a
ফাইল ছবি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সবাইকে সতর্ক থাকতে বললেন। সোমবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া অটোমেশন বিষয়ক সভা শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড কিছুটা বেড়েছে। সতর্ক হতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব ভুলে গেলে হবে না। রোগী বাড়ছে। গত কয়েক দিন থেকে ৫০-৭০ এর ঘরে সংক্রমণ থাকলেও সবশেষ শনিবার (১২ জুন) দেশে ১০৯ জনের শরীরে সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কোভিড কিছুটা বেড়েছে। গত কয়েক মাস আমরা দেখেছি ৩০-৩৫ জন সংক্রমিত হতো, গতকাল ছিল ১০৯ জন। সেই তুলনায় বেশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কোভিড এখনও নির্মূল হয়নি। আমরা এখন একটা স্বাভাবিক অবস্থায় আছি, আমরা যেন অস্বাভাবিক অবস্থায় না যাই সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ বাক্সের মধ্যে বসে এই টেলিভিশন থেকে ওই টেলিভিশনে গিয়ে নানান ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বুধবার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এসময় তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ অনেকে বলছেন, এক বছরে আমরা সক্ষমতা বাড়াইনি। যারা এক দিনও কোনো রোগীর পাশে দাঁড়াননি, তারা রোগতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। তারা তখন কী করেছিলেন? তারা’এখন টক শো-তে লম্বা লম্বা কথা বলেন। আমাদের পাশে আসেন। আপনার প্রজ্ঞা, জ্ঞান কাজে লাগান। হাসপাতালগুলোতে আসুন, রোগীদের পাশে দাঁড়ান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সাংবাদিকদের বিরূপ সমালোচনা থেকে বিরত থেকে সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনা করতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারি শুরু থেকেই আমরা সাংবাদিকদের সহযোদ্ধা হিসেবে দেখেছি। তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে এই সময়েও কিছু কিছু মিডিয়া সমালোচনার মাধ্যমে আমাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত না করে, তাদের মনোবল না ভেঙে, সবার পাশে দাঁড়াতে পরামর্শ দেন।
ফাইল ছবি
পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ৩৫ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, রংপুর গংগাচড়ার লক্ষ্মীটারী, নীলফামারীর ডিমলার কালিগঞ্জ, ঝাড়সিংহেশ্বর, খগারচর, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর ও জলঢাকার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর, ডাউয়াবাড়ী, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারীর মহিষখোচা, পলাশী ও সদরের ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর এবং গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলা গণমাধ্যমকে জানান, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
সোমবার সকাল ৬টা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে তিস্তার তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক