a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৭০ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ হাজার ৪৩২ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৩,১৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ১০ হাজার ২৮৩ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪,৬৯৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৮২ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৪৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
ফাইল ফটো: করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৫২১ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৬৮৫৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩২ জন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩৩৯১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩০ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
উল্লেখ্য, আজ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
প্রতিকী ছবি
দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে নতুন করে দেড় কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছেন। আর কাজ হারিয়েছেন দেশের মোট শ্রমশক্তির তিন শতাংশেরও বেশি মানুষ।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) যৌথ গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়। শনিবার (১৭ এপ্রিল) আয়োজিত ওয়েবিনারে সিপিডির গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব তথ্য জানান।
সংস্থাটি আরও জানায়, অনেক প্রতিষ্ঠান করোনার ধাক্কায় এরই মধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। শহর এলাকায় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে এমন ১০০ জনের মধ্যে চাকরি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে আছে ৬৯ জন।
সিপিডি জানিয়েছে, চাকরি হারানোদের মধ্যে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ শহরাঞ্চলে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ছিলেন। ২০২১ সাল শেষ হতে এখনও প্রায় আট মাস বাকি। এ সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে ২০২০ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাসে চার লাখ অভিবাসী শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন।
অন্যদিকে নারী উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এশিয়া ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী, ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, দেশে দারিদ্র্য ক্রমশ বাড়ছে। যেখানে শ্রমনির্ভর দারিদ্র্য বেশি। এ হার ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে। অতি মহামারির প্রভাবে এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ।
সিপিডি বলছে, কম আয়ের শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি আর্থিক জটিলতার মধ্যে পড়েছেন। বিলসের দেওয়া তথ্য মতে, ৪৭ শতাংশ বস্তিবাসী ও ৩২ শতাংশ শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী খাদ্য খরচ কমাতে বাধ্য হয়েছেন। উৎস: ইত্তেফাক