a
ফাইল ছবি
আমেরিকা ২০ বছর ধরে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়ে আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির একজন কর্মকর্তা।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সারওয়ার দানিশের প্রেস সচিব মোহাম্মদ হেদায়েত শনিবার কাবুলে এক বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন। খবর তাসনিম নিউজের।
আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকা যেসব স্লোগান দিয়ে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করেছিল তার একটিও বাস্তবায়িত করেনি।
মোহাম্মদ হেদায়েত বলেন, আমেরিকা ২০ বছর পর যা রেখে গেছে তা নিশ্চিতভাবে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নয়; বরং এখন আফগানিস্তানে যুদ্ধ ও সহিংসতা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
২০০১ সালের শেষের দিকে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে তৎকালীন তালেবান সরকারের পতন ঘটায় এবং দেশটিতে একরকম বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।
আমেরিকা ঘোষণা করে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করেছে। কিন্তু ২০ বছরে এসব লক্ষ্যের একটিও অর্জন করতে পারেনি আমেরিকা।
মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সকল সৈন্য সরিয়ে নেবে।
ফাইল ছবি
আরব সাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌযানের নয় ভারতীয় নাবিকের জীবন বাঁচালো পাকিস্তানের নৌবাহিনী।
পাকিস্তান নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌযানটির নাম ‘জামনা সাগর’। তাতে মোট ১০ জন কর্মী ছিলেন। এটি থেকে তারা ‘ডিসট্রেস’ কল দেন। সেই কল শোনার পর পাকিস্তান মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার পাশে থাকা একটি জাহাজকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে বলে। তারাই ডুবে যাওয়া ওই নৌযানের নয়জন ভারতীয় কর্মীকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। তবে পাকিস্তান নৌবাহিনী বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের ওই জাহাজটি দুবাই যাচ্ছিল। তারা ভারতীয় কর্মীদের উদ্ধার করে আবার দুবাই যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে তারা ভারতীয় কর্মীদের নামিয়ে দিয়ে যাবে।
এরপর পাকিস্তানের নৌবাহিনীর জাহাজ ও দু’টি হেলিকপ্টার সেখানে গিয়ে পৌঁছায়। কারণ, তখনও একজন কর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা সেই কর্মীর মৃতদেহ সমুদ্রে ভাসতে দেখে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে মরদেহটি পাকিস্তান মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সিকে দিয়েছে। সূত্র: ডেইলি টাইমস, বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
গ্রাহকদের টাকা ফেরত ও ই-অরেঞ্জের নামে প্রতারণার মূলহোতা সোহেলকে দেশে আনার দাবিতে সড়ক অবরোধ করায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে করেছে। এতে কয়েকজন গ্রাহক আহত হয়েছেন এবং সেখান থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্ট থেকে মৎস্য ভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস। এমনিতেই যানবাহনের চাপ বেশি থাকে, তারপর গ্রাহকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে রাস্তা পরিস্কার করে দেই।
আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২/৩ জনকে থানায় নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গ্রাহকরা সড়ক অবরোধ করার পাশাপাশি তারা পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ও ক্রিকেটার মাশরাফির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-কমার্সের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন ই-অরেঞ্জ গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে। আমাদের ১০ জন এতে আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে।