই আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