a
ফাইল ছবি
ইতালি উপকূলে একটি নৌকা থেকে পাঁচ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসা উপকূলে একটি জরাজীর্ণ মাছ ধরার নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৫৩৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের নার্স আলিদা সেরাচিয়েরি জানান, নৌকায় গাদাগাদি করে থাকা লোকজনের মধ্যে তিন জন নারী ও কয়েকটি শিশু ছিল। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার লোকজন রয়েছে। তবে, তাদের সঙ্গে কত জন বাংলাদেশি রয়েছে, তা জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে লিবিয়ায় বন্দি হওয়া কিছু লোকও রয়েছে বলে ইতালির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ভাগ্য বদলের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে ঢুকতে লিবিয়া উপকূল থেকে রওনা দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সমুদ্রপথে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ইতালির লাম্পেদুসা উপকূলে পৌছায়। ইতালির কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। পাঁচ শতাধিক উদ্ধার হওয়া লোকজনের মধ্যে অন্তত ২০ জনের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানান নার্স আলিদা সেরাচিয়েরি। তাদের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।
সেরাচিয়েরি বলেন, তাদের শরীরে পোড়ার ক্ষত এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। কয়েকজন পানিশূন্যতায় চরম দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
ফাইল ছবি
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা নেটওয়ার্কের অর্থনীতিবিদেরা এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করার পর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা সুদের হার আরেক দফা বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
গতকাল রবিবার এ নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে নীতি-নির্ধারকরা অনির্ধারিত এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
অর্থনীতিবিদদের ধারণা, পতনের ঝুঁকি ত্বরান্বিত হতে পারে সুদের হার বাড়ালেই। কারণ, তার ফলে সরকারি বন্ড এবং মর্টগেজ-বন্দকীর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সম্পদের মূল্য কমে যাবে। এতে আমানতকারিদের পক্ষে স্বাভাবিক লেন-দেন চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়তে পারে। এসব কারণেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক সংকটে পড়ে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা নেটওয়ার্কের অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংকের সম্পদের দাম একেবারে তলানিতে যাওয়ার ফলেই বীমাহীন আমানতকারিরা গচ্ছিত অর্থ দ্রুত সরিয়ে ফেলেন এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ১৮৬টি ব্যাংকও অনুরূপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যা ঠেকাতে সঠিক নীতিমালার কোন বিকল্প নেই। অর্থাৎ এসব ব্যাংকের পতন ঠেকাতে বেল আউটের মতো প্রক্রিয়া অবলম্বন তথা ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
অর্থনীতি নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা বলেছেন, ‘কোনো ব্যাংকের আমানতকারিরা যদি খুব দ্রুত তাদের জমানো অর্ধেক অর্থ উইথড্র করেন, তাহলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পতনের ঝুঁকিতে পড়ে।’
রবিবার প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং জায়েন্ট ইউবিএস বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় টালমাটাল অবস্থার অবসানের অভিপ্রায়ে নীতি-নির্ধারকদের সমন্বয়ে একটি চুক্তির আওতায় প্রায় ৩.২৫ বিলিয়ন ডলারে কঠিন সংকটে পতিত ‘ক্রেডিট সুইস ব্যাংক’ কিনে নিচ্ছে। এটি ছিল ইউবিএসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী একটি ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভ এবং আরো ৫টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোমবার থেকে শুরু হওয়া তাদের ডলারের ‘অদলবদল’ ব্যবস্থায় তারল্য বাড়ানোর জন্যে সমন্বিত পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়।
ফেডারেল ব্যাংক অব কানাডা, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ব্যাংক অব জাপান, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারপারসন জেরমি পাওয়েল বুধবার সুদের হার বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। গত বছরের ৮ বার সুদের হার বৃদ্ধির মতো আরেক দফা পদক্ষেপ নেবেন কি না সে সিদ্ধান্ত দেবেন।
জেরমি পাওয়েল ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, প্রত্যাশিত ত্রৈমাসিক শতাংশের চেয়ে বেশি হার বাড়াতে পারেন। কারণ, মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা অনুযায়ী হ্রাস পাচ্ছে না। অপরদিকে শ্রমবাজার শক্তিশালী রয়ে গেছে। তিনি সে ধারণা পোষণ করেছিলেন সিলিকন ভ্যালি এবং সিগন্যাচার ব্যাংক পতনের আগে।
গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার ফার্স্ট রিপাবলিকান ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের ১১টি ব্যাংক থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের জরুরি ঋণ নিয়েছে, আর এটি করা হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের মধ্যস্থতায়।
ফার্স্ট রিপাবলিকান ব্যাংক কর্তপক্ষ দাবি করেছে যে, ঘনঘন সুদের হার বৃদ্ধি করায় ব্যাংকের সম্পদের মূল্য কমেছে। এতে করে আমানতকারিরা ভয় পেয়ে যায় এবং একাউন্ট থেকে অর্থ সরিয়ে নেওয়ায় ব্যাংক পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে।
এদিকে, বাইডেনের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বারবার দাবি করছেন যে, ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই কিন্তু অর্থনীতিবিদেরা দাবি করেন বাস্তবতা ভিন্ন। এর ফলে ছোট ও মাঝারি ধরনের সকল ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা আমানত উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে সশস্ত্র সংঘাত বেড়ে গেছে। দেশটির সবচেয়ে বড় উৎসব স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ঘনঘটার মাঝেই কমপক্ষে ১৫০ জন নিহত হয়েছেন গোলাগুলির ঘটনায়।
গত ৭২ ঘণ্টায় রক্তাক্ত এই সহিংসতা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ৪০০ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন।
গান ভায়োলেন্স দাবি করেছে, তালিকা এখনও সম্পূর্ণ নয়। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারকে সংগঠিত সহিংসতার তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে একাধিক রাজ্যের পুলিশ। স্বাধীনতা দিবসের উৎসবের মাঝে যুক্তরাষ্ট্রে রক্তাক্ত এই সংঘাতের ঘটনা ঘটলো।
সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, শুধু নিউইয়র্কেই শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ২১ জায়গায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৬ জন ভূক্তভোগী হয়েছেন। স্বাধীনতা দিবস ৪ জুলাই ১২ জায়গায় গোলাগুলি হয়েছে। এতে ১৩ জন ভুক্তভোগী হয়েছেন।
গত বছর ২৫টি ঘটনায় গুলি করা হয় ৩০ জনকে। এ কথা জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ বিভাগ। এর মধ্যে ৪ জুলাই ১২টি ঘটনায় গোলাগুলির শিকার হয়েছে ১৩ জন। গত বছর একই দিনে ৮টি ঘটনায় আক্রান্ত হয় ৮ ব্যক্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব জায়গায় গোলাগুলি বেড়ে গেছে বলে জানা যায়।
পুলিশ বলছে, গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ৪০ ভাগ সহিংসতা বেড়েছে। আর ৭৬৭টি ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৫ জন।
শিকাগো পুলিশ সুপার ডেভিড ব্রাউনের মতে, ‘বছরের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সপ্তাহান্ত’ ছিল এবারের স্বাধীনতা দিবস। ৮৩ জন মানুষকে গুলি করা হয় এ সময়, যাদের মধ্যে নিহত হয় ১৪ জন। এর মধ্যে ৫ ও ৬ বয়সী মেয়ে শিশুও রয়েছে। আছে সেনা সদস্যও।
এ ছাড়া আটলান্টা, ভার্জিনিয়া, ডালাসসহ একাধিক এলাকায় সংগঠিত সহিংসতার তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো।