a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করছে তালেবানরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস গুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কূটনীতিকদের।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শহরের সকল দিক থেকে রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করা শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। এছাড়া কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করা তালেবানের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করে আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধাদেরকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৫ আগস্ট) ভোরে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের রাজধানী শহর জালালাবাদ দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। আফগানিস্তানের পঞ্চম বৃহত্তম এই শহরটি রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ৮০ মাইল পূর্বে অবস্থিত।
এর আগে তালেবানের উপ-প্রধান মোল্লা আব্দুলগনি বারাদার ঘোষণা করেছেন, তারা এখনো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী, তবে তাদের মূল লক্ষ্য আফগানিস্তানের স্বাধীনতা অর্জন করা।
বিবৃতিতে বারাদার বলেন, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চায় না। তালেবান মনে করে, আফগানিস্তানের সকল শ্রেণির মানুষ আইনের দৃষ্টিতে সমান।
এদিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও মিত্র জোটের সেনা এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের ফিরিয়ে আনার জন্য দেশটিতে পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কাছের একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলসহ সারা দেশে তালিবানের অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে সেখানে থাকা আমেরিকানদের যত দ্রুত সম্ভব আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার কাবুলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে আফগানিস্তানে বসবাসরত আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, 'যেভাবে সম্ভব দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করুন।'
আর্থিক সংকট বা অন্য যেকোনো কারণে কেউ দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করতে অসুবিধায় পড়লে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদেরকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে। তবে বলা হয়েছে, 'নিরাপত্তার অবস্থা ও লোকবলের কমতি থাকায় কাবুলসহ আফগানিস্তানে খুব কম সংখ্যক আমেরিকানকেই সহায়তা করতে পারবে দূতাবাস।'
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সরিয়ে নেয়ার পর থেকে দেশটিতে ইসলামপন্থী এই গোষ্ঠীর সাথে একাই লড়াই করছে আফগান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী।
কাবুলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করে গত ২৭ এপ্রিল আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকর্তাদেরকে যতটা সম্ভব দূতাবাসের বাইরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেছিলেন দূতাবাসের কর্মসূচীর কোন পরিবর্তন হয়নি, তবে প্রতিদিন নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
ফাইল ছবি
জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন সারা দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসেও তারা ক্লাসে ফিরে যাচ্ছেন না। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত শিক্ষকদের ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
রোববার মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হক হেনরী সই করা চিঠিতে বলা হয়, জুন মাসে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় মাধ্যমিকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ৩৪ জন শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত না থাকার সুস্পষ্ট কারণ মাউশিতে পাঠাতে হবে। শোকজ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষে আছে রংপুর। এ অঞ্চলের ১০ জন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন।
এরপর রাজশাহীর সাতজন, খুলনা অঞ্চলের পাঁচজন, ঢাকা অঞ্চলের চারজন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের তিনজন, কুমিল্লা অঞ্চলের দুইজন এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট অঞ্চলের একজন করে রয়েছেন।
এ বিষয়ে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হক হেনরী বলেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই দুই দিন বা তার বেশি সময় ধরে স্কুলে আসেন না। এটা সতর্কীকরণ নোটিস। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও কয়েক দফা শোকজ করা হয়েছিল।