a আর্জেন্টিনা পাকিস্তানের জঙ্গিবিমান ক্রয় করতে যাচ্ছে
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩২, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আর্জেন্টিনা পাকিস্তানের জঙ্গিবিমান ক্রয় করতে যাচ্ছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৯:৫৮
আর্জেন্টিনা পাকিস্তানের জঙ্গিবিমান ক্রয় করতে যাচ্ছে

ফাইল ছবি

পাকিস্তান এখন আর যুদ্ধবিমান ক্রয় করছে না; বরং বিক্রির দিকেই ঝুঁকছে।  ইসলামাবাদ থেকে ১২টি জেএফ-১৭ থান্ডার জঙ্গিবিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে আর্জেন্টিনা।

পাকিস্তানের কাছ থেকে এসব জঙ্গিবিমান কেনার জন্য আর্জেন্টিনা ২০২২ সালের খসড়া বাজেটে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। খবর দ্য ডনের।

জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান চীন ও পাকিস্তানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি এক ইঞ্জিনের মাল্টি রোল যুদ্ধবিমান।

ইতিমধ্যে এ বাজেট দেশটির জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি, তবে দেশটি পাকিস্তান থেকে জঙ্গিবিমান কিনতে চায়— সেটি পরিষ্কার।

গত কয়েক বছর ধরে আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে জঙ্গিবিমান কেনার চেষ্টা করে আসছিল, কিন্তু অর্থের ঘাটতি এবং ব্রিটেনের আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।

সর্বশেষ গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে জঙ্গিবিমান কেনার প্রচেষ্টাও আটকে দিয়েছিল ব্রিটেন। আর্জেন্টিনার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিটিশ এ পদক্ষেপকে ‘সাম্রাজ্যবাদী অহংকার’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বিজেপি ‘মন্ত্রী’কে চড় মারতে কার্পণ্য করেননি সোনিয়া নামে নারী আইপিএস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১, ১১:২৮
বিজেপি ‘মন্ত্রী’কে চড় মারতে কার্পণ্য করেননি সোনিয়া নামে নারী আইপিএস

ফাইল ছবি

তখন ২০০৬ সাল। এক নারী আইপিএস কর্মকর্তা হঠাৎ করেই ভারতজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। বিজেপির এক বিধায়ককে প্রকাশ্যে চড় মারতে কার্পণ্য করেননি।

বিজেপির সেই চড় খাওয়া বিধায়ক বর্তমানে কর্নাটকের মন্ত্রী। নাম রেণুকাচার্য। ঘটনার দিন তিনি কংগ্রেস বিরোধী একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। পুলিশ বারবার অনুরোধ করলেও রাস্তা ছাড়তে রাজি হননি তিনি।

বিধায়ক কথা না শুনার কারনে তাকে চড় মারেন নারী এই পুলিশ কর্মকর্তা। গ্রেফতারও করেন তাকে। অভিযোগ রয়েছে, ওই নারীকে গালিগালাজ করেছিলেন বিধায়ক।

ওই একটি ঘটনাই গোটা ভারতে পরিচিতি এনে দেয় নারী আইপিএসকে। তার নাম সোনিয়া নারং। যদিও পুলিশ মহল তাকে চেনে ‘আয়রন লেডি’ নামে।

হাসিমুখের আড়ালে সোনিয়ার দৃঢ়চিত্ততা বিস্ময়ের কারণ। পুলিশ মহলে তাকে নিয়ে চালু রয়েছে নানা কাহিনিও।

চণ্ডীগড়ের মেয়ে তিনি। সোনিয়ার আদর্শ তার বাবা এ এন নারং। পুলিশের ডেপুটি সুপার হিসেবে অবসর নেন তিনি। সোনিয়া জানিয়েছেন, বাবাকে দেখেই আইপিএস হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল তার। তাকেই তিনি নিজের আদর্শ মনে করেন।

সমাজের চোখে পুলিশ কর্মকর্তার সম্মান এবং তার সমাজ বদলানোর ক্ষমতা আকৃষ্ট করেছিল সোনিয়াকে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই ইউপিএসসির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন তিনি।

পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী সোনায়িা। উচ্চ মাধ্যমিকে শীর্ষ স্থান পেয়েছিলেন। পরে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে পড়ে স্বর্ণ পদক পেয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

২০০৬ সালের ঘটনাটি যখন ঘটে সোনিয়া তখন কর্নাটকের দেবাঙ্গেরের পুলিশ সুপার। দু’বছর হলো যোগ দিয়েছেন পুলিশ সার্ভিসে। বয়স সবে ২৭ বছর।

তবে কম বয়স বা অভিজ্ঞতা সঠিক পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত করেনি সোনিয়াকে। বিধায়ককে চড় মারার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের একাংশ তার বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছিল। স্বয়ং বিধায়ক রেণুকাচার্য তার বদলির জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হননি।

সোনিয়া বলেছিলেন, সততা এবং পরিশ্রম এই দু’টি বিষয় প্রশাসনিক ক্ষেত্রে থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। এই দু’টি ক্ষেত্রে ঠিক থাকলে কেউ আটকাতে পারবে না।

২০০৪ সালে পুলিশ বিভাগে কর্মজীবন শুরু সোনিয়ার। ২৫ বছরের শিক্ষানবিশ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রথমেই পাঠানো হয়েছিল কর্নাটকের গুলবর্গা জেলায়। গুলবার্গ অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য কুখ্যাত। সেখানে তাকে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। গুলবার্গে সোনিয়ার সুষ্ঠু ভোট পরিচালনা পুলিশ মহলের প্রশংসা পায়।

বরাবরই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করানো হয়েছে সোনিয়াকে। প্রতি বারই সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, সসম্মানে উতরেও গেছেন। 

২০০৬ সালের ঘটনার পর তাকে সাম্প্রদায়িক সমস্যাসঙ্কুল বেলগামে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয় । বেলগামের মতো এলাকায় তিনিই ছিলেন প্রথম নারী পুলিশ সুপার। 

দিন রাত এলাকায় ঘুরে ঘুরে সমাজবিরোধীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সোনিয়া। সোনিয়ার এই পদক্ষেপে ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়েছিল বহু অপরাধী।

২০১৩ সালে সরাসরি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসেন সোনিয়া। কর্নাটকে তখন কংগ্রেসের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ১৬ হাজার কোটি টাকার খনি কেলেঙ্কারিতে সোনিয়ার নাম করেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের জবাব সর্বসমক্ষেই দেন সোনিয়া। ২০১৩ সালে তখন তিনি বেঙ্গালুরুর দক্ষিণ শাখার ডেপুটি কমিশনার। বেঙ্গালুরুর ইতিহাসে তিনিই দ্বিতীয় নারী পুলিশ কমকর্তা, যাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি সাধারণত অভিযোগকারী রাজনৈতিক পদাধিকারীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেই মিটিয়ে নেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সোনিয়া কিন্তু সেই পথ ধরেননি।

তিনি প্রকাশ্যে একটি বিবৃতি জারি করে লেখেন, খবরের কাগজ মারফৎ জানতে পেরেছি মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। যে খনি কেলেঙ্কারির দায় তিনি আমার ওপর চাপিয়েছেন তা সত্য নয়। যে সমস্ত এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কোনও দিন আমি দায়িত্বে ছিলামই না। তাহলে আমার নাম আসছে কোথা থেকে। এমনকি আমি খনি দফতরের দায়িত্বেও ছিলাম না কখনও। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের বিরুদ্ধে আমি আইনি পথেই লড়তে চাই। কারণ আমি জানি আমি সৎ।

সোনিয়ার এই উত্তরে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সিদ্দারামাইয়া। আইপিএস হিসেবে সোনিয়ার কর্মজীবনের আরেকটি পালক লোকায়ুক্ত অফিসের দুর্নীতি ফাঁস করে দেওয়া। 

দুর্নীতি দমনের জন্য তৈরি লোকায়ুক্তের অন্দরেই চলছিল দুর্নীতি। সোনিয়ার বদৌলতে তা প্রকাশ্যে আসে। দায়িত্বে থাকা সাবেক বিচারপতি ওয়াই ভাস্কর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। গ্রেফতার হন তার ছেলে ওয়াই অশ্বিনও। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা/বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম হলেন ২ কর্মকর্তা |


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৫ জানুয়ারী, ২০২১, ০৩:২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম

বাংলাদেশ ব্যাংকে পদোন্নতি পেয়ে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হয়েছেন দুই কর্মকর্তা। মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন আনিছুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনিছুর রহমান। সদ্য বিদায়ী বছরের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের কর্মচারী নির্দেশে তাকে মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক পরিসংখ্যান বিভাগে বহাল করা হয়েছে।

আনিছুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ হতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগ, বিনিয়োগ বোর্ডসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

আনিছুর রহমান দাফতরিক কাজে ভারত, ভুটান, চীন, জার্মানি এবং সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির ৩১ ডিসেম্বর তারিখে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে বহাল হন।

এমবিএ ডিগ্রিধারী মো. আবদুল কাদির ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার পদে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন পার্সোনেল ডিপার্টমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ, ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ, কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-১, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এবং সিলেট অফিসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি নেপাল ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করেন। এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক মো. আবদুল কাদির চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর বিশকাটালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম এ
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক