a
ফাইল ছবি
কাতার বিশ্বকাপে হতাশাজনক বিদায়ের পর ঘোর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাঁঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বিশ্বকাপের পর প্রথমবার মাঠে নেমেও তারা মরক্কোর কাছে হেরে গেল।
রবিবার (২৬ মার্চ) ভোর ৪টায় তাঞ্জিয়ারে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল। ম্যাচের শুরু থেকেই তুলনামূলক বেশি গতিসম্পন্ন ছিল মরক্কো। ব্রাজিলিয়ানদের থেকে বল কেড়ে নিয়ে দ্রুতই তারা আক্রমণে উঠছিল বারবার। এতে ম্যাচের মাঝপথে দু’দলের খেলোয়াড়রা একাধিকবার ঝামেলাও বাঁধিয়েছে। অবশ্য ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। ১৩ মিনিটে লুকাস পাকুয়েতার থ্রু বল পেয়ে কাছ থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রনি।
মিনিট দশেক পর মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুর ভুলে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ব্রাজিল। আন্দ্রে সান্তোসের শট এগিয়ে আসা বুনুর হাত ফসকে পেছনে গোলমুখের দিকে চলে যাচ্ছিল। শেষমুহূর্তে পেছনে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রনে নেন তিনি। এর দুই মিনিট পরই অবশ্য বল জালে পাঠান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে আক্রমণ তৈরির সময় অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়।
২৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় মরক্কো। বিলাল এল খাননুসের কাছ থেকে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বুফাল। ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল রদ্রিগোর সামনে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে দশ নম্বর জার্সি পরা এই ফরোয়ার্ড শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন।
পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না ব্রাজিল। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে পৌঁছে তাদের অপেক্ষা পালা। তবে এতে মরক্কো গোলরক্ষকেরও ভূমিকা ছিল। তার ভুলের সুবাদে বক্সের বাইরে বল কয়েক পা ঘুরে অধিনায়ক ক্যাসেমিরোর কাছে যায়। তার শট বুনুর নাগালেই ছিল। ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পেলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মেনেজেসের দল। মরক্কোর আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে ৭৯ মিনিটে ওয়ালিদ ছেদদিরার কাছ থেকে বল পেয়ে হাফ-ভলিতে বল জালে পাঠিয়ে দেন সাবিরি। গোলরক্ষক ওয়েভারটনের দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। দীর্ঘদিন ব্রাজিলের প্রধান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের জন্য পরবর্তী গোলরক্ষকরা সুযোগ পাচ্ছিলেন না। মাঝেমধ্যে ম্যানসিটি কিপার এডারসন মাঠে নামলেও ওয়েভারটনের জন্য সেটিও অসম্ভব হয়েছিল। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আগামীকাল শুক্রবার সকালটা রোমাঞ্চ নিয়েই হাজির হবে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য। কেননা একইদিন মাঠে নামছে দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। তবে তারা একে অপরের মুখোমুখি হবে না, খেলবে ভিন্ন ভিন্ন দলের বিপক্ষে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় ভেনেজুয়েলার মাঠে খেলতে নামবে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এর এক ঘণ্টা পর সকাল ৭টায় ব্রাজিলকে স্বাগত জানাবে চিলি।
ভেনেজুয়েলার চেয়ে তুলনামূলক কঠিন প্রতিপক্ষই হতে চলেছে চিলি। তবে চলতি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রীতিমতো উড়ছে তিতের দল। লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ে এখনও পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে সবকয়টি জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। স্বাভাবিকভাবেই পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে রয়েছে তারা। এ ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৬ গোল দিয়ে মাত্র ২টি হজম করেছে তারা।
এছাড়া চিলির বিপক্ষে মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও অনেক এগিয়ে ব্রাজিল। দুই দল এখনও পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ৭৩ ম্যাচে। যেখানে ব্রাজিলের জয় ৫২ ম্যাচে আর ড্র হয়েছে ১৩টি। চিলি জিতেছে বাকি মাত্র ৮টি ম্যাচ। সবশেষ ২০১৫ সালে ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল চিলি।
অন্যদিকে ব্রাজিলের মতো বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অপরাজিত রয়েছে আর্জেন্টিনাও। কিন্তু তারা সবগুলো ম্যাচ জেতেনি। এখনও পর্যন্ত খেলা ছয় ম্যাচে তিনটি জয়ের পাশাপাশি ড্র করেছে বাকি তিন ম্যাচ। সবমিলিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে ব্রাজিলের ঠিক নিচেই আর্জেন্টিনার অবস্থান। ক্লাব ফুটবলে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর হয়ে সবশেষ ম্যাচটি শুরু থেকে খেলেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এবারের তিন ম্যাচের শুরু থেকেই খেলবেন মেসি। তবে এক্ষেত্রে ফিটনেসের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
ফাইল ছবি
গুমের চর্চা অবিলম্বে বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়া। একই সঙ্গে তারা গুমের চর্চাকে অপরাধীকরণের আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া তারা ভুক্তভোগী ও তাঁদের পরিবারের জন্য সত্য, ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার (৩০ আগস্ট) ‘গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এসব আহ্বান জানায় মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
পোস্টে সংগঠনটি বলেছে, গুম অনেকগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। এর মধ্যে রয়েছে জীবনের অধিকার, নির্যাতন থেকে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার।
সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশের উচিত গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে (ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসনস অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স) সই করা। এ ছাড়া জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ গ্রহণ করা।
দিবসটি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দেয়। এতে তারা বলে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশনকে সহায়তার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব সরকারের গ্রহণ করা উচিত। সূত্র: প্রথম আলো
Amnesty International South Asia, Regional Office
@amnestysasia
Bangladesh: Today, on the International Day of the Victims of Enforced Disappearances, we call upon the government of Bangladesh to urgently end and criminalise the practice of enforced disappearances and ensure truth, justice and reparations for the victims and their families.
Enforced disappearances violate numerous human rights, including the rights to life, freedom from torture, liberty, and a fair trial.
Bangladesh should ratify the International Convention for the Protection of All Persons from Enforced Disappearance and accept the UN Working Group on Enforced or Involuntary Disappearances' request to conduct an official visit to Bangladesh.