a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের পূর্বাবঞ্চলের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এই নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ডনবাস এবং খারকিভ অঞ্চলের সম্মুখসারিতে রাশিয়ার যুদ্ধ অত্যন্ত কঠিন। রবিবার (২৯ মে) আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানান তিনি।
'আমি ইউক্রেনীয়' লেখা টি-শার্ট পরে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার মনোনিবেশ এখনো রয়েছে সেভেরোদোনেতস্ক, লিসিচাঙ্ক, বাখমুত এবং পোপাসনা শহরে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, 'আমি বিশ্বকে মনে করিয়ে দেবো রাশিয়াকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।' সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের জন্য অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা জানার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে কৌশলগত পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। রুশ বাহিনী তাদের কালুগা অঞ্চলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ‘ইয়ার্স’ নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করে রেখেছে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করার একটি ভিডিও উন্মুক্ত করেছে প্রতিরক্ষা দপ্তর। তাতে বলা হয়, দেশটির ‘কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে।
কালুগা অঞ্চলের কোজেলস্কি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকেন্দ্রের কমান্ডার আলেক্সি সোকোলভ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধের দায়িত্বে থাকবে। এ ছাড়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত থাকবে। এতে কৌশলগত ক্ষেত্রে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা যাবে।
বুধবার ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনে মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের যেকোনো চালান ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে’ এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
এর আগে কিয়েভকে যাতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করা না হয়, সে জন্য পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে সতর্ক করেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠালে সেগুলো রুশ হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহের পদক্ষেপকে ক্রেমলিন একটি উসকানি হিসেবে গণ্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় ১০ মাস পার হয়েছে। সামনেই বড়দিন বা ‘ক্রিসমাস’। এ উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে মস্কো।
যুদ্ধ বন্ধে বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো সংলাপ হচ্ছে না। এখন ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক লড়াই চলছে। পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভসহ গোটা ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামোয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার এ ধরনের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে কিয়েভ। রুশ হামলার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় বর্তমানে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় তাঁরা নিজেদের ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পারছেন না।
ইউক্রেনের এক কর্মকর্তার মতে, সারা দেশে ব্যাপক বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
ছবি: মিনু বেগম ওরফে মিনু পাগলী
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় তিন বছর ধরে বন্দি মিনু বেগম ওরফে মিনু পাগলী। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর পরিবর্তে কারাভোগ করছেন তিনি।
২০১৮ সালের ১২ জুন কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মিনু পাগলীকে কুলসুমী সাজিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করান কুলসুমীর আইনজীবী। সেদিন থেকে কারাবন্দি রয়েছেন মিনু পাগলী।
বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতের নজরে আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য নথি দ্রুত হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁইয়া এই আদেশ দেন।
আদেশ দেওয়ার আগে আদালত দণ্ডিত আসামির ছবির সাথে কারাবন্দি মিনু পাগলীর ছবির গড়মিল দেখতে পান। এ সময় আদালত মিনু পাগলীর বক্তব্য শোনেন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত কুলসুমী ও তার স্বজনরা কীভাবে প্রতারণা করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন তা অবহিত হন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নোমান চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মামলাটি এখন হাইকোর্টের আপিল শুনানিতে থাকায় উপ-নথি পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বিনা অপরাধে অন্যের হয়ে কারাগারে বন্দি থাকা মিনু পাগলীকে আইনি সহায়তা দেওয়া আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, চট্টগ্রাম নগরীর একটি হত্যা মামলার মূল আসামি কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর যাবজ্জীবন হয়। তার পরিবর্তে কারাভোগ করছেন মিনু পাগলী।
আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, ২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল নগরীর কোতয়ালি থানার রহমতগঞ্জ বাংলা কলেজ এলাকায় খুন হন পোশাকশ্রমিক কোহিনুর। কোহিনুরের বাবা নুরুল ইসলাম মামলা করলে ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর একমাত্র আসামি কুলসুমীকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ। এর এক বছর পর ২০০৯ সালের ১৮ জুন জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যান তিনি।
গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, মূল আসামি পলাতক থাকা অবস্থায় মামলার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর কুলসুমীর যাবজ্জীবন সাজা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম।
রায় ঘোষণার প্রায় এক বছর পর ২০১৮ সালের ১২ জুন কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মিনু পাগলীকে কুলসুমী সাজিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করান কুলসুমীর আইনজীবী। সেদিন থেকে কারাবন্দি রয়েছেন মিনু পাগলী।