a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ তালেবানের দখল করে নেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়, জার্মানি আবার আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠাবে কিনা। দীর্ঘদিন জার্মান বাহিনীর অবস্থান থাকা উত্তর আফগানিস্তানের সাথে কাবুলের গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগপথটি রোববার তালেবানরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
গত জুন মাসে আফগানিস্তান থেকে শেষ জার্মান সৈন্যকে ফেরত আনা হয়েছে। কুন্দুজের পতনের পর জার্মানির আবার আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠানোর জল্পনা-কল্পনাকে একাধিক টুইটের মাধ্যমে নাকচ করে দেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাওয়ার।
সোমবারের টুইট বার্তায় তিনি স্পষ্টভাবে জানান, আপাতত জার্মান সৈন্য ফেরত পাঠানোর প্রশ্ন নেই। তবে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন তিনি।
সোমবার পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলীয় পাঁচটি ও দক্ষিণের একটিসহ মোট ছয়টি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এরমধ্যে রোববার একদিনে কুন্দুজসহ তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নেয় তারা।
উত্তর আফগানিস্তান থেকে কাবুল ঢোকার গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট কুন্দুজ। এখানেই দীর্ঘ ১০ বছর জার্মান বাহিনীর ঘাঁটি ছিল। গত দশ বছরে জার্মান সৈন্য এই অঞ্চল সম্পূর্ণ নিজেদের আধিপত্যে রেখেছিল। কুন্দুজ দখল করা মানে কাবুলের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে তালেবান।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘কুন্দুজ সহ গোটা আফগানিস্তান থেকে যে রিপোর্ট আসছে, তা দুঃখজনক। বহু জার্মান সৈন্য রক্ত দিয়ে কুন্দুজকে রক্ষা করেছিল। আমরা ওখানে অনেক লড়াই করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এতদিনের পরিশ্রম নষ্ট হয়েছে। এই ঘটনা থেকে ভবিষ্যতে বিদেশে কোনো মিশনে গেলে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
জার্মানি আফগানিস্তানে আবার সৈন্য পাঠাবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে টুইট বার্তায় মন্ত্রী বলেন, জার্মান পার্লামেন্ট কি পুরো এক প্রজন্মের জন্য আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠাতে পারবে? যদি না পারে, তাহলে সৈন্য ফেরত ফেরত আনার পরিকল্পনাই ঠিক ছিল।
তিনি আরো বলেন, তালেবানকে ধ্বংস করার জন্য আরো লম্বা সময়ের প্রয়োজন ছিল। বাস্তবে যে সময় পাওয়া যায়নি।
বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে বলেন, ট্রাম্প যদি তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা না করতেন, তাহলে পরিস্থিতি আজ এমন হতো না।
আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সৈন্য সরিয়ে নেবে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের ধারণা, ওই সময় পর্যন্ত তালেবান কাবুলের দিকে যাবে না। কিন্তু যেভাবে তালেবানরা এগোচ্ছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যেই তারা কাবুল দখল করবে বলে মনে করছেন অনেকে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে
ফাইল ছবি
ইসরায়েলে নতুন সরকার গঠনের জন্য ৮টি বিরোধী দল মিলে যে জোট গঠন করেছে, সে জোটের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সম্ভাব্য সরকার গঠন করতে এই জোটকে ঠেকিয়ে দিতে সংসদ সদস্যদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি দাবি করেছেন, এই জোট যে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তা ইসরায়েলের জন্য ‘বিপজ্জনক’।
তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের রাজনৈতিক দলগুলো মিলে যে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে, সেটা ‘বামপন্থি’ সরকার। এই সরকার ইসরায়েলের ভবিষ্যতকে বিপদাপন্ন করে তুলবে। খবর বিবিসির।
প্রস্তাবিত সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ডানপন্থিদের একজোট হওয়ার আহ্বানও জানিয়ে নেতানিয়াহু এক টুইট বার্তায় আরও বলেন, এটি (নতুন সরকার) হল ইসরায়েলবাসীর জন্য শতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রতারণা। এটি একটি বামপন্থি সরকার।
নেতানিয়াহু বলেন, নিশ্চিতভাবেই অদূর ভবিষ্যতে এর কারণে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের জীবন-নিরাপত্তা বিপন্ন হবে। আমি নেসেটের (ইসরায়েলের আইনসভা) ডানপন্থি সব সদস্যকে এই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই বামপন্থিদের বিরুদ্ধে অবস্থা নিন।
এদিকে, নেতানিয়াহুকে সরিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে জোট তৈরি করেছে ৮টি বিরোধী দল। ইয়ামিনা পার্টি ও ইয়েশ আটিডের নেতৃত্বাধীন এই জোটে যুক্ত হয়েছে একটি আরব দলও। ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটলো।
৮ দলের জোট সরকার গঠন করার লক্ষ্যে বুধবার রাতে ইসলামি আন্দোলনের দক্ষিণ শাখার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড আরব লিস্ট প্রধান মনসুর আব্বাসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইয়েশ আটিড দলের নেতা ইয়ার লাপিদ। তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার লক্ষ্যেই জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
ফাইল ফটো:
লিটন দাস-নাজমুল শান্ত এবং পেসার রুবেল হোসেনের তোপে দারুণ ব্যাটিংয়ে কুইন্সটাউনে বড় ব্যবধানে হেরেছে তামিম ইকবাল একাদশ। ওয়ানডে সিরিজের আগে নিজেদের মধ্যে খেলা এই প্রস্তুতি ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে তামিমরা তোলেন ২৩৩ রান। জবাবে ৯ উইকেটের জয় পায় শান্ত একাদশ।
মঙ্গলবার জন ডেভিস ওভালে শুরুতে ব্যাট করে সৌম্য সরকার ২৮ রান, নাঈম শেখরা ১২ রান সেট হয়ে ফিরে যান। ভরসা দেওয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও আউট হন সেট হয়ে। তিনি করেন ৩৫ রান। তবে মোহাম্মদ মিঠুন একপাশ দিয়ে খেলে যাচ্ছিলেন। তার ব্যাট থেকে আসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ হার না মানা ৬৬ রান।
নিউজিল্যান্ডের বেঞ্জি চুলহান খেলেন অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস। তরুণ ডানহাতি অফ স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহেদি হাসান করেন ৩৬ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তামিমের একাদশ তোলে ওই রান।
নাজমুল শান্তর একাদশ জবাব দিতে নেমে উড়ন্ত শুরু করে । অধিনায়ক শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। অন্যদের সুযোগ দিতে মাঠ ছেড়ে উঠে যান তিনি। লিটন দাস ৫৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম ৫৪ রান করে। মেহেদি মিরাজও ফিফটি রান করে। তিনি পুরোপুরি ৫০ রান করে মাঠ ছাড়েন। পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন করেন ১৬ রান।
রুবেল হোসেন দারুণ বোলিং করেন নাজমুল একাদশের হয়ে। দলের সিনিয়র এই পেসার ৪২ রানে নেন ৪ উইকেট। অন্য উইকেটটি নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তামিম একাদশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি পান দলের বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
তামিম একাদশ: তামিম ইকবাল, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, শেখ মাহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন এবং নিউজিল্যান্ডের এক ব্যাটসম্যান ও বোলার।
নাজমুল একাদশ: লিটন দাস, নাজমুল শান্ত, আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, রুবেল হোসেন এবং নিউজিল্যান্ডের তিন ক্রিকেটার।