a
সংগৃহীত ছবি
আফগান সরকার তালেবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে। দেশে সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে আফগান সরকারের একটি শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার থেকে জানা যায়, তালেবান গোষ্ঠী গজনী শহর দখল করার পর ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার। এই নিয়ে তালেবানের হাতে এ পর্যন্ত ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন ঘটেছে।
আফগান সরকারের ওই সূত্র জানিয়েছেন, কাতারের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তালেবানের কাছে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিস রয়েছে।
আল-জাজিরা টেলিভিশনের পাশাপাশি আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমও ক্ষমতা ভাগাভাগির খবর দিয়েছে তবে আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়নি বরং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে- কাতারের রাজধানী দোহায় যেহেতু শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে কারণে কাবুল তার অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটায়নি।
আফগানিস্তানের হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন-এর চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী দেশগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের অধিকাংশ নগরী, সামরিক স্থাপনা ধ্বংস ও দখলে নিয়েছে রুশ সৈন্যরা। এতে করে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় সামরিক-বেসামরিক হতাহত হয়েছে অনেক।
রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। তারা দাবি করছে, বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়াতে এই অভিযান। মি. পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে এই প্রথমবারের মতো রাশিয়া শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এটি গত শুক্রবার পশ্চিম ইউক্রেনের বড় ধরনের ভূগর্ভস্থ অস্ত্রের গুদাম বরাবর আঘাত হানে এবং আঘাতে পুরো গুদামটি ধ্বংস হয়ে যায়।
এরপর গত রবিবার রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপলে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম স্টিল প্ল্যান্ট আজোভস্তল ‘ধ্বংস’ হয়ে গেছে বলে সেখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের সংসদ সদস্য লেসিয়া ভ্যাসিলেঙ্কো টুইটারে লিখেছেন, ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টিল প্ল্যান্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে ইউক্রেনের অর্থনীতির বিশাল ক্ষতি বয়ে আনবে।
অপরদিকে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে তাদের পাল্টা হামলায় গত তিন সপ্তাহে ১৪ হাজার ৪০০ রাশিয়ান সেনা নিহত হয়েছে। জেনারেলসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাও এর মধ্যে রয়েছেন। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি আলোচনা-বৈঠকের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, ‘এখনই সময় আলোচনার’। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, ইন্টারফ্যাক্স, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান।
জেলেনস্কি মাঝে মাঝে পরাশক্তি রাষ্ট্রপ্রধানের ন্যায় হুঙ্কার ছাড়ছেন এবং পশ্চিমা বড় বড় শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যা বলেন না, তিনি তাই বলে যাচ্ছেন এবং মাঝে মধ্যে মানবিক মায়া কান্নাও কেটে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে তিনি বলছেন, আলোচনার এটাই সময় : ‘অবিলম্বে’ মস্কোর সঙ্গে অর্থবহ শান্তি ও নিরাপত্তা আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গত ১৯ মার্চ, শনিবার জেলেনস্কি বলেন, আগ্রাসন চালিয়ে রাশিয়ার করা ‘ভুলের’ ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখার এটাই একমাত্র সুযোগ। প্রতিদিনের মতো দেওয়া রাত্রিকালীন ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘নিজেদের ভুলের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য রাশিয়ার কাছে এটাই একমাত্র সুযোগ, এটাই সাক্ষাতের সময়, আলোচনার সময়, এটাই ইউক্রেনের ন্যায়বিচার ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনর্বহালের সময়।’ মস্কোকে সতর্ক করে জেলেনস্কি আারও বলেন, ‘অন্যথায় রাশিয়ার এমন ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা কাটিয়ে উঠতে আপনাদের কয়েক প্রজন্মের প্রয়োজন পড়বে।’
রুশ নাগরিকদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, ‘কেবল কল্পনা করুন মস্কোর স্টেডিয়ামে পড়ে আছে ১৪ হাজার মৃতদেহ এবং হাজার হাজার আহত ও অঙ্গহানির শিকার হওয়া মানুষ। এই আগ্রাসনে ইতোমধ্যে রাশিয়ার বহু হতাহত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটাই যুদ্ধের মূল্য। তিন সপ্তাহের সামান্য কিছু বেশি সময়ে। এই যুদ্ধ অবশ্যই থামাতে হবে।’
উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর ইউরোপ, আমেরিকা ও ন্যাটোসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইউক্রেন সামরিক সাহায্যের আবেদন করলেও কোন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণে সাহস দেখায়নি। ন্যাটো, ইউরোপ, আমেরিকাসহ প্রতিটি দেশ তাদের সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে না পাঠিয়ে, নিরাপদ অবস্থান থেকে কৌশলে তারা ইউক্রেনকে মারণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যু্দ্ধ করতে প্রকারন্তরে ইউক্রেনকে উৎসাহ দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে।
আবার আমেরিকাসহ কিছু দেশের অস্ত্র যখন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে ভাল প্রতিরোধ গড়ছে, তখন সেসব দেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীরা রাতে রাতে ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোতে ধুঁয়া তুলছে প্রতিটি দেশকে নিরাপদ রাখতে আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম মজুদ করার এখনই উপযুক্ত সময়! তাই বিশ্বের নজর যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দানে, এই সুযোগে অস্ত্র রফতানীকারক দেশগুলো ভিতরে ভিতরে অস্ত্র ব্যবসায়ে তৎপর।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৈন্য, যুদ্ধ-বিমান, নো-ফ্লাই জোনসহ নানাবিধ সাহায্য চেয়ে বার বার বিফল হয়েছে। ইউরোপসহ, আমেকিার রাষ্ট্র প্রধানরা জানিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে সৈন্য বা সামরিক বিমান পাঠালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে নিজেদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করেছে। ফ্রান্স, জার্মান, ইসরায়েল, ভারতসহ অনেক দেশ আমেরিকার কূটনৈতিক চাল থেকে নিজেদের কৌশলগত স্বতন্ত্র অবস্থানে রাখার চেষ্টা করে আসছে এবং তারা পরোপক্ষভাবে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে নিজেদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চিহ্নিত করছেন।
এদিকে ইউক্রেন সংকটের ঘটনাপ্রবাহ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করছে পশ্চিমাঘেষা সোস্যাল মিডিয়া।এক্ষেত্রে ইউক্রেন সংকটের শুরু থেকেই আলোচিত সোস্যাল মিডিয়ার ভূমিকা। বিশ্বে এর আগে কখনও কোনো যুদ্ধ কিংবা লড়াইয়ের ঘটনাপ্রবাহ সামাজিক মাধ্যমে এভাবে সরাসরি ও তাৎক্ষণিকভাবে নাক গলায়নি বা বাগাড়ম্বর সংবাদ পরিবেশন করেনি। বর্তমানে যুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহও যেন ঠিক করে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমগুলো।
পাশাপাশি যুদ্ধের ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের নীতি নির্ধারকদের প্রতি করণীয় ঠিক করার ব্যাপারে চাপ তৈরি হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম থেকেই। সিরিয়া যুদ্ধে এই প্রবণতা দেখা গেলেও, ইউক্রেন সংকটে তা যেন ব্যাপকহারে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ায় তৈরি হওয়া এ জনমতের চাপ তার কতটুকু আসল আর কতটুকু কৃত্রিম, সে প্রশ্নও উঠছে। বর্তমানে রাশিয়ার আক্রমণে যখন ইউক্রেনের বড় বড় শহর ও স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তখন অপরপক্ষগুলো শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ না নিয়ে প্রকারন্তরে ইউক্রেনে সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছেন। এবিষয়ে রুশ পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান যথার্থই বলেছেন ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে শান্তির কথা না বলে ইউক্রেনে সমরাস্ত্র পাঠিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।
