a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি মন্ত্রীসভা। কারা থাকছে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভায় তা ঘোষণা হতে পারে আজই। এর পূর্বে চারজন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে তালেবানের পক্ষ থেকে। নিয়ন্ত্রণের তিন সপ্তাহ পর সরকার গঠনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানায় তালেবান কর্তৃপক্ষ। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এখন চলছে তালেবান সরকার গঠনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় সংগঠনটির সর্বোচ্চ নেতা হেবায়েতুল্লাহ আখুন্দজাদার হবেন দেশটির প্রধান নেতা। তার ডেপুটি থাকবেন তিনজন। তারা হলেন শীর্ষ নেতা মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার, প্রভাবশালী হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজিুদ্দিন হাক্কানি, এবং প্রয়াত নেতা মোল্লা ওমরের ছেলে মৌলবী ইয়াকুব।
এ ছাড়া আগেই ঘোষিত চার মন্ত্রী হলেন অর্থমন্ত্রী গুল আগা, ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিম, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা আবদুল কাইয়ুম জাকির ও ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। চুক্তি অনুযায়ী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ৩১ আগস্ট কে আফগানিস্তানের স্বাধীন দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয় তালেবানের।
ফাইল ছবি
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের বাঘরাম বিমান ঘাঁটি ছেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সব সেনা সদস্য। শুক্রবার এএফপিকে বিষয়টি জানায় যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
বাঘরাম ঘাঁটি এতদিন ধরে তালেবান এবং আল কায়েদার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বাঘরাম ঘাঁটি থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনা কখন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তা তিনি বলেননি।
বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহারের পর এ ঘাঁটি কখন আফগানিস্তানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে এ বিষয়েও কিছু বলেনি এই কর্মকর্তা। সূত্র: এনডিটিভি
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে হঠাৎ করেই এসে হাজির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে আসেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা। চতুর্থ দিনের আলোচনা পর্ব শেষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সাংস্কৃতিক পর্বে সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে অনির্ধারিতভাবে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আসার পর সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার আসার পর একটি নাটিক ও পরে ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর পছন্দের গান। গানগুলো পরিবেশন করেন এ প্রজন্মের তরুণ শিল্পীরা। সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। এ সময় গানের সঙ্গে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কণ্ঠ মেলান।
জাপানি দুই তরুণ শিল্পীর পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের আবেগাপ্লুত করে। ‘বাজনা বিট’ নামের একটি দলের দুজন শিল্পী জাপানি ও বাংলা ভাষায় গান পরিবেশন করা হয়। ধন্য ধান্যে পুষ্পে ভরা...গানটি বাংলায় পরিবেশন করার সময় প্রধানমন্ত্রী মাস্ক খুলে তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। দীর্ঘ সময় উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।