a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৭৮৭ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৫৭২৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জন।
আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩১৬৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৩ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২০.২৭ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬টি।
ফাইল ছবি: করোনাভাইরাস
দক্ষিণ আফ্রিকায় আধিপত্য বিস্তার করা করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধরনটি কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে ধরা পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন এই করোনা ভাইরাসের ধরনটি এরই মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে।
সম্প্রতি আইসিডিডিআরবি এর করা একটি গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এ বিষয়ে আইসিডিডিআরবি বলছে, দেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের সঙ্গে পুরোপুরি মিল আছে।
এর আগে ১লা জানুয়ারি থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত করা ১৬ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ২ হাজার ৭৫১টি নমুনা পজেটিভ আসে। কিন্তু ১৮ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে করোনা পজেটিভ রোগীদের ৫৭ টি নমুনার জিনোমিকক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে ৮০ শতাংশের বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের সঙ্গে পুরোপুরি মিল আছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণটি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
এদিকে মার্চের প্রথম সপ্তাহে (৫ থেকে ১১ মার্চের মধ্যে) দেশের ১৩টি জেলা থেকে প্রায় ৩০টি নমুনার জিনোমিকক্রম সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণের কোন অস্তিত্বই ছিল না।
ফাইল ছবি
হেফাজতে ইসলামের নেতাদের গ্রেফতার ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের হয়রানির প্রতিবাদে বলা হয়েছে, ‘আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, এহেন পরিস্থিতিতে ওলামা-মাশায়েখসহ দেশবাসী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। আল্লাহপাক কোনো জালেমকে ছেড়ে দেন না। আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা পেতে হলে এই ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন।’
আজ বৃহস্পতিবার এক টেলিকনফারেন্সে ওলামা-মাশায়েখরা এসব মন্তব্য করেন। এক বিবৃতিতে তারা দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওই বিবৃতিতে হেফাজত নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও আলেমদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিগত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ পরিস্থিতির পরবর্তী অবস্থা দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট। দেশের আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে যেভাবে মিথ্যাচার ও তাদের মানহানি করা হচ্ছে, এতে মনে হচ্ছে আলেম-ওলামারা ভিনদেশি নাগরিক। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে কেউই আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পাবে না।’
শীর্ষ আলেমগণদের দাবি, পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও এ মাসে অপরিসীম ফজিলত লাভের আশায় দেশে ও জনগণের কল্যাণ কামনায় মসজিদগুলো তারাবিসহ সব এবাদতের জন্য উন্মুক্ত করে দিন। কোরআনে কারিমের তেলাওয়াতের জন্য মক্তব ও হিফজখানাগুলো খুলে দিন।
সারা দেশে করোনা মহামারি থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য উপরিল্লিখিত দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট তারা জোর দাবি জানায়।