a আফগানিস্তানে জার্মান ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তালেবান
ঢাকা সোমবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আফগানিস্তানে জার্মান ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তালেবান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১০ আগষ্ট, ২০২১, ০৮:৫৬
আফগানিস্তানে জার্মান ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তালেবান

ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ তালেবানের দখল করে নেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়, জার্মানি আবার আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠাবে কিনা। দীর্ঘদিন জার্মান বাহিনীর অবস্থান থাকা উত্তর আফগানিস্তানের সাথে কাবুলের গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগপথটি রোববার তালেবানরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

গত জুন মাসে আফগানিস্তান থেকে শেষ জার্মান সৈন্যকে ফেরত আনা হয়েছে। কুন্দুজের পতনের পর জার্মানির আবার আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠানোর জল্পনা-কল্পনাকে একাধিক টুইটের মাধ্যমে নাকচ করে দেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাওয়ার।

সোমবারের টুইট বার্তায় তিনি স্পষ্টভাবে জানান, আপাতত জার্মান সৈন্য ফেরত পাঠানোর প্রশ্ন নেই। তবে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন তিনি।

সোমবার পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলীয় পাঁচটি ও দক্ষিণের একটিসহ মোট ছয়টি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। এরমধ্যে রোববার একদিনে কুন্দুজসহ তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নেয় তারা।

উত্তর আফগানিস্তান থেকে কাবুল ঢোকার গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট কুন্দুজ। এখানেই দীর্ঘ ১০ বছর জার্মান বাহিনীর ঘাঁটি ছিল। গত দশ বছরে জার্মান সৈন্য এই অঞ্চল সম্পূর্ণ নিজেদের আধিপত্যে রেখেছিল। কুন্দুজ দখল করা মানে কাবুলের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে তালেবান।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘কুন্দুজ সহ গোটা আফগানিস্তান থেকে যে রিপোর্ট আসছে, তা দুঃখজনক। বহু জার্মান সৈন্য রক্ত দিয়ে কুন্দুজকে রক্ষা করেছিল। আমরা ওখানে অনেক লড়াই করেছি।’

তিনি বলেন, ‘এতদিনের পরিশ্রম নষ্ট হয়েছে। এই ঘটনা থেকে ভবিষ্যতে বিদেশে কোনো মিশনে গেলে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।’

জার্মানি আফগানিস্তানে আবার সৈন্য পাঠাবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে টুইট বার্তায় মন্ত্রী বলেন, জার্মান পার্লামেন্ট কি পুরো এক প্রজন্মের জন্য আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠাতে পারবে? যদি না পারে, তাহলে সৈন্য ফেরত ফেরত আনার পরিকল্পনাই ঠিক ছিল।

তিনি আরো বলেন, তালেবানকে ধ্বংস করার জন্য আরো লম্বা সময়ের প্রয়োজন ছিল। বাস্তবে যে সময় পাওয়া যায়নি।

বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে বলেন, ট্রাম্প যদি তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা না করতেন, তাহলে পরিস্থিতি আজ এমন হতো না।

আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সৈন্য সরিয়ে নেবে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের ধারণা, ওই সময় পর্যন্ত তালেবান কাবুলের দিকে যাবে না। কিন্তু যেভাবে তালেবানরা এগোচ্ছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যেই তারা কাবুল দখল করবে বলে মনে করছেন অনেকে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না ভারত:শ্রীরাধা দত্ত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩, ০৫:৫০
আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না ভারত:শ্রীরাধা দত্ত

ফাইল ছবি: শ্রীরাধা দত্ত

ভারত সরকার কখনই মার্কিন সরকারের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত। বিবিসি বাংলাকে এক সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকির ইস্যুতে ভারত সরকার কি বাংলাদেশে সরকারের পাশে থাকবে? এ প্রশ্ন এখন নানা জায়গায় আলোচিত হচ্ছে। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকা র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর সুরাহার জন্য বাংলাদেশ সরকার দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছিল বলে খবর বেরিয়েছিল যা তারা অস্বীকার করেনি। 

ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশলগত সহযোগী দেশ এবং কোয়াডের সদস্য। খুবই ঘনিষ্ঠ একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে উঠেছে দুই দেশের মধ্যে। তাছাড়া, ভারতের বাজারও আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য খুবই লোভনীয়।

কিন্তু দিল্লি কি তাদের সেই কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে? ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্ত বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দিল্লির ওপর ভরসা করে এবং এখনও করবে, কিন্তু ভারতেরও কিছু সমস্যা রয়েছে। ভারত কি আমেরিকাকে বলবে বাংলাদেশ নিয়ে তোমরা যা করছো সেটি ঠিক নয়? আমার মনে হয়না ভারত তা করবে।’  

বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে ভারত সরকার দেন-দরবার করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে কূটনীতি বিভিন্ন চ্যানেলে হয়, ভারত হয়ত ট্র্যাক টু বা ট্র্যাক থ্রি চ্যানেলে একথা তুলবে, কিন্তু ভারত সরকার কখনই মার্কিন সরকারের কাছে গিয়ে বাংলাদেশ বা আওয়ামী লীগের হয়ে দেন-দরবার করবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চাপ থাকলেও রোহিঙ্গা সংকটে নিয়েও ভারত মিয়ানমার সরকারের ওপর কখনই খোলাখুলিভাবে কোনো চাপাচাপি করেনি। তবে মিজ দত্ত স্বীকার করেন ভারত চায় আওয়ামী লীগের সরকার বাংলাদেশে থাকুক কারণ, তার মতে, নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগগুলো সবসময় শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে  বিবেচনা করেছেন, যা নিয়ে দিল্লি কৃতজ্ঞ।’

এ কারণে, তিনি বলেন, ‘পরপর দুটো নির্বাচন নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠলেও ভারত চোখ বুজে ফলাফলকে মেনে নিয়েছে। এটা ঠিক যে ভারত আওয়ামী লীগকে অন্ধের মত সমর্থন করেছে...কিন্তু আমেরিকা এখন যেভাবে ক্ষেপে উঠেছে সেটা ভারতের জন্য চিন্তার জায়গা তো বটেই। মনে হচ্ছেনা আমেরিকানরা পেছোবে। সেখানে ভারত কী করতে পারবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’

এর আগে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও ভারত যে বাংলাদেশের হয়ে আমেরিকার সঙ্গে জোরালো কোনও দেন-দরবার করেছে তার কোনো নজির নেই বলে উল্লেখ করেন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

গনস্বাস্হ্য অভাবনীয় পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে!


ফেসবুক ডেস্ক:
বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২৬
গনস্বাস্হ্য অভাবনীয় পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে

ডা.জাফর উল্লাহ চৌধুরী

চারিদিকে হতাশা ও দুঃসংবাদের মধ্য একটা ভাল ও পজেটিভ খবর নিয়ে আসলো, ড.জাফর উল্লাহ চৌধুরীর গনস্বাস্হ্য কেন্দ্র। জানিনা তার এই  সুচিন্তা কোন দুষ্ট চক্রের দ্বারা বাধা গ্রস্হ্য হয় কি না....

আসুন জেনে নেই, গনস্বাস্হ্যের কি পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে...। বাসা বাড়িই হবে আপনার করোনা হাসপাতাল। 

[১] আপনি বাসায় থাকবেন, শুধু একটা ফোন কল। ব্যস, আপনার বাসায় হাজির হয়ে যাবে 'গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র'র কোভিড ১৯ চিকিৎসক দল।

[২] 'গণস্বাস্থ কেন্দ্র'র ট্রাস্টি ও চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ঢাকার ভেতরে এই সেবা প্রদান করা হবে। গণস্বাস্থ্যের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম যে ওষুধ দেবে, তার জন্য কোনো টাকা নেবে না। এছাড়া করোনা পরীক্ষাসহ অন্যান্য যেসব পরীক্ষা করা হবে, সেগুলোর প্রায় অর্ধেক মূল্য নেবে তারা।

[৩] ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ধরেন, কেউ একজন রাজধানীর কলাবাগান থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফোন করল কিংবা অ্যাপসের মাধ্যমে জানাল। তার বাড়িতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গাড়ি যাবে, এক্সরে মেশিন যাবে, ইসিজি যাবে, ভ্যান্টিলেটর যাবে- সব যাবে। প্রথমে পরীক্ষার জন্য রক্তসহ প্রয়োজনীয় স্যাম্পল নিয়ে চলে আসবে। আগে যদি পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ থাকে, তাহলে তার বাড়িতে গিয়ে আমরা ওষুধসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে আসব। এছাড়া বুকের এক্স-রে, ইসিজিসহ যেসব টেস্ট করানো প্রয়োজন, তা করা হবে। মোট কথা একজন করোনা রোগীর বাড়িতে একটা হাসপাতাল চলে যাবে।’

[৪] তিনি জানান, করোনা রোগীকে ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হবে। আর বিভিন্ন পরীক্ষা করা হলে যে খরচ হবে, করোনা রোগীকে তার প্রায় অর্ধেক দিতে হবে। যেমন- বিভিন্ন পরীক্ষায় খরচ হলো ১০ হাজার টাকা, রোগীর পরিশোধ করতে হবে ৬ হাজার টাকা।

[৫] ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা দু’টি নম্বর দিয়ে দিচ্ছি। সেবা নিতে আগ্রহীদের সেই নম্বরে কল করতে হবে। নম্বর দুটি হলো- ০১৭০৯-৬৬৩৯৯৪ এবং +৮৮০৯৬০২১১১৯৪০। এই দুই নম্বরে ফোন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমকে ডাকতে পারবেন। আর করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাড়ির একজন লোককে প্রশিক্ষণ দেব আমরা। যাতে করোনা রোগীর দেখাশোনা করতে পারে ওই বাড়ির প্রশিক্ষণ পাওয়া লোকটি।’

[৬] তিনি আরও বলেন, ‘এখন যে কেউ গণস্বাস্থ্যের হাসপাতালে এসে করোনার চিকিৎসা নিতে পারবেন। ৪০ শয্যার একটা ইউনিট করেছি আমরা। তার মধ্যে ৫টি করোনা আইসিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, কার্ডিয়াক মনিটর, ভ্যান্টিলেটর, ইসিজিসহ সব সুবিধা নিয়ে করোনা ইউনিট খোলা হয়েছে। ধানমণ্ডিতে এগুলো করা হয়েছে। তারপর করোনা আইসোলেশন সেন্টারও করা হয়েছে। এখানে এখনই যেকোনো লোক এসে ভর্তি হতে পারে।’

ডা. জাফরুল্লা চৌধুরীর মতো আর দশজন যদি এই মানবিক সেবা নিয়ে এগিয়ে আসতো তাহলে লকডাউন, মুভমেন্ট পাশের প্রয়োজন হতো না, রাস্তা ঘাটে পাবলিক, ডাক্তারদের নিগৃহীত হতে হতো না। আসুন, এই মহৎ সেবার খবরটি সকলের কাছে পৌঁছে দিই। Dr. Zohir Biswas- ( তথ্যসুত্র) ...........Aminul Islam Mehidi ফেসবুক হতে সংগৃহীত

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক