a অবশেষে টিকার কাঁচামাল ও ভেন্টিলেটর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

অবশেষে টিকার কাঁচামাল ও ভেন্টিলেটর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র


স্বাস্থ্য ডেস্ক:
সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৪৭
অবশেষে টিকার কাঁচামাল ও ভেন্টিলেটর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি

বিগত সত্তর দশক ধরে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সমন্বয় চলে আসছে, সে মোতাবেক দুই দেশ একজোট হয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুল্লিভান। 

সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ফোনালাপে করোনা পরিস্থিতিতে সমবেদনা জানিয়ে তিনি টিকা তৈরির কাঁচামাল এবং ভেন্টিলেটর পাঠানোর আশ্বাস দেন। 

যদিও গত ২দিন আগের খবর যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত আবেদন করেছিল যাতে করোনা টিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে। সেখানে ভারতের আবেদন গ্রহণ না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই যুক্তি দিয়েছিলেন।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কভিশিল্ড তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যত দ্রুত সম্ভব ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সাহায্য পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন নিজেই। গতকাল রবিবার এক টুইটবার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মহামারীর শুরুতে যখন যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালের ওপর চাপ পড়েছিল, তখন ভারত যেমন আমাদের সাহায্য পাঠিয়েছিল, তেমনই প্রয়োজনের সময় আমরা ভারতকে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর।’

এদিকে, প্রেসিডেন্টের কিছুক্ষণ পরই টুইট করেন ডেপুটি কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, ‘উদ্বেগজনক কভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলায় বাড়তি সাহায্য এবং সরঞ্জাম প্রদানের জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করছে আমেরিকা। সাহায্য প্রদানের পাশাপাশি সাহসী স্বাস্থ্যকর্মীসহ ভারতীয়দের জন্য প্রার্থনা করছি।’

অক্সিজেন-চিকিৎসার অভাবে ভারত যখন মৃত্যুপুরী পরিণত হয়েছে, তখন অসহায় দেশটির পাশে দাঁড়াচ্ছে একে একে বিশ্বের সকল দেশ। 

ইতিমধ্যে ভারতের এমন মহাবির্যয়ে পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মান ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এরই মধ্যে অক্সিজেনসহ বিভিন্ন চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

ভারতের এই চরম বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ। করোনা সংকট মোকাবেলায় দেশটিকে সব ধরনের সহায়তার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি ও ফ্রান্স। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

৩১ আগস্ট আবারো হামলার আশঙ্কায় কাবুল বিমানবন্দর


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২৯ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:৪৭
৩১ আগস্ট আবারো হামলার আশঙ্কায় কাবুল বিমানবন্দর

ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। আইএসের ভয়াবহ ওই হামলায় এখনো মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এরমধ্যে আবারো সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আবারো কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। আফগানিস্তান থেকে উদ্ধারকারী যুক্তরাষ্ট্রের শেষ ফ্লাইটগুলো সম্ভবত আগামী মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকবে।

পশ্চিমা সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের অবশিষ্টাংশ সে দেশ থেকে বহন করে আনবে এবং তাদের সুরক্ষার জন্য ভূমিতে আর কোন সৈন্য থাকছে না, এরইমধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকের ভয়াবহ হামলায় রক্তের দাগ না শুকাতেই আবারো সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আবারো কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা।
 
মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বলছেন সর্ব শেষ প্রহরার ব্যবস্থা তুলে নেয়ার পর বিমান বন্দর থেকে বিমানগুলোর উড়ানের সময়ে তাদেরকে নির্ভর করতে হবে তালিবান যোদ্ধাদের উপর এটা নিশ্চিত করতে যে ইসলামি স্টেট খোরাসান বা আইসিস-কে বিমান বন্দরে কোন রকেট বা মর্টার হামলা চালাচ্ছে না।
 
ব্রিটেনের ডিফেন্স স্টাফ প্রধান জেনারেল নিক কার্টার শনিবার (২৮ আগস্ট) বলেন, সকলের জানা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের শেষ বিমানগুলো নিরাপদে আফগানিস্তান ত্যাগ করার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডার ও সৈন্যদের কি দুর্দান্ত পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। ব্রিটেনের স্কাই নিউজকেও তিনি বলেন, শেষ বিমানটির আফগানিস্তান ত্যাগের কথা ভাববো এবং সেই সাহসী লোকদের জন্য এটা যে কত বড় চ্যালেঞ্জ আমরা রুদ্ধ শ্বাসে সেই কথা ভাববো।
 
ব্রিটেন শনিবার তার শেষ ফ্লাইট নিয়ে কাবুল থেকে যাত্রা করে। ব্রিটিশ বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের স্থলবাহিনীর কড়া নজরদারিতে বিমান বন্দর ত্যাগ করে। বিমানবন্দরের অদূরে গত বৃহস্পতিবার ইসলামিক স্টেটের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ জন আমেরিকান সৈন্য এবং কমপক্ষে ১৭০ জন আফগান অসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। পেন্টাগন বলছে, ওই হামলায় অন্তত ১৮ জন সৈন্য আহত হয়েছে।
 তালেবান কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত আফগান নাগরিকদের অনেকেরই মরদেহ নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় এবং ওই ঘটনায় কমপক্ষে ২০০ জন আফগান নাগরিক আহত হয়। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

ফকির আলমগীর আর নেই


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৩
ফকির আলমগীর আর নেই

ফাইল ছবি

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

কয়েক দিন ধরে ফকির আলমগীর জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর পর তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তখন থেকেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তাকে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
ফকির আলমগীরের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। যে কারণে জটিলতা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির পর দুই ব্যাগ প্লাজমা দেয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর।

তার ছেলে মাশুক আলমগীর জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫-এ নেমে আসে। ওই দিন থেকে চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়ার পরামর্শ দেন। ভেন্টিলেশনে নেয়ার পর থেকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ পর্যন্ত উন্নীত হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এক সময় রক্তে ও ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া যায়। রক্তচাপ খুবই নেমে যায়। রক্তে ইনফেকশনের জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকালে জ্বর আসতো। শুক্রবার নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে রাতে আবারো অবস্থার অবনতি হয়। এরপর গণসংগীতের এই শিল্পীকে মৃত্যু ঘোষণা দেয়া হয়।
 
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো: হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেসা। শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে সংগীতচর্চা করেছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাঁশীবাদক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তার গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন ফকির আলমগীর। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে ও ’৬৯-এর গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। গণ–অভ্যুত্থান, ’৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০–এর সামরিক শাসনবিরোধী গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তার গান দিয়ে।
 
জনপ্রিয় গান:
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেছেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয়পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার।

সম্মাননা ও পদক:
সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পর্যন্ত পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক’, ‘শেরেবাংলা পদক’, ‘ভাসানী পদক’, ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার’, ‘তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক’, ‘জসীমউদ্‌দীন স্বর্ণপদক’, ‘কান্তকবি পদক’, ‘গণনাট্য পুরস্কার’, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননা’, ‘ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার’, ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র’, ‘জনসংযোগ সমিতি বিশেষ সম্মাননা’, ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিশেষ সম্মাননা’ ও ‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ’।

শোক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বরেণ্য শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে রাতে সরকারি সংবাদ সংস্থা- বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক