a
ফাইল ছবি
বিশ্বে সর্বপ্রথম করোনার টিকা হিসেবে স্থায়ী অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা। স্থায়ী অনুমোদনের পূর্বে এটি শুধু জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এ তথ্য জানিয়েছে। করোনার ডেল্টা ধরন রুখতে কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়ায় ফাইজারের টিকাকে স্থায়ী ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এফডিএর কমিশনার জেনেট উডকক বলেন, এ সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে একটি বিশেষ মাইলফলক। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা টিকা নেওয়ার জন্য আরও আত্মবিশ্বাসী হবেন। তার দাবি, মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্নেষণ করেই ফাইজারকে পূর্ণাঙ্গ ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ, ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সের সবার জন্য ফাইজার ভ্যাকসিনের পূর্ণ অনুমোদনের কথা ঘোষণা করল। এ কমিশনার জেনেট উডকক সোমবার বিবৃতিতে আরও জানান, জনগণ এখন আশ্বস্ত হতে পারেন এফডিএ একটি দ্রব্য অনুমোদনের জন্য যে নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও গুণগত মান আশা করে, এ ভ্যাকসিন তা সফলভাবে অর্জন করেছে।
গত ডিসেম্বর মাসে, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। স্থায়ী অনুমোদনের পর ফাইজার সংস্থার সিইও আলবার্ট বুরলা আশা ব্যক্ত করেন যে, এ সিদ্ধান্ত আমাদের ভ্যাকসিনের ওপর আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, কারণ জীবন বাঁচাতে এই ভ্যাকসিনই সর্বোত্তম পন্থা বলে বিবেচিত।
বিবিসির তথ্যমতে গত ডিসেম্বরে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফাইজারের টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। তার আগে ব্রিটেন, বাহরাইন, কানাডা, সৌদি আরব ও মেক্সিকো সরকারের জরুরি অনুমোদন পেয়েছিল ।
স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য মতে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর দেহে তৈরি হওয়া সামগ্রিক অ্যান্টিবডি মাত্রা ছয় সপ্তাহের মধ্যে কমতে শুরু করবে। আর ১০ সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
গবেষণাটি করেছেন ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউএলসি) বিজ্ঞানীরা। তারা বলেন, যদি অ্যান্টিবডির মাত্রা এভাবে কমতে থাকে, তবে টিকার সুরক্ষা প্রভাবও কমে যাও শুরু করবে। বিশেষ করে নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা বেশি দেখা দেবে। খবর এনডিটিভির।
সংগৃহীত ছবি
আমাদের শরীর যে খাবারগুলো গ্রহণ করে সেগুলোকে ভাঙ্গতে ইউরিক এসিড তৈরি হয়। শরীরে ইউরিক এসিড বেশি থাকলে তা জয়েন্টগুলোতে বাসা বাঁধতে পারে এবং সব ধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। ইউরিক এসিডের মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭.২ এমজি/ডিএল হলে সহনীয়। এই পরিমাণ থেকে বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরে তৈরি কিছু পানীয় পান নিম্নোক্তভাবে করা যেতে পারে।
লেবুপানি
প্রতিদিন সকালে লেবুপানি পান করতে পারেন। এটি ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করতে পারে। লেবুতে থাকা উচ্চ ভিটামিন ‘সি’ শরীরকে ভাঙতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের করে দেয়। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেক লেবু ছেঁকে নিন এবং পান করুন।
হলুদ দুধ
হলুদ মেশানো দুধ খেলে শুধু আরামই মেলে না, সেই সঙ্গে এটি প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে এবং ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে কাজ করে। হলুদে পাওয়া জাদুকরী যৌগ কারকিউমিন অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটি হলুদ দিয়ে নাড়ুন এবং পান করুন। উপকারিতা নিজেই টের পাবেন।
শসার রস
শসা মানেই শীতলতা ও সতেজতা। শসায় থাকে ৯০% পানি। এটি ইউরিক এসিডসহ টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে পিউরিনের পরিমাণ খুব কম, যার মানে এটি সমস্যা বাড়াবে না। অল্প পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে গরমের দিনে এটি উপভোগ করুন।
আদা চা
এটি এমন লোকদের জন্য যারা আদা চায়ের উষ্ণতা পছন্দ করেন। আদা শুধু মসলাদার স্বাদই যোগ করে না, সেই সঙ্গে এটি প্রদাহবিরোধী উপকারিতায়ও পূর্ণ। এটি ইউরিক এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আদার কয়েকটি টুকরা পানিতে সেদ্ধ করুন এবং চা তৈরি করতে একটু মধু যোগ করুন। এটি জয়েন্টগুলোর জন্য বিস্ময়কর কাজ করে।
ডার্ক চকলেট
এই চকলেটে থেওব্রোমাইন থাকে। এই যৌগ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাস করে। চকলেট খেলেই শরীরের ক্ষতি হয়, এমনটা কিন্তু নয়।
যেহেতু অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনির মাধ্যমে নির্গত হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে এটি কিডনিতেও জমতে পারে। এই ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এছাড়াও এমনটা ঘটলে পিঠে বা কোমরে ব্যথা শুরু হতে পারে। অনেক সময় প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্তপাতও ঘটে। এগুলো শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।
সাধারণত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্যার কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। এই ক্ষেত্রে প্রথম থেকে জীবনধারাকে নিয়ন্ত্রণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ডায়েটে সামান্য পরিবর্তন আনলে চট করে বাড়ে না ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। কিন্তু এর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সবুজ শাক-সবজি, ফল বেশি করে খান। সাইট্রাস ফল অর্থাৎ লেবুর রস বেশি করে খান। এর পাশাপাশি শরীরকে সক্রিয় রাখুন। নিয়মিত ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এতে শরীরও সুস্থ থাকবে এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও সহজে বাড়বে না।
যেসব বিষয় এড়িয়ে চলবেন-
ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে ধূমপান করা যাবে না। পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স, টমেটো না খাওয়াই ভালো। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ভালো নয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে ওষুধের ওপর নির্ভর করতেই হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা বিশ্বজুড়ে ভিআইপিদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।
সাধারনত: বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা পান বিভিন্ন দেশের রাজা, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী। তাদের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা আর কেউ পান না। বাড়ির চারদিকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী, সঙ্গে প্রশিক্ষিত দেহরক্ষীসহ নানা নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয় সন্ত্রাসীদের হামলা এবং মনুষ্য গুপ্তচর ঠেকাতে। কিন্তু এসব যেন এখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে! কারণ পকেটেই যদি গুপ্তচর নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয় তাহলে এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে কী হবে?
পকেটে গুপ্তচর ঢোকাতে একটা স্মার্ট ফোন, একটি মেসেজ এবং একটি ক্লিকই যথেষ্ট। নিজের ব্যক্তিগত অডিও, ভিডিও, ছবি সব পৌঁছে যাবে গুপ্তচর নেতাদের কাছে। গত সপ্তাহ থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এই ডিজিটাল গুপ্তচর নিয়ে আলোচনা চলছে। ইসরায়েলের তৈরি পেগাসাস নামের একটি সফটওয়্যার দিয়ে বিশ্বের অন্তত ৫০ হাজার ফোন নম্বর হ্যাক করা হয়েছে বলে একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
পকেটেই গুপ্তচর!
এই অনুসন্ধান নতুন একটি প্রশ্ন সামনে এনেছে। তা হলো ইসরায়েলের সরকারই এনএসও গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। প্রতিষ্ঠাতা নিভ, সালেভ এবং ওমরির নাম অনুসারেই গ্রুপের নাম। লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকা কোম্পানির ভেতরের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কোম্পানির নীতিমালা স্টেট সিক্রেট (রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা)। তবে কোম্পানিকে একটা নিয়ম মেনে চলতে হয় যাকে ‘গোল্ডেনরুল’ বলা হয়। তা হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইসরায়েলে এটা ব্যবহার করা যায় না।
২০১১ সালে মেক্সিকো পেগাসাস স্পাইওয়্যার সর্বপ্রথম ক্রয় করে। এনএসও জানিয়েছে, ৪০টি দেশের ৬০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের ক্রেতা। ইতিমধ্যে সফটওয়্যারটির অপব্যবহার হয়েছে কি না তা জানতে ইসরায়েল সরকার একটি তদন্ত কমিশনও গঠন করেছে। যদিও এনএসও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানায়, আইওএস বা অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোনের ওপর গোপনে নজরদারি চালানোর ক্ষমতা এই ম্যালওয়্যারটির রয়েছে। পেগাসাস যদি কোনওভাবে ফোনের মধ্যে ঢুকতে পারে, তাহলে মালিকের অজান্তে ফোনকে ২৪ ঘণ্টার এক নজরদারির যন্ত্রে পরিণত করার ক্ষমতা রাখে। ফোন থেকে মেসেজ বা ছবি পাঠালে কিংবা রিসিভ করলে পেগাসাস তা কপি করে গোপনে পাচার করে পাঠিয়ে দেয় নির্দিষ্ট জায়গায়।
এই স্পাইওয়্যারটি অগোচরে ফোনের কথাবার্তা রেকর্ড করা এবং ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে গোপনে মালিকের ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। ফোন ব্যবহারকারী কোথায় আছেন, কোথায় গিয়েছিলেন অথবা কার সঙ্গে দেখা করেছেন পেগাসাস সেই সম্পর্কেও জানতে পারে। একটি টেক্সট ম্যাসেজ বা ই-মেইল পাঠানো হয় যাতে থাকে একটি লিংক। সেই লিংককে ক্লিক করলেই পেগাসাস ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এটা ২০১৬ সালের তথ্য। এখন তো এনএসও গ্রুপ সফটওয়্যারের ক্ষমতাকে বহু গুণ শক্তিশালী করেছে।
এতে খরচ কত?
২০১৬ সালে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, এনএসও গ্রুপ পেগাসাস সফটওয়্যারের মূল্য নিয়ে থাকে ৫ লাখ ডলার। আর মানুষের ফোন হ্যাক করতে আরও চার্জ নিয়ে থাকে। ওই সময় মোট সাড়ে ৬ লাখ ডলার নেওয়া হতো ১০টি আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক করতে। পাঁচটি ব্ল্যাকবেরি হ্যাক করতে নেওয়া হতো ৫ লাখ ডলার। অতিরিক্ত ১০০ ফোন টার্গেট করতে ৮ লাখ ডলার এবং ৫০ ফোন হ্যাক করতে ৫ লাখ ডলার দিতে হতো। এছাড়া বার্ষিক ব্যবস্থাপনা ফি হিসেবে এনএসও মোট মূল্যের ১৭ শতাংশ নিত। সৌদি আরবের সঙ্গেই এনএসও’র ৫৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছিল।
টার্গেটে যারা:
ওয়াশিংটন পোস্ট, লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান, ফ্রান্সের ল্য মঁদ, সাংবাদিকদের সংগঠন ফরবিডেন স্টোরিস এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিশ্বের প্রথমসারির ১৭টি মিডিয়ার যৌথ অনুসন্ধানে পেগাসাস নিয়ে ভয়ংকর সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। একটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় এত বড় হস্তক্ষেপ হয়তো আর কারও দ্বারা সম্ভব নয়। অনুসন্ধানী কর্মসূচির নাম ছিল ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’। স্পাইওয়্যার সফটওয়্যার ঢোকানো হয়েছে কিনা তা জানতে অ্যামনেস্টি ৬৭টি ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করেছে। এর মাধ্যমে ৩৭টি পজিটিভ এসেছে। তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়।
কয়েক মাস ধরে চালানো এই অনুসন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্যবহার করা ৫০ হাজারেরও বেশি মোবাইল ফোন নম্বর পরীক্ষা করা হয়েছে। যে ১৪ জন রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধান পেগাসাসের টার্গেট হয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে আছে তিন জন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট- ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ, দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিল রামাফোসা এবং ইরাকের বারহাম সালিহ। ১০ জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে তিন জন এখনও ক্ষমতায়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, মিসরের মোস্তফা মাদব উলি এবং মরক্কোর সাদ-এদিন আলওথমানি। টার্গেট হয়েছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহামেদ।
৩৪টি দেশের ৬০০ সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিকের ফোন নম্বর রয়েছে। এছাড়া আরব রাজ পরিবারের সদস্য, ৬৪ কোম্পানি কর্মকর্তা, ১৮৯ সাংবাদিক এবং ৮৫ মানবাধিকার কর্মীও রয়েছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন