a
ফাইল ছবি: জো বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একটি এন্টিভাইরাল থেরাপি দেয়ার তিনদিন পর পরীক্ষায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে।
হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক কেবিন ও'কনোর গতকাল (শনিবার) সকালে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট বাইডেন করোনায় আক্রান্ত হলেও তার মধ্যে বিশেষ কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে তার নতুন করে করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তিনি এক পোস্টে বলেছেন, বন্ধুরা আজ আবার পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ হলাম। খুব সামান্য লোকজনেরই এটি হয়। আমার মধ্যে কোনো বিশেষ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না কিন্তু আমি নিজেই আমার আশপাশের লোকজনের নিরাপত্তার জন্য আইসোলেশনে যাচ্ছি। আমি এখনো কাজ করছি এবং খুব শিগগিরই আবার এ ধারায় ফিরে আসবো।
এর আগে বাইডেন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরলেও তিনি লোক সমাবেশে মাস্ক পরেননি যা আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি নির্দেশনার লঙ্ঘন। সিডিসির নির্দেশনা হচ্ছে- কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দশ দিন পর্যন্ত মাস্ক ব্যবহার করবেন।
সিডিসির দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এখন বাইডেনকে সম্ভবত পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। তিনি সম্প্রতি ফাইজারের তৈরি এন্টিভাইরাস থেরাপি প্যাক্সলোভিড নিয়েছিলেন। এই থেরাপির পর কারো কারো মধ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে থাকে।
মৃত্যুর ৯ বছর পর খোঁজ পাওয়া গেল তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের কবর। তার মৃত্যু এবং কোথায় কবরস্থ করা হয়েছে তা এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল।
১৯৯৬-২০০০ মেয়াদে আফগানিস্তানের সরকার গঠন করে তালেবান। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন মোল্লা ওমর। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত হন মোল্লা ওমর। আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে তালাবানকে উৎখাত করা হয়।
এ ঘটনার পর মোল্লা ওমরের অবস্থান নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছিল না। ২০১৫ সালে তালেবান স্বীকার করে দুই বছর আগে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কোথায় তার কবর সে সম্পর্কে মুখ খোলেনি তখন।
তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করে বলেন, মোল্লা ওমরের কবর জাবুল প্রদেশের সুরি জেলার ওমরজোর গ্রামে। শত্রুরা যাতে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য বিষয়টি গোপন ছিল।
মুজাহিদ বলেন, শুধু পরিবারের সদস্যরা মোল্লা ওমরের কবরের ব্যাপারে জানতেন। এখন আমরা সমাধিস্থলটি উন্মুক্ত করেছি, কারণ এখন আর শত্রুর ভয় নেই।
মোল্লা ওমার ৫৫ বছর বয়সে মারা যান। সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান দখলের পর ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় নিজে তালেবান সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মোল্লা ওমর। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই ইফতারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. মান্টিটাস্কি, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি, ভারতের উপ-হাইকমিশার বিনয় জর্জ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা অংশ নেন।
ইফতারের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানান।
স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ লড়াই করছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছে বিএনপি। এই আন্দোলন করতে গিয়ে দলের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন, গুম হয়েছেন। সম্প্রতি ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। আমাদের দলের চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’
ইফতারে বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে অংশ নেন, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।
ইফতারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে অংশ নেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আলম নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, ডা.এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, এএসএম আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, গোলাম আকবর খন্দকার, এনামুল হক চৌধুরী, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কুমার সরকার, আবদুল কাইয়ুম, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, শামা ওবায়েদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ইশরাক হোসেন, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, মীর হেলাল, মোশাররফ হোসেনসহ অনেকে। সূত্র: ইত্তেফাক