তিনি আরও বলেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনে সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে যাচ্ছে। এসব দেশের সরকারগুলোর সম্মতিতে ইউক্রেনের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ভাড়াটে সেনাদের আমদানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের জয়ের সামান্য বিষয়গুলো বড় করে প্রচার করার চেষ্টা করছেন। যেমন গত ২০ মার্চ প্রচার করা হয় ইউক্রেনের আকাশে বাধাহীন এবং মন্থরভাবে দেশটির যুদ্ধবিমান উড়ছে। দেশটিতে অবস্থানকারী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের রিপোর্টিং টিম এমন দৃশ্য দেখেছেন।
ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা তাদের দৈনন্দিন আপডেটে দাবি করে আসছে এবং বলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনের আকাশসীমায় রাশিয়া ‘প্রবল আধিপত্য’ বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি। এসব খবর রাশিয়াকে আরো বেশি ক্ষেপিয়ে তুলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। সিএনএনের টিম দাবি করছে, তাদের দেখা দৃশের সঙ্গে পশ্চিমা গোয়েন্দা তথ্যের মিল রয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, সিএনএনের একটি টিম শনিবার ইউক্রেন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন কয়েকটি এলাকায় ভ্রমণ করেছেন। এই এলাকায় কয়েকশ কিলোমিটারের মধ্যে আকাশের নিম্নসীমায় তারা ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান উড়তে দেখেছেন। এসব খবরে পরাশক্তি রাশিয়া তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহারের কৌশল অবলম্বন করাটাই স্বাভাবিক। এতে ইউক্রেনের কিছু কৌশলগত সামরিক-বেসামরিক জায়গা নিরাপদ থাকলেও এসব খবরের পর তা প্রধান টার্গেটে পরিণত হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রাশিয়া এর আগে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি, কিন্তু ইউক্রেন এধরণের অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগের পর রাশিয়া তার দ্বিগুণ গতিসম্পন্ন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেণের শহর-জনপথ ধ্বংস করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেন পূনর্গঠনে কয়েক বিলিয়ন সাহায্যের প্রয়োজন হবে। করোনারোত্তর সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা, তখন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা সারা বিশ্বের জন্যই হুমকিস্বরূপ।
এদিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকিও দিয়ে বসলেন জেলেনস্কি, তিনি বলেন, পুতিনের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হলে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ হবে।
জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তিনি একইসঙ্গে সতর্ক করেছেন, যদি আলোচনার চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তাহলে দুই দেশের মধ্যে লড়াই ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ দিকে নিয়ে যাবে।'
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রবিবার সকালে সিএনএন-এর ফরিদ জাকারিয়ার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
আবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, আমেরিকা পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এখন ইউক্রেনকে এস-৪০০ দিতে তুরস্ককে প্রস্তাব করেছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সহযোগিতার জন্য ইউক্রেনকে রাশিয়ার তৈরি সেই আলোচিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ দেওয়ার জন্য তুরস্কের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও প্রথম থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য তুরস্কের প্রতি নাখোশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে এখন সেই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাই ইউক্রেনকে দিতে অনুরোধ করছেন মার্কিন নেতারা।
অপরপক্ষে, রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার চেয়ারম্যান ভ্যাজিস্লাভ ভোলোদিন তার ব্যক্তিগত টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বলেছেন, শান্তি চাইলে ইউক্রেনে মানবিক ত্রাণ না পাঠিয়ে অস্ত্র পাঠাচ্ছেন কেন?
ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে ইউক্রেনে সমরাস্ত্র পাঠিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেওয়ার পর রুশ পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান এ কথা বলেছেন।
ইউক্রেনে সমরাস্ত্র ও ভাড়াটে সেনা পাঠানোর ব্যাপারে আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্রদের হুশিয়ার করে দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি ইউক্রেন সংকট নিরসনে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে বিলম্ব করার জন্যও পাশ্চিমাদের দায়ী করেছে। খবর রুশ বার্তা সংস্থা তাসের।
তিনি বলেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনে সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে যাচ্ছে। এসব দেশের সরকারগুলোর সম্মতিতে ইউক্রেনের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ভাড়াটে সেনাদের আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার সহকর্মীরা শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানোর আগে তাদের নিজেদের আগে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।
তাই শান্তিকামী বিশ্ববাসী মানুষের আশা, বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য পরিহার করে সত্যিকার শান্তি স্থাপনে সকল পক্ষ মনোযোগী হওয়া। যা তুরস্ক, ফ্রান্স ও জার্মানসহ কিছু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়করা মাঝে মধ্যে উদ্যোগী হচ্ছেন। এসব উদ্যোগী রাষ্ট্র নায়করা সত্যিকার অর্থে শান্তি স্থাপনে উদ্যোগ নিতে পারলে বিশ্ববাসী হয়তোবা কথিত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে রেহাই পাবে।
মোহা. খোরশেদ আলম, সম্পাদক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
তানজিয়া জামান মিথিলার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন বলিউড অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং
মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’ প্রতিযোগিতায় সেরা হলেন তানজিয়া জামান মিথিলা। ফলে আগামী ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্রে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২০’ প্রতিযোগিতার ৬৯তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।
শনিবার (৩ এপ্রিল) রাতে রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের বলরুমে মিথিলাকে মুকুট পরিয়ে দেন বলিউড অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং। বিশেষ বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৪৩ বছর বয়সী এই তারকা। এজন্য আজ বিকেলে মুম্বাই থেকে ঢাকায় পা রাখেন তিনি।
প্রথম রানারআপ ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন ফারজানা আকতার এ্যানি।
আরও পড়ুন: এবার রণবীর কাপুর এর প্রেমিকা আলিয়া ভাটের করোনা আক্রান্ত
শুধু সেরার স্বীকৃতিই নয়, বিশেষ যোগ্যতা অনুযায়ী দেওয়া পাঁচটি স্বীকৃতির মধ্যে মিস বডি বিউটিফুল নির্বাচিত হন তানজিয়া জামান মিথিলা। প্রথম রানারআপ ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা মিস মিনজেনিয়ালিটি স্বীকৃতি পেয়েছেন। এছাড়া মিস শাইনিং স্টার আপোনা চাকমা, মিস ফটোজেনিক নিদ্রা দে এবং মিস ট্যালেন্টেড হিসেবে নির্বাচিত হন তৌহিদা তাসনিম তিফা।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারকের আসনে ছিলেন সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান রহমান খান, মডেল-অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, প্রাসাদ বিদাপা (ভারত), মেহরুজ মুনির, আইরিন সমার তিলগার, গৌতম সাহা, রিয়াজ ইসলাম, সারা সুলেমান।
‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০’-এর প্রধান রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘তানজিয়া জামান মিথিলাকে নিয়ে আমরা আশাবাদী। আমাদের প্রধান লক্ষ্য এখন মিস ইউনিভার্স-এর মূল মঞ্চ।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই মুক্তি পেয়েছে
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম এবং আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব উপস্থাপনা করেন কাজী সাবির।
প্রতিযোগিতার এবারের মূল স্লোগান ছিল ‘আমার আত্মবিশ্বাস, আমার সৌন্দর্য’। দেশ ও দেশের বাইরের বাংলাদেশি মিলিয়ে ৯ হাজার ২৫৬ জনেরও বেশি তরুণী এতে অংশগ্রহণ করেন। গত জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পরে অডিশনের জন্য ডাক পান ৫০০ জন প্রতিযোগী।
অডিশন পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মিস কালচার ওয়ার্ল্ডওয়াইড ২০১৮ প্রিয়তা ইফতেখার, ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরুখ আমিন, আইস টুডের ফ্যাশন এডিটর গৌতম সাহা এবং মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯-এর প্রথম রানারআপ আলিশা ইসলাম।
আরও পড়ুন: জয়া পশ্চিমবঙ্গে মনোনয়ন পেলেন
অডিশন পর্বে প্রতিযোগীদের সৌন্দর্য, শিক্ষা, প্রতিভা, বুদ্ধিমত্তাসহ আরও বিভিন্ন যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ ৫০ জন বাছাই করা হয়। সেখান থেকে সেরা ২০ সুন্দরীকে নিয়ে চলে গ্রুমিং সেশন। সেখান থেকে সেরা ১০ জন নির্বাচন করা হয়।
ইত্তেফাক থেকে সংগৃহীত