a
সংগৃহীত ছবি
আফগান সরকার তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে। দেশে সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে আফগান সরকারের একটি শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার থেকে জানা যায়, তালেবান গোষ্ঠী গজনী শহর দখল করার পর ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার। এই নিয়ে তালেবানের হাতে এ পর্যন্ত ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন ঘটেছে।
আফগান সরকারের ওই সূত্র জানিয়েছেন, কাতারের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তালেবানের কাছে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিস রয়েছে।
আল-জাজিরা টেলিভিশনের পাশাপাশি আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমও ক্ষমতা ভাগাভাগির খবর দিয়েছে তবে আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়নি বরং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে- কাতারের রাজধানী দোহায় যেহেতু শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে কারণে কাবুল তার অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটায়নি।
আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন-এর চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী দেশগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
উত্তর কোরিয়া সরকারিভাবে দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এ দু’টি এলাকা সম্প্রতি স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা রাশিয়া করছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। তার আগে এ দুটি অঞ্চল নিজেদেরকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রজাতন্ত্র দুটিকে ইউক্রেন থেকে স্বাধীন করার জন্য ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন। বর্তমানে লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে রুশ সৈন্যরা।
গতকাল বুধবার দোনেস্ক প্রজাতন্ত্রের নেতা ডেনিস পুশিলিন ঘোষণা করেন, উত্তর কোরিয়া দোনেস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, এর মধ্যদিয়ে দোনেস্ক প্রজাতন্ত্রের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বাড়তে শুরু করলো এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এটি দোনেস্কের জন্য আরেকটি কূটনৈতিক বিজয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডেনিস পুশিলিন আশা করেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ফলপ্রসূ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। এদিকে, রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ‘তাস’ জানিয়েছে, মস্কোয় অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস দোনেস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে এবং দেশটির সাথে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। সূত্র : দ্য কোরিয়া হেরাল্ড
ফাইল ছবি
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলওয়ে স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের ভেতরসহ রেল স্থাপনায় ধূমপান ও তামাকমুক্ত এলাকা হিসেবে থাকবে। কেউ এসব আইন অমান্য করে ধূমপান বা তামাক গ্রহণ করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আজ বুধবার রেল ভবনে ‘ইনিশিয়েটিভ টু মেক বাংলাদেশ রেলওয়ে টোব্যাকো ফ্রি’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু আইন বা প্রচারণা বাড়িয়ে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যদি তামাকের উৎস বন্ধ করা না যায়। রেলওয়েতে প্রকাশ্যে ধূমপান করা নিষেধ। ট্রেনে যাত্রী যাতে তামাকজাতীয় দ্রব্য নিয়ে ভ্রমণ করতে না পারে সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এটি কার্যকর করা হবে।’
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ইউনিয়নের অর্থায়নে রেলপথ মন্ত্রণালয় উল্লিখিত প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো- শিশু, নারী, অসুস্থ ব্যক্তিসহ অধূমপায়ী যাত্রীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা প্রদান। পানের পিকমুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতে রেলস্টেশন ও ট্রেনের ভেতর পান-জর্দা বা সাদাপাতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানষ) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদক অনুবিভাগ) ইসরাত চৌধুরী প্রমুখ।
প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিসোর্সপারসন হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি প্রকল্প পরিচালক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক। সূত্র: বিডি প্রতিদিন