a
সংগৃহীত ছবি
আফগান সরকার তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে। দেশে সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে আফগান সরকারের একটি শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার থেকে জানা যায়, তালেবান গোষ্ঠী গজনী শহর দখল করার পর ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার। এই নিয়ে তালেবানের হাতে এ পর্যন্ত ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন ঘটেছে।
আফগান সরকারের ওই সূত্র জানিয়েছেন, কাতারের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তালেবানের কাছে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিস রয়েছে।
আল-জাজিরা টেলিভিশনের পাশাপাশি আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমও ক্ষমতা ভাগাভাগির খবর দিয়েছে তবে আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়নি বরং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে- কাতারের রাজধানী দোহায় যেহেতু শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে কারণে কাবুল তার অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটায়নি।
আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন-এর চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী দেশগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
রাশিয়া জার্মানিতে গ্যাস সরবারার বন্ধ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জার্মানি। সরকারের একজন প্রতিনিধি জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাশিয়া জার্মানিতে নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনের গ্যাস সরবাহ বন্ধ করে দিতে পারে।
জার্মানির ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সির প্রধান ক্লাউস ম্যুলার দেশটির ফুংকে মিডিয়া গ্রুপের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এমন হতে পারে যে, রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন দিয়ে গ্যাসের সরবাহ বন্ধ করে দিতে পারে। তার সন্দেহ, গ্যাস লাইনটিকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যে ১১ দিন সময় প্রয়োজন তা দীর্ঘায়িত করতে পারে রাশিয়া। আর তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়া যদি গ্যাস সরবারাহ কমিয়ে দেয় তাহলে আমাদেরকে বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে এবং গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।'' উল্লেখ্য, ইউক্রেনে হামলান পর ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বেশ কযেকটি দেশে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জবাবেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া।
ম্যুলার ইতোমধ্যেই গ্যাস ব্যবহারের বিষয়ে জার্মানির বাসিন্দাদের মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাসা-বাড়ির বাসিন্দাদের সম্ভাব্য এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে শীতকাল শুরুর ১২ সপ্তাহ আগে থেকেই অর্থাৎ এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
তার মতে, গ্যাস বয়লার এবং হিটারগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী কি না তা জরুরিভিত্তিতে যাচাই করা প্রয়োজন। এর ফলে গ্যাসের ব্যবহার ১০ থেকে ১৫ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, রাশিয়া সরবরাহ বন্ধ করে দিলে শুধু জার্মানিতে গ্যাসের উপরই চাপ পড়বে। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি তেলের সংকট হবে না।
তাছাড়া এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে জার্মানিতে কোনো গ্যাস থাকবে না বিষয়টি এমন নয়। এ সময় তিনি নেদারল্যান্ডস এবং নরওয়েকে জার্মানির গ্যাসের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে মন্তব্য করেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে/বিডি প্রতিদিন।
ফাইল ছবি
পীরগঞ্জ উপজেলার মাটি ধান, গম, আলু, বেগুনের পাশাপাশি লেবুজাতীয় ফসল চাষের উপযোগী হওয়ায় মাল্টা ও কমলা চাষে ক্রমেই ঝুঁকছেন কৃষক। এসব ফসল চাষে কৃষকরা গতানুগতিক ফসলের চেয়ে বেশি দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ৫০ একর জমিতে কমলা ও মাল্টা চাষ হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ভেলাতৈড় মহল্লার কৃষক রিপু রানী রায় দুই একর জমিতে ১ হাজার ৫০টি বারি-১ মাল্টা ও চায়না কমলা গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিটি গাছ ১৪০ টাকা দরে বগুড়া থেকে চারা সংগ্রহ, পরিবহন, বেড়া, জমি প্রস্তুত ও পরিচর্যায় এযাবৎ তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। এরই মধ্যে গাছে প্রথম ফলন এসেছে। তার প্রত্যাশা প্রথম ফলনেই তিনি দেড় শত মণ মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন।
প্রতি মণ মাল্টা ৩ হাজার টাকা দরে দেড় শত মণ মাল্টা বিক্রি করে এবারই সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং কমলা বিক্রি করে আরও ১০ হাজার টাকা আয় করবেন বলে এবং আসল টাকা উঠে লাভ করতে পারবেন বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আশা করেন।
বৃদ্ধিগাঁও গ্রামের মাল্টাচাষি ওয়াজেদ ইসলাম জানান, দুই বছর আগে ৯ বিঘা জমিতে তিনি ১ হাজার ৮২৫টি গাছের মাল্টা বাগান করেছেন। এ বছর তিনি আশা করছেন, বাগান থেকে ১ হাজার মণ মাল্টা পাবেন। দর কম হলেও ৩ হাজার টাকা মণ দরে ১ হাজার মণ মাল্টার দাম ৩০ লাখ টাকা হবে। এ বাগান তৈরিতে তার খরচ হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। গত বছরও তিনি ১০ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন।
এছাড়া, উপজেলার করনাই গ্রামের তৈমুর রহমান এক একর জমিতে কমলা, ভেলাতৈড় গ্রামের মাসুদ রানা মেনন এক একরে মাল্টা, চন্দরিয়া গ্রামের জবাইদুর রহমান সাড়ে চার একরে মাল্টা, পটুয়াপাড়া গ্রামের নবাব দেড় একরে মাল্টা, রনশিয়া গ্রামের আজাহারুল পৌনে এক একরে মাল্টা, বীরহলী গ্রামের আবু জাহিদ ইবনুল ইকরাম জুয়েল দুই একরে মাল্টা ও কমলাসহ উপজেলায় প্রায় ৫০ একর জমিতে বর্তমানে কমলা ও মাল্টা চাষ হচ্ছে।
পীরগঞ্জের কৃষি কর্মকর্তা রাজেন্দ্র নাথ রায় বলেন, অনুকূল আবহাওয়া ও এলাকার মাটি মাল্টা ও কমলা চাষে উপযোগী। উপজেলায় ১৮ একর জমিতে প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। কৃষকরা নিজ উদ্যোগে আরও ৫০ একর জমিতে এসব ফলের চাষ করছেন। সূত্র: ইত্তেফাক