a
সংগৃহীত ছবি
আফগান সরকার তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে। দেশে সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে আফগান সরকারের একটি শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার থেকে জানা যায়, তালেবান গোষ্ঠী গজনী শহর দখল করার পর ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার। এই নিয়ে তালেবানের হাতে এ পর্যন্ত ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন ঘটেছে।
আফগান সরকারের ওই সূত্র জানিয়েছেন, কাতারের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তালেবানের কাছে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিস রয়েছে।
আল-জাজিরা টেলিভিশনের পাশাপাশি আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমও ক্ষমতা ভাগাভাগির খবর দিয়েছে তবে আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়নি বরং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে- কাতারের রাজধানী দোহায় যেহেতু শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে কারণে কাবুল তার অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটায়নি।
আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন-এর চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী দেশগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে স্থানীয় সময় শনিবার বিমান হামলার সতর্কসংকেত বাজতে শোনা গেছে। খবর বিবিসি। খারকিভ, চেহেরনিভ, সুমি ও মারিউপোলের মতো শহরগুলো ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী। তারা শহরগুলোতে ব্যাপকহারে বোমা হামলা চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। কিয়েভে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিয়েভ অঞ্চলের ভাসিলকিভ শহরের কাছে রাশিয়ার রকেট হামলায় ইউক্রেনের একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ মজুত করে রাখার একটি স্থাপনায় (ডিপো) রুশ সেনা হামলা করেছে। শহরটির মেয়রকে উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
রুশ সেনারা কিয়েভের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। তাঁরা মূলত: কিয়েভ দখল করতে লড়াইয়ের জন্য এমন অবস্থান নিচ্ছেন। কিয়েভ দখলের ক্ষেত্রে তাঁরা ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে পারেন।
উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার উত্তরের শহর মশচুনের বাড়িঘর গোলার আগুনে জ্বলতে দেখা গেছে। কিয়েভের উপকণ্ঠে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের পর আবাসিক ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। কিয়েভের উপকণ্ঠে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের পর আবাসিক ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেনের জাতীয় জরুরি সেবা বিভাগ বলছে, লুহানস্ক অঞ্চলের সেভেরোদনেৎস্ক ও রুবিজন শহরে রাশিয়ার গোলায় কয়েক ডজন আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহর দুটিতে গোলাবর্ষণে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় জরুরি সেবা বিভাগের তথ্যমতে, রুশ সেনারা রাতভর গোলাবর্ষণ করেছেন। এতে শহর দুটির প্রায় ৬০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টেলিগ্রাম চ্যানেলে জাতীয় জরুরি সেবা বিভাগের এক বার্তায় বলা হয়, শত্রুরা লুহানস্ক অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। সবকিছু ইউক্রেনেরই থাকবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কসংকেত বাজার মধ্যেই গোলাবর্ষণের এ খবর এল। কিয়েভ ইনডিপেনডেন্ট এক অনলাইন পোস্টে জানায়, ‘ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই এখন বিমান হামলার সতর্কসংকেত শোনা যাচ্ছে।’
বিবিসি বলেছে, বিমান হামলার সতর্ক সংকেতের পর পশ্চিম ইউক্রেনের লিভিভ ও পোলটাভা শহরের বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়।
ফাইল ছবি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের আমন্ত্রণে তুরস্ক-ফিলিস্তিন সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে গতকাল শুক্রবার তিনদিনের সফরে গেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
তুরস্কের যোগাযোগ দফতরের এক বিবৃতিতে জানা গেছে, সফরকালে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন নিয়েও তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করবেন মাহমুদ আব্বাস। এছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, ফিলিস্তিনের মানবিক পরিস্থিতি এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন দু'দেশের প্রেসিডেন্ট।