a
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৮৭৮ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১২৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জন।
আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২৪৯২ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ জন।
সংগৃহীত ছবি
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মডার্না ও সিনোফার্মের টিকাদান বিষয়ক নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। নির্দেশনায় ৩৫ বছরের বেশি সবাইকে নিবন্ধনের আওতায় আনাসহ কারা এসব টিকা পাবেন সেই তালিকা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যেসব কেন্দ্রে বিতরণ হবে এই দুই টিকা তা হলোঃ
১২টি সিটি করপোরেশন এলাকার নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্রে (ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল) মডার্নার টিকা দেয়া হবে।
আর সকল জেলা ও উপজেলায় সিনােফার্মের টিকা দেওয়া হবে। তবে, রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত কেউ টিকা নিতে পারবেন না।
মডার্না-সিনোফার্মের টিকা যারা পাচ্ছেনঃ
১। ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনতে হবে। রেজিস্ট্রেশনকারীদের মধ্যে বেশি বয়সী থেকে ক্রমান্বয়ে কম বয়সীদের পর্যায়ক্রমে প্রাধিকার অনুযায়ী এসএমএসের মাধ্যমে টিকাদান করা হবে।
২। বীর মুক্তিযােদ্ধা ও বীরাঙ্গনা
৩। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি
৪। রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য কার্যালয় তথা মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, বিচারিক ও প্রশাসনিক কার্যালয় সমূহের কর্মকর্তারা।
৫। প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাহিনীসহ কোস্টগার্ড ও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যরা।
৬। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ট্রাফিক পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি।
৭। করোনা মহামারি মােকাবিলায় সরাসরি সম্পৃক্ত সরকারী হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন- চিকিৎসক, সেবিকা ও মিডওয়াইফ, এসএসিএমও, অল্টারনেট মেডিকেল কেয়ার, হােমিওপ্যাথি, ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনােলােজিস্ট, ল্যাবরেটরি এটেনডেন্ট, ওয়ার্ড মাস্টার, ওয়ার্ড বয়, আয়া, ধােপা, টিকেট ক্লার্ক, কুক মশালটি, পরিচ্ছন্নতা বিষয়ককর্মী, ফিজিওথেরাপিস্ট, অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং অন্যান্য সরাসরি সেবাদানের সঙ্গে সম্পৃক্তরা।
৮। আইনজীবী (বার কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত)।
৯। গণমাধ্যমকর্মী।
১০। জনসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মী।
১১। ধর্মীয় প্রতিনিধিরা।
১২। মৃতদেহ সৎকারে নিয়ােজিত ব্যক্তি।
১৩। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলাগুলোতে আবশ্যকীয় জনসেবায় নিয়ােজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী।
১৪। নৌ-বন্দর, রেল স্টেশন ও বিমান বন্দরগুলোতে কর্মরতরা।
১৫। জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কাজের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী।
১৬। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা আগে নিবন্ধন করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি ডোজ টিকাও পাননি তাদেরকে টিকাদান করতে হবে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে।
১৭। যাদেরকে আগে এসএমএস পাঠানাে হয়েছিল, কিন্তু কোনো কারণবশত টিকা গ্রহণ করতে পারেননি তাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্রমান্বয়ে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের টিকাদান করতে হবে।
১৮। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিদেশগামী বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী। তাদেরকে অবশ্যই জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরাে কর্তৃক অনুমােদিত ও রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে।
১৯। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
২০। সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি মাটস এবং সরকারি আইএইচটির শিক্ষার্থীরা।
২১। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী।
২২। বিডার আওতাধীন ও অন্যান্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্প কর্মকাণ্ডে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যেমন- পদ্মাসেতু প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, এক্সপ্রেস হাইওয়ে প্রকল্প, রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ইত্যাদি।
২৩। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। যারা আগে টিকা গ্রহণ করেননি।
২৪। ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা (এফডিএমএন)।
২৫। কৃষক ও শ্রমিক।
২৬। সৌদি আরব ও কুয়েতগামী প্রবাসী শ্রমিকদের ফাইজারের টিকাদানের জনা নির্ধারিত সাতটি কেন্দ্র সংরক্ষিত থাকবে। এসব কেন্দ্র থেকে অন্যান্যদের টিকা দেওয়া হবে না। কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল গাস্ট্রো-লিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শহীদ সােহারাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
২৭। সৌদি আরব ও কুয়েত ব্যতীত অন্যান্য দেশের প্রবাসী শ্রমিকেরা উল্লিখিত ৭টি নির্দিষ্ট কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কেন্দ্রে নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবেন।
২৮। বিদেশগামী শিক্ষার্থীরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভুক্ত হয়ে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে টিকার আওতায় আসবে।
ছবি: সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: বাজারে বিক্রি হওয়া জনপ্রিয় একাধিক ‘টি-ব্যাগে’ সিসা, ক্যাডমিয়াম, পারদ, আর্সেনিক ও ক্রোমিয়ামের মতো ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিপজ্জনক মাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ধাতুগুলো স্থিতিশীল ও অজৈব হওয়ায় সহজেই শরীরে প্রবেশ করছে। এর প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তনালি ক্ষতি, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ, লিভার, কিডনি ও ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া বন্ধ্যত্ব ও শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ‘ব্রিউইং টক্সিনস : এক্সপোসিং দ্য হেভি মেটাল হ্যাজার্ড ইন টি-ব্যাগস অ্যান্ড ড্রাইড লুজ টি’ শীর্ষক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণাটি করেছে বেসরকারি সংস্থা ‘এনভায়রনমেন্ট ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (এসডো)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় এসডো কার্যালয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় জানানো হয়, দেশের ৯৬ শতাংশের বেশি মানুষ প্রতিদিন চা পান করে। তবে ৯৯ শতাংশ মানুষ জানে না যে, টি-ব্যাগের উপকরণে ভারী ধাতু থাকতে পারে। ৯০ শতাংশ মানুষ কখনোই টি-ব্যাগ ও চা-পাতার লেবেল বা সার্টিফিকেশন দেখে না। ল্যাব পরীক্ষায় টি-ব্যাগ ও চা-পাতা-উভয় ক্ষেত্রেই বিষাক্ত ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিরাপদ মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত পাওয়া গেছে; যা অনেক মানুষকে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ফেলছে। দুর্বল নিয়মকানুন ও কার্যক্রর প্রয়োগ না থাকায় ভোক্তারা সুরক্ষিত নয়।
গবেষণায় স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা ১৩টি নমুনা (১২টি টি-ব্যাগ এবং একটি চা-পাতা) পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, টি-ব্যাগের প্যাকেজিংয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় ভারী ধাতু রয়েছে। পরীক্ষায় টি-ব্যাগের প্যাকেজিংয়ে ক্রোমিয়াম সর্বোচ্চ ১,৬৯০ পিপিএম (নিরাপদ সীমা ৫ পিপিএম), সিসা ৫১ পিপিএম পর্যন্ত (সীমা ৫ পিপিএম), পারদ ১০৮ পিপিএম পর্যন্ত (সীমা শূন্য দশমিক ৩ পিপিএম) এবং আর্সেনিক ১৪ পিপিএম (সীমা ২ পিপিএম) পাওয়া গেছে। টি-ব্যাগে এ ধরনের ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়মিত চা পানকারীদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
অনুষ্ঠানে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসডোর চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ বলেন, ‘এটি ভোক্তা অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। আমরা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।’
গবেষণায় টি-ব্যাগ থেকে চা-পাতা আলাদা করার পর ভারী ধাতু অ্যান্টিমনি (সর্বোচ্চ ১৫৪ পিপিএম) পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নগণ্য পরিমাণে ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম শনাক্ত হয়েছে। তবে ইতিবাচকভাবে চা-পাতার পরীক্ষায় আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিঙ্ক এবং কোবাল্টের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও পাওয়া গেছে, যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রতিবেদনে বৈজ্ঞানিক গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে ৩ হাজার ৫৭১ জনের মতামত নেওয়া হয়, যা দেশের সাধারণ মানুষের চা পানের অভ্যাস ও চা কেনার সচেতনতা তুলে ধরে। জরিপে দেখা যায়, ৫৫ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কাপ এবং ১৭ শতাংশ ৪ বা তারও বেশি কাপ, ১০ শতাংশ ৫ কাপ বা তার চেয়ে বেশি এবং ১৮ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন এক কাপ চা পান করে। কিন্তু উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ ধারণা রাখে যে টি-ব্যাগে ভারী ধাতু থাকতে পারে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, ‘গবেষণাটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক বার্তা দেয়। আমরা আগে জানতাম না টি-ব্যাগের প্যাকেজিং এত ঝুঁকি বহন করে। গবেষণার সময় সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদাররা সমন্বয় করলে ভালো হতো। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষের অংশগ্রহণমূলক গবেষণা করা জরুরি।’ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)-এর সহকারী পরিচালক ইসমাত জাহান বলেন, ‘এমন যুগান্তকারী গবেষণাকে স্বাগত জানাই। আমরা দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। তবে আমাদের অবশ্যই দেশীয় চাশিল্পকে টিকিয়ে রাখা ও বিকশিত করার চেষ্টা করতে হবে।’ বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মারূফ মোহায়মেন বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক গবেষণা। এটি আমাদের আরও গবেষণা করার দরজা খুলে দিয়েছে।’
খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, ‘আমাদের আরও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।’
এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, ‘যদি আমরা চায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি, তবে এটি মানুষের জন্য শারীরিক ঝুঁকি তো বটেই, মানসিক চাপও তৈরি করবে। আমরা সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এসডোর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘গবেষণাটি আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলে বিষাক্ত ভারী ধাতু প্রবেশ করার পথ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা। আমাদের উদ্দেশ্য দোষারোপ নয়, বরং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যৌথভাবে সংকট মোকাবিলা করা।’
প্রতিবেদনে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো-বাগান, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিক্রয় পর্যায়ে নিয়মিত চা পরীক্ষা এবং এর ফলাফল স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করা। মাটি ও বাগান ব্যবস্থাপনা উন্নত করা এবং কৃষিতে ভারী ধাতু আনতে পারে-এমন ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার কমানো। চা জাতীয় সব পণ্যের নিরাপত্তা লেবেল ও সার্টিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা প্লাস্টিক ও পিইটি টি-ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং নিরাপদ বিকল্প চালু করা। সূত্র: যুগান্তর