a
ফাইল ছবি: বেগম খালেদা জিয়া
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আজ সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে গতকাল রোববার রাতে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। তাঁকে এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানালেন চিকিৎসকেরা।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন। তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। সূত্র: প্রথম আলো
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৮৩৩ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১৬৮২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৪২ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২১৭৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪১ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ফাইল ছবি
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, বিষয়টির দিকে তারা নজর রাখছে। আর এটি স্পষ্টতই উদ্বেগের বিষয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংকালে বাংলাদেশের সাংবাদিককে হয়রানি ও গ্রেফতারসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এসব কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে নিয়ে প্রকাশিত গণমাধ্যমের খবর আমাদের নজরে এসেছে। অবশ্যই আমরা নজর রাখছি। এটা স্পষ্টতই উদ্বেগজনক বিষয়।’
কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে ডুজারিক বলেন, ‘বিষয়টিতে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। সাংবাদিকদের কোনোভাবেই হয়রানি বা শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না। মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সেটা বাংলাদেশ কিংবা পৃথিবীর যেকোনো জায়গাই হোক না কেন।’
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে বিশ্বে সাংবাদিকেরা যে ভূমিকা রাখছেন, তা আমরা সবাই পর্যবেক্ষণ করেছি। তারা যেখানে, যে অবস্থায় কাজ করুক না কেন, তাদের কাজের ক্ষেত্র হতে হবে বাধাহীন।’ সূত্র: ইত্তেফাক