a বিশ্বের প্রথম করোনা টিকার স্থায়ী অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিশ্বের প্রথম করোনা টিকার স্থায়ী অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২৪ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:৩৫
বিশ্বের প্রথম করোনা টিকার স্থায়ী অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার

ফাইল ছবি

বিশ্বে সর্বপ্রথম করোনার টিকা হিসেবে স্থায়ী অনুমোদন পেয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা। স্থায়ী অনুমোদনের পূর্বে এটি শুধু জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এ তথ্য জানিয়েছে। করোনার ডেল্টা ধরন রুখতে কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়ায় ফাইজারের টিকাকে স্থায়ী ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এফডিএর কমিশনার জেনেট উডকক বলেন, এ সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে একটি বিশেষ মাইলফলক। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা টিকা নেওয়ার জন্য আরও আত্মবিশ্বাসী হবেন। তার দাবি, মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্নেষণ করেই ফাইজারকে পূর্ণাঙ্গ ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ, ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সের সবার জন্য ফাইজার ভ্যাকসিনের পূর্ণ অনুমোদনের কথা ঘোষণা করল। এ কমিশনার জেনেট উডকক সোমবার বিবৃতিতে আরও জানান, জনগণ এখন আশ্বস্ত হতে পারেন এফডিএ একটি দ্রব্য অনুমোদনের জন্য যে নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও গুণগত মান আশা করে, এ ভ্যাকসিন তা সফলভাবে অর্জন করেছে।

গত ডিসেম্বর মাসে, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। স্থায়ী অনুমোদনের পর ফাইজার সংস্থার সিইও আলবার্ট বুরলা আশা ব্যক্ত করেন যে, এ সিদ্ধান্ত আমাদের ভ্যাকসিনের ওপর আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, কারণ জীবন বাঁচাতে এই ভ্যাকসিনই সর্বোত্তম পন্থা বলে বিবেচিত।

বিবিসির তথ্যমতে গত ডিসেম্বরে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফাইজারের টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। তার আগে ব্রিটেন, বাহরাইন, কানাডা, সৌদি আরব ও মেক্সিকো সরকারের জরুরি অনুমোদন পেয়েছিল ।

স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য মতে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর দেহে তৈরি হওয়া সামগ্রিক অ্যান্টিবডি মাত্রা ছয় সপ্তাহের মধ্যে কমতে শুরু করবে। আর ১০ সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে।

গবেষণাটি করেছেন ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউএলসি) বিজ্ঞানীরা। তারা বলেন, যদি অ্যান্টিবডির মাত্রা এভাবে কমতে থাকে, তবে টিকার সুরক্ষা প্রভাবও কমে যাও শুরু করবে। বিশেষ করে নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা বেশি দেখা দেবে। খবর এনডিটিভির।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’- এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৫১
পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন গ্রীন ভয়েস এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:   গ্রীন ভয়েস এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত। আজ ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’- এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। “শব্দ, বায়ু ও বর্জ্য দূষণ অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমানো, পুরাতন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং কালো ধোঁয়া নির্গমন ঠেকাতে বাধ্যতামূলক ফিটনেস পরীক্ষার দাবি জানানো হয়।

গ্রীন ভয়েসের সহ-সমন্বয়ক হুমায়ূন কবির সুমনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গ্রীন ভয়েসের উপদেষ্টা স্থপতি ইকবাল হাবিব, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিনিয়র সাংবাদিক শুভ কিবরিয়া, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সদস্য সচিব রোস্তম আলী খোকন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের (পরিজা) সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, শিল্পী ও শিক্ষক আবু সেলিম, গ্রীন ভয়েস তেজগাঁও কলেজ শাখার সভাপতি শাহ্রিন সেঁজুতি এবং বহ্নিশিখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক ফাতেহা শারমিন এনী প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সেফটি ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা শাখাওয়াত হোসেন স্বপন, গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ- সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম রাতুল, আরিফুর রহমান, শাকিল কবির, ফাহমিদা নাজনীন তিতলি, কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য স্বপন মাহমুদ, আলী আহসানসহ প্রায় ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির। মানববন্ধন থেকে সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবিসমূহ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মোনছেফা তৃপ্তি। রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “শব্দ, বায়ু ও বর্জ্য দূষণ একটি পুঁজিকেন্দ্রিক উন্নয়ন ব্যবস্থার ফল। মুনাফার জন্য কিছু গোষ্ঠী জনগণের স্বাস্থ্য ও প্রকৃতিকে ত্যাগ করছে। উন্নয়ন মানে যদি মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, তাহলে সে উন্নয়ন অগ্রহণযোগ্য। আমরা চাই এমন একটি দেশ যেখানে উন্নয়ন হবে পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং মানবিক। গ্রীন ভয়েসের মতো সংগঠনগুলোই আজ সত্যিকার উন্নয়নের পথ দেখাচ্ছে।”

