a
ফাইল ছবি
আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর জন্য নিজেদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার তেহরানের পক্ষ থেকে বাকুকে এ তথ্য জানানো হয়। ইরানের ওপর দিয়ে আজারবাইজানের স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র নাখচিভানে সামরিক সরঞ্জামাদি বহন করত আজারবাইজান। সে পথটি বন্ধ করে দিয়েছে তেহরান। একটি সামরিক সূত্র তুর্কি ওয়ার্ল্ডকে বিষয়টি জানিয়েছে।
তেহরানের এমন সিদ্ধান্ত আর্মেনিয়ার প্ররোচণায় করা হয়েছে বলে আজারবাইজান মনে করে।
বাকুর সামরিক বাহিনী প্রতিনিয়ত সামরিক সরঞ্জাম আজারবাইজানের স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র নাখচিভানে এ পথে বহন করত।
এদিকে ইরান বেশিরভাগ সময় আজারবাইজানের আকাশসীমা আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহণ করিডোর ব্যবহার করে।
একটি সামরিক সূত্র জানায়, নাখচিভানে আজারবাইজানের সামরিক সরঞ্জাম পাঠাতে ইরানের এই প্রচেষ্টা সাময়িক বাধার সৃষ্টি করবে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পরিবহণের জন্য এই রুট কম ব্যবহার করা হয়। সাধারণত অন্যপথে পরিবহণ পছন্দ করে দেশটি।
বেশ কয়েকটি ঘটনায় আজারবাইজান ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে তালানিতে ঠেকেছে।
নাখচিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র আজারবাইজানের একটি স্বশাসিত ছিটমহল। নাখচিভান একটি অর্ধ মরূভূমি অঞ্চল। অঞ্চলটি আজারবাইজানে মূল অংশ থেকে আর্মেনিয়ার দ্বারা বিচ্ছিন। জানগেজুর পর্বত দ্বারা নাখচিভানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সীমান্ত এবং আরাস নদী দ্বারা ইরানের সঙ্গে সীমান্ত হয়েছে। নাখচিভান অঞ্চলটি খুবই শুষ্ক এবং এটি পাহাড়ি এলাকা। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে আরও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ বসিয়েছেন দখলদার সেনারা।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন- হামাসের যোদ্ধারা ব্যাপক সংখ্যায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের আশঙ্কায় আয়রন ডোমের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়। খবর হারেৎজের।
ইসরাইলি মিডিয়া আরও বলে যে, ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদিবাদী সেনার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বায়তুল মুকাদ্দাসে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন-হামাস গাজা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে ইসরাইল এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমতীরেও ফিলিস্তিনিরা অভিযান চালানোর আশঙ্কা করছে দখলদার ইসরায়েল সেনারা। এ কারণে সেখানে তাদের পূর্বনির্ধারিত প্রশিক্ষণ কোর্স স্থগিত করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের একটি অনাবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। এর পর দখলদার বাহিনী গাজার দক্ষিণে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।
এতে ৯ শিশুসহ অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। গত কয়েক দিন ধরেই বায়তুল মুকাদ্দাসে মসজিদুল আকসা ও এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল বাহিনী। এসব হামলায় তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ফাইল ছবি
আজ রবিবার মিরপুরে দুপুর ১টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান করে টিম টাইগার জবাব দিতে নেমে মেহেদি মিরাজের বোলিং তোপে ৪৮.১ওভারে ২২৪ রানে অল আউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের জয় ৩৩ রানে।
আজ বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেন তামিম ইকবাল লিটন দাস জুটি। বরাবরের মত এবারো ব্যর্থ লিটন দাস। ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৫ রান আর ব্যক্তিগত ০ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটসম্যান। লিটন জিম্বাবুয়ের সাথে ১৭৬ রান করার পর এ নিয়ে তিন ইনিংসে শুণ্য রানে আউট হলেন ওই ইনিংসের পর তার সর্বোচ্চ রান ২২। লিটনের বিদায়ের পর সাকিব তামিম জুটি কিছুটা পথ দেখালেও বেশ সুবিধা করতে পারেনি সাকিবও ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এর পর মাঠে আসে মি.ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম, তামিমের সাথে জুটি গড়েন ৫৬ রানের। ব্যক্তিগিত ৫২ রানে তামিম যখন আউট হন দলীয় রান তখন ৯৯ পরের বলেই মোহাম্মদ মিঠুনকেও শুণ্য রানে সাজঘরে ফেরান ধনাঞ্জয়া।
দলীয় ৯৯ রানে পর পর দুই উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরান মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটি। মুশফিক আউট হলে থামে ১০৯ রানের জুটি, ক্যারিয়ারের ৪০তম অর্ধশতক পূর্ণ করে ৮৪ রানে আউট হন মুশফিকুর রহিম। শেষ দিকে রিয়াদের অর্ধশত আর আফিফের ব্যাটিংয়ে ২৫৭ রানের পুজি পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ে নেমে মেহেদী মিরাজের বোলিং তোপে লন্ডভন্ড লঙ্কান ব্যাটিংলাইনাপ। ১০ ওভার হাত ঘুড়িয়ে ৩০ রানে একাই নেন ৪ উইকেটে। মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৩ উইকেট, ২টি নেন সাইফুদ্দিন, এক উইকেট পেয়েছেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে হাসারাঙ্গার ব্যাট থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করে লঙ্কান দলপতি কুশল পেরেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ : ২৫৭/৬ (৫০ ওভার)
মুশফিক ৮৪, রিয়াদ ৫৪, তামিম ৫২, আফিফ ২৭*
ধনঞ্জয়া ৪৫/৩, গুনাথিলাকা ৫/১
শ্রীলঙ্কা : ২২৪/১০ (৪৮.১ ওভার)
হাসারাঙ্গা ৭৪, পেরেরা ৩০
মিরাজ ৩০/৪, মুস্তাফিজ ৩৪/৩, সাইফউদ্দিন ৪৯/২, সাকিব ৪৪/১
ফল : বাংলাদেশ ৩৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম