a
ফাইল ছবি
আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার সেনাদের মধ্যে আবারও গোলযোগপূর্ণ নাগোর্নো-কারাবাখে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে আজারবাইজানের সেনাদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় আর্মেনিয়ার তিন সেনা নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছে। আজ সকালেই এই সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পার্সটুডের।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংঘর্ষের জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করেছে। আর্মেনীয় মন্ত্রণালয় বলেছে, আজারবাইজানের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতি সংঘাতময় করে তোলা হয়েছে এবং আজারবাইজানের সেনারা অবৈধভাবে আর্মেনিয়ার স্বাধীন ভূখণ্ডে অবস্থান করছে।
জবাবে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কালবাজারে আজারবাইজানের সেনা অবস্থানে আর্মেনীয় সেনারা উস্কানিমূলক হামলা চালালে তার জবাব দেয়া হয়েছে। এতে আজারবাইজানের দুই সেনা আহত হয়েছে বলে আজেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে। উল্লেখ্য, নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে গত নভেম্বর মাস থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার পর আজ এরকম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আর্মেনীয় সেনা নিহতের খবর পাওয়া গেল।
ফাইল ছবি
ব্যাপক সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকা নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির।
তালেবানের এক কমান্ডার বলেছেন, পুরেরা আফগানিস্তান এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। সমস্যা সৃষ্টিকারীরা পরাজিত হয়েছে এবং পাঞ্জশির এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জশির উপত্যকা। এলাকাটি উঁচু-নিচু পাহাড়ি ও দুর্গম হওয়ায় অনেকটা সুবিধাজনক স্থানে ছিল তালেবান প্রতিরোধ গোষ্ঠী। উপত্যকাটিতে ঢোকার রাস্তা খুবই সরু। সেখানে কয়েক হাজার তালেবান বিরোধী যোদ্ধা অবস্থান করছিল।
প্রসঙ্গত, এখনো এই অঞ্চলটি এনআরএফের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আফগান প্রতিরোধের নায়ক বলে পরিচিত আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ।
আহমদ শাহ মাসুদ ছিলেন একজন শক্তিশালী গেরিলা কমান্ডার। যিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ১৯৯০ -এর দশকে বিদ্রোহী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগান সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তালেবান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরও ২০০১ সালে তাকে হত্যার আগ পর্যন্ত তালেবান শাসনের বিরুদ্ধে তিনিই ছিলেন প্রধান বিরোধী কমান্ডার।
ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ কারণে দেশের বেশ কিছু এলাকার নৌবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে এ বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমে গেছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘এই বৃষ্টি সারাদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হতে পারে। তবে কোথাও টানা বৃষ্টি হবে না।’ আগামীকাল এই বৃষ্টি কমে আসতে পারে বলে জানান।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে ।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক