a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৭৮৭ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৫৭২৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জন।
আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩১৬৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৩ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২০.২৭ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬টি।
ফাইল ছবি: দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ রোববার বিকেলে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএসএমইউ) পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিকেলে তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর ইসিজিসহ বেশ কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর সুগার অনেক বেশি, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে নেই। এ ছাড়া তিনি হৃদ্রোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় বিএসএসএমইউতে পাঠানো হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১-এর জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছেন।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দী আছেন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সেখানে থাকা অবস্থায় আজ বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সূত্র: প্রথম আলো
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬৩-তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় বাংলামটর কেন্দ্রীয় কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলের মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও চেয়ারম্যান এ্যাড. কাজি রেজাউল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় এ্যাড. কাজি রেজাউল হোসেন বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল ছিলেন আমাদের জাতিসত্বার মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং কৃষক-শ্রমিকের অধিকার আদায়ের অগ্রপথিক। তাঁর অমর উদ্যোগে গরিব কৃষকের কন্ঠস্বর পৌঁছে গিয়েছিল ক্ষমতার মসনদে। কৃষক প্রজাদের জীবনমান উন্নয়নে 'প্রজাস্বত্ব আইন' তাঁর ঐতিহাসিক অবদান। শত বছর পেরিয়ে গেলেও কৃষক-শ্রমিক- মেহনতি জনতার মুক্তি মিলেনি। নীলকর, জমিদার, জোতদারের মত এখনো পুঁজিপতি-মুনাফাকারীরা বেপরোয়া। কঠোর পরিশ্রম করেও ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না কৃষক।
তিনি আরো বলেন, ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে তিনি উপমহাদেশের ভাগ্য নির্ধারণের ইতিহাসে এক বিশাল ভূমিকা রাখেন। আবার স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নও অঙ্গীকারের মতোই লালন করতেন।
শেরে বাংলার রাজনৈতিক জীবন ছিল আপসহীন, সাহসিকতায় পরিপূর্ণ। তাঁর ব্যক্তিত্বে ছিল অসাধারণ দূরদর্শিতা, মানবিকতা এবং গণমানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। দেখানো গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক উন্নয়নের পথই আমাদের আলোকবর্তিকা।
আলোচনা সভা শেষে মহান এই রাজনীতিবিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ আব্দুর রহমান।