a
ফাইল ছবি
অল্প কিছুুদিন আগে মেলবোর্নে নেতা গান্ধীর মূর্তি স্থাপন করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। কিন্তু সেই মূর্তির গলা কাটার চেষ্টা করেছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা।
ভিক্টোরিয়ার পুলিশ জানায়, শুক্রবার উদ্বোধনের পর পরই কেউ বা কাহারা মূর্তিটির উপর হামলা চালায়। যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে মূর্তির গলাকাটার চেষ্টা করা হয়। শেষ পর্যন্ত তারা সফল হতে পারেনি। মূর্তির সামান্যই ক্ষতি হয়েছে। গলার কাছে স্পষ্ট কাটা চিহ্ন দেখা যায়। খবর ডয়েচে ভেলে।
ভিক্টোরিয়ার পুলিশ আরও জানান, গোয়েন্দারাও তদন্তে নেমেছেন। দ্রুত অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, 'অস্ট্রেলিয়া মিশ্র সংস্কৃতির দেশ। সব ধরনের মানুষ একত্রে বসবাস করেন। সকলের সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেয়া হয় এখানে। যারা একাজ করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।'
এই ঘটনায় বিচলিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রাও। ভিক্টোরিয়ায় ভারতীয় অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সূর্যপ্রকাশ সোনি জানিয়েছেন, 'ভারতীরা এই ঘটনায় অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছে। আশা করছি, প্রশাসন দ্রুত হামলাকারীদের ধরতে পারবে।'
অস্ট্রেলিয়া-ইন্ডিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রধান ভাসান শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন, মূর্তিটির বেশ খানিকটা ক্ষতি হয়েছে। তবে তা সারিয়ে ফেলা হবে। এরমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ফাইল ছবি
এই প্রথম ইউরোপীয় কোনো রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদ জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড সরকার। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সহিংসতার প্রতিবাদে সংসদে একটি প্রস্তাবে পাস করেছে দেশটির সরকার। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
জানা গেছে, প্রস্তাবটি পাস হলে সেখানে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং ইসরায়েলের ওপর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা হতে পারে।
আর এক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ডই হবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রটি পশ্চিম তীরে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে।
ফাইল ছবি
রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রসহ যে কোনো শত্রুকে ধ্বংস করে দেওয়ার মতো অস্ত্র মস্কোর আছে বলে হুশিয়ার করেছেন রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভ।
সোমবার রাষ্ট্রীয় রোসিসকায়া গেজেটা পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াশিংটন মস্কোর পারমাণবিক সক্ষমতাকে খাটো করে দেখছে বলেও অভিযোগ করেন।
পাত্রুশেভ বলেন, রাশিয়া ধৈর্যশীল এবং সামরিকভাবে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা থাকা নিয়ে কাউকে ভয়ও দেখায় না। তবে রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে দেশটির হাতে বিশেষ আধুনিক অস্ত্র আছে, যেগুলো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনও শত্রুকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নিজেদের প্রচারণার ফাঁদে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালে তারা এমন প্রতিরোধক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে সক্ষম যে, এরপর মস্কো আর জবাব দেওয়ার মতো অবস্থায় থাকবে না। এটা অদূরদর্শী এক বোকামি এবং খুবই বিপজ্জনক।
শনিবার পুতিন বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ার পর পশ্চিমাদের নিন্দা ও সমালোচনার মুখে রাশিয়ার প্রভাবশালী নিরাপত্তা কাউন্সিলের সেক্রেটারি পাত্রুশেভ এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করলেন। সূত্র: যুগান্তর