a
ফাইল ছবি
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র নৌ বিভাগের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাঙ্গসিরি বলেছেন, ইরানের পানিসীমায় প্রবেশের কোনো অধিকার আমেরিকার নেই। ভবিষ্যতেও অতীতের মতোই তাদেরকে মোকাবেলা করা হবে।
তিনি আরও বলেছেন, ইরানের সাহসী তরুণেরা সব সময় মাতৃভূমির সম্মান রক্ষায় আত্মত্যাগ করেছে। আজ যারা সাগরে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলছে তারা শহীদদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে।
আলী রেজা তাঙ্গসিরি বলেন, শত্রুর মোকাবেলায় প্রতিরোধের শিক্ষা নিতে হবে শহীদদের কাছ থেকে। আল্লাহর রহমতে ইরানের ইসলামী যোদ্ধারা পারস্য উপসাগরে মার্কিনীদেরকে শক্ত চপেটাঘাত করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের অহংকার চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছে।
ইতিপূর্বে কয়েকবার সাগরে মার্কিন বাহিনীকে মোকাবেলা করে বিজয়ী হয়েছে ইরানিরা। সর্বশেষ গত ৩ নভেম্বর ওমান সাগরে ইরানের তেলবাহী একটি জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় মার্কিন বাহিনী। কিন্তু ইরানের নৌ বাহিনী তাদের সেসব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ফটো:ফারাক্কা বাঁধ
ভারতের বিহার রাজ্যের পানিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝা অভিযোগ করেন, ফারাক্কা বাঁধের ত্রুটিযুক্ত নকশার ফলে বর্ষার সময় রাজ্যে বন্যা হয় এবং বছরের বাকি সময়গুলোতে প্রচন্ড খরা হয়। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফারাক্কার পানিবণ্টন চুক্তিরও সমালোচনা করেন।
গতকাল শনিবার হিন্দুস্থান টাইমস এ খবর প্রকাশ পায়। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাঁধের ফটকগুলোতে গঙ্গার পলিমাটি জমে বিহারে সৃষ্ট বন্যা হওয়ায় ফারাক্কা বাঁধকে দায়ী করা হয়েছে।
শুক্রবার এক সেমিনারে ঝা বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের ত্রুটিযুক্ত নকশার ফলে নদীর তলদেশে ভারি পলি জমে যায় এবং বৃষ্টির সময় নদীর তীর ধরে সমগ্র অঞ্চল প্লাবিত হয়।
বর্ষার পর বিহারের নদীগুলোকে গঙ্গায় ১৪০০ কিউসেক পানি সরবরাহ করার কথা, কিন্তু পলি মাটি জমা হওয়ার ফলে পানি প্রবাহিত না হয়ে নদীর বন্যা তৈরি হচ্ছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: সুপারিশকৃত ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বঞ্চিত এস.আই ও সার্জেন্ট প্রার্থীদের চাকুরীতে যোগদানে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নিয়োগ বঞ্চিত ৭৫৭ পুলিশ এস আই ও সার্জেন্টবৃন্দ। আজ সকালে রাজধানীর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে কান্না বিজারিত এবং আবেগ ঘন মুহূর্ত নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশে নিয়োগ বঞ্চিত এই সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য দিয়ে সকল সদস্যদের পক্ষে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, জনপ্রশাসন, পুলিশ সদর দপ্তর এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশকৃত ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বঞ্চিত এস.আই ও সার্জেন্ট প্রার্থীদের চাকুরীতে যোগদানে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের দাবীতে আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমরা ২০০৬ সালে চূড়ান্ত নির্বাচিত ও ২০০৭ সালে নিয়োগ বঞ্চিত এস.আই ও সার্জেন্ট প্রার্থীগণ অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
২০০৬ সালে চূড়ান্ত নির্বাচিত ৫৩৬ জন এস.আই ও ২২১ জন সার্জেন্টকে তৎকালীন আই.জি.পি নূর মোহাম্মদ ও ডি.আই.জি বেনজির আহমেদ মহোদয় কোন প্রকার নোটিশ প্রজ্ঞাপন ব্যতিরেকে শুধুমাত্র একটি সাদা কাগজে নোটের মাধ্যমে শুধুমাত্র দলীয় ট্যাগে ঢালাওভাবে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধভাবে বাতিল ঘোষণা করে।
তৎকালীন সময়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েও সুবিচার থেকে বঞ্চিত হই। সুদীর্ঘ ১৮ বছর তৎকালীন ফ্যাসিষ্ট সরকার হাসিনার আমলেও আমরা কোন প্রকার সুবিচার পাইনি বরং নানাভাবে দমন-পীড়নের স্বীকার হয়েছি।
বিগত ৫ আগষ্ট ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনীতির আকাশে ঘনকালো মেঘ ভেদ করে নতুন ভোরে নতুন সূর্য উদীত হলে আবারও আমরা নতুন করে, নতুন আশার আলো দেখতে পাই। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনর্বহালে উপস্থিত ৩৩০ জনের একটি তালিকাসহ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সুপারিশক্রমে একটি আবেদন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব(পুলিশ) যুগ্মসচিব (জনপ্রশাসন), যুগ্মসচিব (আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়) এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ডি.আই.জি (অ্যাডমিন) পদমর্যাদার উচ্চপর্যায়ের ৬ সদস্যের কমিটি তৎকালীন আই.জি.পি নুর মোহাম্মদ ও ডি.আই.জি বেনজির আহম্মেদ মহোদয়ের সাদা কাগজের বাতিল আদেশটি বাতিল করে আমাদের নিয়োগ পুনর্বহালের সুপারিশ গত ০৭/০৫/২০২৫ইং তারিখে প্রদান করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডঃ আসিফ নজরুল স্যারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সবদিক যাচাই-বাছাই করে, এই বিষয়ে একটি Legitimate Expectation তৈরী হয়েছে। সেকারণে, ২০০৬ সালের বাতিলকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা নিয়োগের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে বলে গত ২৩/০৪/২০২৫ইং তারিখে মতামত প্রদান করা হয়।
আমাদের নিয়োগ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপটি ৬ মাস ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। অথচ আমরা ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার দ্বারা বিগত ১৮ বছর বৈষম্যের স্বীকার হয়ে এখনও বৈষম্যমুক্ত মানবিক নতুন বাংলাদেশে আমাদের সারসংক্ষেপ অনুমোদনের অপেক্ষায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছি।
আমাদের দাবী, বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশে মানবিক সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট আন্তরিক শ্রদ্ধা রেখে বিনয়ের সহিত বলতে চাই-- ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বঞ্চিত ৭৫৭ জন এস.আই সার্জেন্টদের জেষ্ঠতাসহ বয়স ট্রেনিংকালীন সময় প্রমার্জনা করে অনতিবিলম্বে চাকরিতে যোগদানের অনুমতি প্রদান করে দেশ তথা রাষ্ট্রীয় সেবায় অংশগ্রহণের আদেশ প্রদান করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনের অনুরোধ করছি।