a
সংগৃহীত ছবি
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারী সাবেক করসেবক মোহাম্মদ আমেরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার তেলেঙ্গানা প্রদেশের হায়দরাবাদ শহরে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
খবরে বলা হয়, হায়দরাবাদের পুরনো শহরে হাফিজ বাবা নগর মহল্লায় মোহাম্মদ আমেরের বাড়ি থেকে বাজে গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কাছাকাছি থাকা কাঞ্চনবাগ পুলিশ স্টেশন থেকে একটি দল এসে বাড়িতে ঢুকে তার লাশ উদ্ধার করে।
কাঞ্চনবাগ পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর জে ভেঙ্কট রেড্ডি বলেন, ‘মৃত্যুর কারণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যদি আমরা তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহ করে কোনো অভিযোগ পাই, পুলিশ তখন ময়নাতদন্ত করবে এবং মামলা লিপিবদ্ধ করবে।’
পূর্বে বলবির সিং নামে পরিচিত মোহাম্মদ আমের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) কর্মী ছিলেন। আরএসএসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে ১৯৯২ সালে তিনি বাবরি মসজিদের ধ্বংসে অংশ নিয়েছিলেন।
কিন্তু তার উদারপন্থী পরিবার তার কাজকে প্রত্যাখ্যান করলে তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করতে থাকেন। মানসিক শান্তির জন্য তিনি উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের মাওলানা কলিম সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করেন। পরে ১৯৯৩ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং বলবির সিং থেকে নিজের নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আমের রাখেন।
ইসলাম গ্রহণের পর থেকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে নিজের অংশগ্রহণের বদলায় ১০০ মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন মোহাম্মদ আমের। এই লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে হরিয়ানায় ‘মসজিদে মদীনা’ নামে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি।
গত ২৭ বছরে মোট ৯১টি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মোহাম্মদ আমের। এছাড়া আরো ৫৯টি মসজিদ বর্তমানে নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে। সূত্র : সিয়াসত ডেইলি
ছবি: অনিন্দ চক্রবর্তী
স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিশিষ্ট সমাজকর্মী, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও সার্ক কালচারাল সোসাইটি(ভারত)-এর কার্যকরী কমিটির সাধারন সম্পাদক এ্যাড. অনিন্দ কুমার চক্রবর্তী সম্প্রতি দিল্লীতে ওয়ার্ল্ড পিস অব ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি থেকে অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। সামাজিক ও মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়াহয়।
উল্লেখ্য যে, এ্যাড.অনিন্দ কুমারচক্রবর্তী ১৯৬৯ সালের ৬ অক্টোবর দক্ষিন ২৪ পরগনার সুন্দর বন অঞ্চলের এক নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম স্বর্গীয় ননী গোপাল চক্রবর্তী। তিনি স্থানীয় স্কুল- কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর উড়িষ্যার উৎকল ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ও পরে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।
এরপরে তিনি ইন্ডিয়া বার কাউন্সিল থেকে সনদ লাভ করে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। এর মাঝেই তিনি স্থানীয় কিছু সামাজিক সংস্থার সাথে জড়িত হয়ে নানা সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত হন। এরই অংশ হিসাবে পশ্চিম বঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় অসহায় দরিদ্রদের মাঝে ত্রান কার্যক্রম, চক্ষুশিবির ও ফ্রি বস্ত্র দান ক্যাম্প পরিচালনা করেন। তিনি ২০০৯ সালে ও ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় কবলিত সুন্দরবন এলাকায় ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি ২০২১৪-১৫ সালে রোটারী ক্লাব অব পুরবøক, কলকাতা- এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালেসার্ক কালচারাল সোসাইটি (ভারত)’র কার্যকরী কমিটির সাধারন সম্পাদক, ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত কলকাতার নতুন পল্লী উন্নয়ন সমিতির সাধারন সম্পাদক, ২০২২-২৪ সালে অল ইন্ডিয়া আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আলীপূর ইউনিটের সেক্রেটারী নির্বাচিত হন।
এছাড়াও তিনি ভারতের মাতৃসেবা মিশন ও শেফালী পেস্ট কন্ট্রোল’র আইন উপদেষ্টা। সামাজিক কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ ও ভারতের নানা জায়গা থেকে অনেক পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন।
ফাইল ফটো: করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৪৯৬ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১০১৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন।
আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১২৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৫ হাজার ৬ হাজার ৬১৩ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।