a
সংগৃহীত ছবি
আফগান সরকার তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে। দেশে সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে আফগান সরকারের একটি শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার থেকে জানা যায়, তালেবান গোষ্ঠী গজনী শহর দখল করার পর ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার। এই নিয়ে তালেবানের হাতে এ পর্যন্ত ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন ঘটেছে।
আফগান সরকারের ওই সূত্র জানিয়েছেন, কাতারের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তালেবানের কাছে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিস রয়েছে।
আল-জাজিরা টেলিভিশনের পাশাপাশি আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমও ক্ষমতা ভাগাভাগির খবর দিয়েছে তবে আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়নি বরং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে- কাতারের রাজধানী দোহায় যেহেতু শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে কারণে কাবুল তার অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটায়নি।
আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন-এর চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী দেশগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
ইউক্রেন ইস্যুতে যেসব পদক্ষেপের কারণে উত্তেজনা বেড়েই চলছে তা থেকে বিরত থাকতে আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বেইজিং জোর দিয়ে বলেছে, ইউরোপে নিরাপত্তার বিষয়ে মস্কো যে উদ্বেগ প্রকাশ করছে তাকেও আন্তরিকভাবে বিবেচনা আনতে হবে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে টেলিফোন আলাপকালে এসব কথা বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এসময় দুই মন্ত্রী ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর মধ্যে বেড়ে চলার উত্তেজনা নিয়ে কথা বলেন।
আলোচনাকালে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব পক্ষকেই স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার মানসিকতা সম্পূর্ণভাবে পরিহার করতে হবে এবং ভারসাম্যপূর্ণ, কার্যকর ও টেকসই ইউরোপীয় নিরাপত্তা কৌশল বের করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার যৌক্তিক নিরাপত্তা উদ্বেগকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। ওয়াং ই বলেন, পূর্বমুখী ন্যাটো জোটের বিস্তারের বিষয়ে মস্কোর উদ্বেগ বিবেচনায় নেয়া ছাড়া সামরিক জোট গঠন কিংবা তা শক্তিশালী করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব না।
ফাইল ছবি। শেখ আব্দুল কাদির কাজল
আমি একজন অতি ক্ষুদ্র মানুষ এবং জন্মগতভাবে বাংলাদেশী। ১৯৮৬ সাল থেকে মহান ও মহৎ ব্যক্তিদের সাথেই আমার পথ চলা। তৎকালীন সাপ্তাহিক দৃষ্টিকোণ পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক নোমান চৌধুরীর সান্নিধ্যে আমার প্রথম পরিচয়। জনাব চৌধুরী আমাকে অতি স্নেহ করে মহান পেশায় সাংবাদিকতা শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। কতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছি, তা আমি জানিনা। তবে বর্তমানে যে সম্পাদক সাহেবের অধীনে থেকে মাঝে মধ্যে দু'একটি লেখা পাঠাই। সম্পাদক মহোদয়ের স্নেহ ভালোবাসায় প্রমাণ করে- আমি একজন ভাল সাংবাদিক হতে না পারলেও সংবাদপত্রের একজন নিবেদিত সেবক হিসেবে কাজ করছি।
আমার সম্পাদক একজন মহান ব্যক্তিত্ব, উচ্চ শিক্ষিত এবং সৎ মানুষ। এসমস্ত মানুষের সান্নিধ্যে আসলে মনটাই ভরে যায়। ফোনে এলাকার বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে কথা বললে তাৎক্ষনিকভাবে তিনি সুন্দরভাবে সমাধানের ক্ষেত্র বের করে দেন। আমি যেখানে নিরাশ হয়ে যাই, সেখানে তিনি আশার আলো জ্বালিয়ে আশাবাদী করে তুলেন। তাই বাস্তব এই সত্যটুকু তুলে ধরে মনটাকে হালকা করার চেষ্টা করলাম মাত্র। সমাজে আজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুরাচার, পাপাচারে নিমজ্জিত। মাঝে মধ্যে এসব দেখে যখন হাঁপিয়ে উঠি, তখন এসব গুণী ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে আবারও নতুন উদ্যমে কাজ করার আশা সঞ্চার হয়।
সাংবাদিক সমাজের দায়িত্ব কি? কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলা এবং সত্য সঠিক তথ্য সংগ্রহপূর্ব্বক তা যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করা। একটা পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তা পকেটে রেখে সমাজে বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের কার্ড তুলে ধরলেই তাকে সাংবাদিক বলা যায়না।
১৯৮৬ থেকে দেখে আসছি মহান সাংবাদিকদের কলমের খোঁচায় বহু ঘোষখোর ঘোষের টাকা ফেরত দিতে, বহু সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারী দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে, সন্ত্রাসীরাও যতটুকু ভয় পেত কলম সৈনিক সাংবাদিককে দেখলে, সত্যিকার অর্থে ততটুকু ভয় পুলিশকেও পেতনা।
আস্তে আস্তে এই পেশায় কেটে গেলো ৩৪ বছর। এই দীর্ঘ পথচলায় অনেক ভাল সাংবাদিকদের সান্নিধ্য পেয়েছি। তারা সর্বদায় দেশ ও জাতির কল্ল্যাণে নানান চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সততা ও কর্মের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিক পরিচয় দিতে নিজেকে সাচ্ছন্দবোধ করি।
তবে, বর্তমানে মফস্বল এলাকায় বিভিন্ন কথিত মিডিয়ার প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করি। নাম সর্বস্ব পত্রিকার কার্ড বানিয়ে, কার্ড দেখিয়ে সাংবাদিক পরিচয় প্রকাশ করে থাকেন কিন্তু জনৈক সাংবাদিকের আসল কাজটা কি তা নিজেই জানেন না।
এটাতো বললাম সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের একাল-সেকালের কথা। পাশাপাশি রাজনৈতিক পেক্ষাপট তো আরও খারাপ অবস্থা। ছাত্রাবস্থায় কি দেখলাম, আর এখন কি দেখছি। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখেনা। কম বয়সের ছেলে-মেয়েরা হয়তোবা মনে করবে এদেশের রাজনৈতিক ধারা পূর্ব থেকেই এরকমই। আসলে কি তাই?
পাড়া-মহল্লা, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্রয় লুটেরা ও সন্ত্রাসীদের জয়-জয়কার। অসভ্য, অসত্য ব্যক্তিবর্গ আজ সমাজটাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। এসমাজে ন্যায়-পরায়ণ, সভ্য-সুন্দর ব্যক্তিদের কদর নেই বললেই চলে। তাই সমাজের এই বাতাবরনে অনেকে নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করেন।
আজ আমি চিন্তা করি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মদের নিয়ে। এতো রক্ত দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করে তার পরিণাম যদি এই হয়, এর চেয়ে দুর্ভাগা আর কি হতে পারে! বঙ্গবন্ধু দেশটাকে স্বাধীন করে এদেশের মানুষগুলোকেও স্বাধীনতা দিয়ে আসা করেছিলেন তারা উচ্চ মর্যদায় আসীন হয়ে সারা বিশ্বে একটা মডেল হিসেবে দেশের মান উজ্জ্বল করবেন। আমরা কি সে আশা পূরণ করতে পেরেছি? এরপরও আশাবাদী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে যে যার অবস্থান থেকে যদি কাজ করি, তাহলে সমাজে অবশ্যই ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, ঠকবাজ ও বিশৃংখলাকারীরা উৎখাত হবেই হবে।