a
ফাইল ছবি । স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা ১৮ বছর করার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ সম্প্রসারণ এবং ওপিডি উদ্বোধন শেষে তিনি এই কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা ১৮ বছর পর্যন্ত করার সুপারিশ করেছে। এর প্রেক্ষিতে ‘আমরা চিন্তা করছি টিকার জন্য বয়সসীমা আরও কমিয়ে আনা যায় কি না। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। উনারও একটা নির্দেশনা আছে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিও গতকাল আমাদের জানিয়েছে ১৮ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়া যায় কি না।’
এ সময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজে পাঠাতে চাই। শিক্ষকদের টিকা দিচ্ছি, এখন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছে তাদেরও টিকার আওতায় নিয়ে আসব। তাদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার সুযোগ করে দিব। কারণ তাদের জীবনের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। শুরুতে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারতেন। আর গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ৩৫ বছর হলেই টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। তবে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সম্মুখসারিতে যারা কাজ করছেন তাদের জন্য এই বয়সসীমা প্রযোজ্য নয়।
ফাইল ছবি: বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শরীরে খনিজের অসমতা দেখা দিয়েছে। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমেছে। হঠাৎ করে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারের অবনতি হওয়ায় উদ্বিগ্ন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এসব তথ্য জানান মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পেটে পানি বেড়েছে। ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স দেখা দিয়েছে। এ কারণে ঘুম হচ্ছে না। কয়েকদিন ধরেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। বোর্ড নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার লিভারের সমস্যা জটিল হচ্ছে। আসলে এর শতভাগ চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু একাধিক জটিলতা থাকায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ জন্য তাঁকে বারবার উন্নত সেন্টারে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রেশার, ডায়াবেটিসসহ স্বাস্থ্যের প্রায় সব প্যারামিটারই ওঠানামা করছে। অ্যাটিবায়োটিক দিয়ে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। গত দু’দিনে অনেক টেস্ট করা হয়েছে। বোর্ড কয়েকটির রেজাল্ট দেখে উদ্বিগ্ন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন। নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত মাসের ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
এর আগে, গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়লে এর একটিতে রিং পরানো হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘একটি অপ্রিয় সত্য কথা বলতে চাই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজকে যে দুর্বৃত্তায়ন চলছে এজন্য আজকে রাস্তায় মানুষ বলাবলি করছে ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব নাকি মেরুদণ্ডহীন প্রাণী’।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে মির্জা কাদের এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, আর নোয়াখালীর মানুষ বলাবলি করছে, নোয়াখালীর রাজনীতির এই দূরবস্থা এবং একরাম চৌধুরীর অপকর্মের জন্য মেরুদণ্ডহীন সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম দায়ী। তারপরে কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতির আজকের এই অবস্থার জন্য আরেক মেরুদণ্ডহীন সাহাব উদ্দিন দায়ী।’
তিনি বলেন, এটা অপ্রিয় হলেও সত্য কথা। এটা মানুষের কথা, মানুষের মনের কথা। আমি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়ে রাজনীতি করবো। আমি নামাজের বিছানায় বসে শপথ করেছি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবো।
কাদের মির্জা বলেন, আমি আমার প্রতিশ্রুতি থেকে আজও এক চুল পরিমাণ সরে যায়নি। হেফাজতের উত্থান কিভাবে হয়েছে আপনারা জানেন। আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণে তাদের উত্থান। তারা আজকে এমন পর্যায়ে গিয়েছে, তারা এখন মানুষ হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করে না। দলের এখন সুসময়। বসন্তের কোকিলদের আনাগোনায় ত্যাগীরা হারিয়ে যাচ্ছেন।
কাদের মির্জা বলেন, মন্ত্রীর স্ত্রী সন্ত্রাসীদের অর্থের যোগান দিয়েছেন। যেহেতু তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত, তার দুর্নীতিকে ঢাকা দেওয়ার জন্য আমি যাতে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেত্রীর কাছে দেশবাসীর কাছে কোনো কিছু করতে না পারি সেজন্য তিনি আমার বিরোধীতা করছেন।
আমাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কার স্বার্থে, কিসের স্বার্থে, কেন আজকে সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমার নেতাকর্মীরা গুলি খেয়ে ঢাকাতে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। আপনি একবার তাদের দেখতেও যাননি, আপনার কোন প্রতিনিধিও যায়নি। এটার জবাব একদিন জনগণকে দিতে হবে, আল্লাহর আদালতে দিতে হবে।