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “বাংলাদেশের পরিবেশ আজ তিনটি প্রধান দূষণে বিপর্যস্ত—শব্দ, বায়ু ও বর্জ্য। প্রতিটি দূষণই জনস্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। সরকার এবং নীতিনির্ধারকদের উচিত এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পরিবেশ আন্দোলন আর বিলাসিতা নয়, এটি এখন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। গ্রীন ভয়েস যে সচেতনতা তৈরি করছে, তা শুধু প্রশংসনীয় নয়, বরং সময়োপযোগী ও জরুরি। তরুণদের এই উদ্যোগে সমাজ ও রাষ্ট্রের সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার।”

সাংবাদিক শুভ কিবরিয়া বলেন, “পরিবেশ দূষণের খবর শুধু কাগজে ছাপলে হবে না, সেটিকে জনতার আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। ঢাকার বায়ু আজ বিষে পরিণত হয়েছে, শিশুরা শব্দ দূষণে শ্রবণ শক্তি হারাচ্ছে। এ বাস্তবতা পাল্টাতে হলে আমাদের গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, তরুণ প্রজন্ম সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গ্রীন ভয়েসের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিতে শেখাচ্ছে। এটা শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি একটি সচেতনতা আন্দোলন।”

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে রোস্তম আলী খোকন বলেন, “আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবেশচেতনা গড়ে তোলার সুযোগ এখনো খুব সীমিত। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে গাছ ভালোবাসা, নদীকে রক্ষা করা, শব্দ কমানো এসব শিক্ষা দিতে হবে। পরিবেশ আন্দোলনকে শুধু বিজ্ঞানের আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। গানের, নাটকের, কবিতার মাধ্যমে পরিবেশচেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। গ্রীন ভয়েস এর মধ্য দিয়ে সেই পথেই এগোচ্ছে।”

সভাপতির বক্তব্যে আলমগীর কবির বলেন, আজকের আমাদের সমাবেশের বার্তা পরিষ্কার—শব্দ, বায়ু ও বর্জ্য দূষণ আমাদের নীরবভাবে হত্যা করছে। এটি শুধু পরিবেশ সমস্যা নয়, এটি এক জাতীয় সংকট। এই বার্তাকে সামনে রেখে, আমরা প্রতিশ্রুতি নিচ্ছি—শব্দহীন সহনশীলতা, বিশুদ্ধ বাতাস, এবং দূষণমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমরা আরও শক্তভাবে, আরও সংগঠিতভাবে কাজ করে যাব। শুধু গাছ লাগিয়ে নয়, চেতনার বীজ বুনে—তরুণদের হাত ধরে একটি সচেতন, সচল ও সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণ করাই হবে আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য। আমরা চাই, আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা রেখে যাই একটি বাসযোগ্য পৃথিবী—যেখানে প্রকৃতি আর মানুষ একে অপরের শত্রু নয়, সহযাত্রী। আর সেই পথচলায় তরুণরাই হবে আমাদের কাণ্ডারি।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব থেকে একটি সচেতনতামূলক র‍্যালি বের করা হয় যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে অবস্থিত রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাপ্ত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচির ইতি ঘটে এবং দূষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সমাবেশ থেকে নিম্নোক্তদাবীগুলো উত্থাপন করা হয়-
বায়ুদূষণ:
১. জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর ও পুরাতন যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং কালো ধোঁয়া নির্গমন ঠেকাতে ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২. দুই-স্ট্রোক ইঞ্জিনচালিত যানবাহন সারা দেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে, নদীপাড়ের ইটভাটা ভেঙে ফেলতে হবে এবং কাঠ বা গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪. মাটির ইটের পরিবর্তে কংক্রিট ব্লকের মতো পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহ দিতে হবে এবং সরকারি প্রকল্পে তা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫. নির্মাণকাজের সময় বায়ু ও শব্দ দূষণ কমাতে ঘের দেওয়া, ঢাকনা ব্যবহার এবং ধুলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিয়ম মানতে
হবে।
৬. ঢাকাসহ সব বড় শহরে বায়ুর মান পরিমাপের ব্যবস্থা বাড়াতে হবে এবং আগাম দূষণের পূর্বাভাস দেওয়ার ব্যবস্থা চালু
৭. শুষ্ক মৌসুমে নিয়মিতভাবে রাস্তা ভেজাতে হবে এবং এজন্য সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।

শব্দদূষণ:
১. শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং হাসপাতাল ও স্কুলের সামনে হর্ণ বাজানো
বন্ধ করতে হবে।
২. হাইড্রোলিক হর্ণের আমদানি ও তৈরি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং হর্ণ বাজালে কড়াভাবে জরিমানা দিতে হবে। ৩. গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেওয়ার আগে চালকদের শব্দ বিষয়ে সচেতনতা যাচাই করতে হবে এবং শব্দমাত্রা মেপে গাড়ির ছাড়পত্র দিতে হবে।
৪. আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে শব্দ নিয়ন্ত্রণের সাইনবোর্ড লাগাতে হবে এবং নিয়মিত মনিটরিং চালাতে হবে।
৫. যেকোনো নির্মাণকাজ বা কারখানার অনুমোদনের আগে শব্দদূষণ কমানোর ব্যবস্থা আছে কি না, তা ভালোভাবে যাচাই
করতে হবে।
৬. রাতে ছাদ বা কমিউনিটি হলে গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে এবং ড্রিল মেশিন, ব্লেন্ডার বা প্রেসার কুকারের মতো জোরে শব্দ করা যন্ত্র ব্যবহার কমাতে হবে।

বর্জ্য দূষণ (তরল, কঠিন, ইলেকট্রনিক ও চিকিৎসা):
১. ওয়াসার তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ঢাকার তরল বর্জ্য সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়ার্কশপ আয়োজন করতে হবে।
২. তরল বর্জ্য ব্যবস্থায় আনতে হবে। ওয়াসার দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং দেশের সবাইকে স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহারের আওতায় আনতে হবে।
৩. কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থায় বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে—ছোট ছোট প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ে তুলে বড় কেন্দ্রগুলোর উপর চাপ কমাতে হবে।
৪. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঘর থেকেই আলাদা করে ফেলতে হবে, প্রথমে ধনী পরিবার ও প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে সারা এলাকায় ছড়িয়ে দিতে হবে।
৫. ই-বর্জ্য ব্যবস্থায় Reduce, Reuse, Recycle পদ্ধতি চালু করতে হবে এবং সরকার-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিধিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম চালাতে হবে।
৬. হাসপাতালের বর্জ্য অবশ্যই আলাদা করে ফেলতে হবে এবং নিয়মিত তদারকি করে সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে। ৭. সাভারের ট্যানারি সিটিতে ইটিপি যেন ঠিকমতো কাজ করে তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সব ট্যানারির বর্জ্য পরিশোধন করতে হবে।
৮. শিল্প এলাকার দূষণের জন্য পরিচিত জায়গাগুলোতে মনিটরিং যন্ত্র বসিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শিক্ষার্থীদের ভাবনার চেয়েও দ্রুত গতিতে চলছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ: জবি উপাচার্য 


মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:১৩
শিক্ষার্থীদের ভাবনার চেয়েও দ্রুত গতিতে চলছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ-জবি উপাচার্য 

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি: ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ( বুধবার)  দুপুর ১২ টায় উপাচার্য কনফারেন্স রুমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজের অগ্রগতি, জকসু নির্বচন, অস্থায়ী আবাসন, আবাসন ভাতা, জুলাই আন্দোলনের বিরোধীকারীদের বিচারসংক্রান্ত বিষয়,ফুড কোর্ট এবং অডিটোরিয়াম সংস্করণ   নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

এসময়  উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম পিএইচডি,ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন,  প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল  হক এবং ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. বিলাল হোসাইন সহ সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
আলোচনা সভায় প্রক্টর অধ্যাপক  ড. মুহাম্মদ  তাজাম্মুল হক বলেন, "আমরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে যতদিন পর্যন্ত না হল স্থাপন করতে পারছি  ততদিন পর্যন্ত আমরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ৭ একর  জায়গাতে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করবো  বলেছিলাম। কিন্তু আমরা যখনই দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের অস্থায়ী আবাসন  নিয়ে কাজ করতে যাই তখনই ওই ৭ একর  জায়গাতে কিছু পরিমাণ বালু ভরাট করেছিল আগের প্রকল্প থাকাকালীন। আমরা দেখেছি  এখান থেকে কিছু মানুষেরা বালু নিয়ে গেছে। যাদের নেতৃত্বে ওখানে বালু ভরাটের কাজ চলছিলো  তারা যেন কীভাবে জানতে   পারে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাদের পারিশ্রমিক না পাওয়ার আশায় তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। সেই প্রেক্ষিতে এখন বলা যায়, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনী শুরু করলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আলাদাভাবে ওই ৭ একর জমিতে দ্রুত অস্থায়ী  আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।"
তিনি আরও  জানান ২০২৬ সালের মধ্যে  দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য দুইটি হল স্থাপন সম্পন্ন হবে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা সুষ্ঠু পরিবেশে ফিরে আসতে পারবে। 

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে দেওয়া প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, "আমরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে যতটুকু চিন্তা করে  তার থেকে দ্রুত গতিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ চলমান রয়েছে। নতুন করে আরডিপি নিয়োগের কাজ চলছে। সমস্ত কাজ মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে আশা করি দ্রুত সমাধান হবে। ধারণা রাখছি আগামী অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সেনাবাহিনী  দৃশ্যমান ভাবে কাজ শুরু করতে পারবে।"

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য