a ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ইব্রাহীম রাইসি
ঢাকা বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ইব্রাহীম রাইসি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১, ১০:১৪
ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ইব্রাহীম রাইসি

ফাইল ছবি । ইব্রাহীম রাইসি

ইব্রাহীম রাইসি, যিনি ২০১৭ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তবে এবার তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন জরিপে তার নাম উঠে আসছে যে, দেশটির আগামীর প্রেসিডেন্ট তিনিই হতে যাচ্ছেন। 

বর্তমান ইরানের প্রধান বিচারপতি এই ইব্রাহিম রাইসি। ৬০ বছর বয়সী রাইসি দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের  অন্যতম। 

ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং রাইসির জন্ম একই স্থানে, অর্থাৎ দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে। খামেনির মতো না হলেও দেশটির সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের কট্টরপন্থীমহলে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।

খামেনির মতো রাইসিরও দাবি, বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদের (সঃ) বংশধর তিনি। বিশ্বনবীর রক্তসম্পর্কিত উত্তরাধিকার হওয়ার কারণে সবসময় কালো রঙের পাগড়ি পরেন তিনি। তবে ইরানের গণতন্ত্রপন্থী বলয়ে তার জনপ্রিয়তা তেমন নেই।

২০১৯ সালে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে রাইসিকে নিয়োগ দেন খামেনি। এরপর ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ দেন খামেনি। এ পদে থাকার সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়ে রাইসির।

রাইসি রাজনৈতিক দিক থেকে শিয়া ইসলামি কট্টরপন্থার সমর্থক। দেশের গণতন্ত্রপন্থীদের পাশাপাশি  তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য দেশগুলোরও কঠোর সমালোচক। তবে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি খারাপ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের বিষয়ে সুর নরম বলে ধারণা করা হয়। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট  

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

'ইরানিদের প্রতিটি ভোট শত্রুদের কাছে একেকটি ক্ষেপণাস্ত্র'- আইআরজিসি'র প্রধান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১, ০৭:৪২
'ইরানিদের প্রতিটি ভোট শত্রুদের কাছে একেকটি ক্ষেপণাস্ত্র'-আইআরজিসি'র প্রধান

ফাইল ছবি

ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরানিদের প্রতিটি ভোট শত্রুদের কাছে যেন একেকটি ক্ষেপণাস্ত্র। আজ শুক্রবার তেহরানে নির্বাচনে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে এসব কথা বলেন।

জেনারেল সালামি আরও বলেছেন, ইরানের শত্রুরা এবারের নির্বাচনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের স্টাইলে ওঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু ইরানের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে শত্রুদেরকে জবাব দিচ্ছে। একেকটি ভোট শত্রুর ওপর একেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আঘাত হানছে, এ যেন শত্রুদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র-বৃষ্টি।

তিনি বলেন, ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শত্রুদের সব অসৎ চিন্তা ও পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেবে। আইআরজিসির প্রধান বলেন, নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা পুলিশ বাহিনীকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।

আজ ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি সিটি কাউন্সিলসহ স্থানীয় পরিষদের মূল নির্বাচন, পার্লামেন্ট ও বিশেষজ্ঞ পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটগ্রহণও চলছে।

সকাল ৭টা থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ভোটার উপস্থিতি বেশি হলে প্রয়োজনে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে জানানো হয়েছে। সূত্র: বিডিপ্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ব্যাংক থেকে লোন নিন, জমি বিক্রি বাদ দিন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ১৫ আগষ্ট, ২০২১, ১১:৪৮
ব্যাংক থেকে লোন নিন, জমি বিক্রি বাদ দিন

সংগৃহীত ছবি

জমি বিক্রি নয় বা এনজিও থেকে উচ্চ সুদে ঋণও নয়। এমনকি আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকেও ঋণ নেওয়ার দরকার নেই। কাজের জন্য বিদেশে যেতে আপনাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বসে আছে ব্যাংক। একটি-দুটি ব্যাংক নয়, সরকারি-বেসরকারি অন্তত সাতটি ব্যাংক বিদেশে যেতে আপনাকে ঋণ দিচ্ছে।

মজার বিষয় হচ্ছে, ঋণের টাকার বিপরীতে ব্যাংকের কাছে কোনো জায়গা-জমিও বন্ধক রাখতে হবে না। তবে বিদেশে যেতে ঋণ দেওয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক। ২০১১ সালে ব্যাংকটি গঠনই করা হয় এ উদ্দেশ্যে।

এ ব্যাংকের পাশাপাশি যেসব ব্যাংক বিদেশে যেতে ঋণ দিচ্ছে, তাদের মধ্যে সোনালী, অগ্রণী, পূবালী ও এনআরবি ব্যাংক অন্যতম। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকও সম্প্রতি বিদেশে যেতে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশে ১ কোটি ২৫ লাখ বাংলাদেশি লোক রয়েছেন।

প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা ও প্রভাব নিয়ে তৈরি ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী তাঁদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ দক্ষ, ৬২ শতাংশ অদক্ষ এবং ৩৬ শতাংশ আধা দক্ষ। এক শ্রেণির আদম ব্যাপারী নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ নিয়ে বিদেশে শ্রমিক পাঠান। অনেক সময় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শ্রমিকদের পাঠানো হয়,

যাঁরা বিদেশে গিয়ে পরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। প্রতিবেদনে তাই ঋণ আবেদনের দীর্ঘসূত্রতা কমানো এবং ঋণ আদায়ে তদারকি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

কারা ঋণ পাবেন: ভিসা পাওয়ার পর ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর আবেদন করতে হবে। বিদেশে কাজ করার জন্য যাঁরা ভিসা পেয়েছেন,

তাঁরাই পাবেন এ ঋণ। অর্থাৎ ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে। ব্যাংক কোনো ভিসা পাইয়ে দেবে না। ঋণও দেওয়া হবে ভিসার মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে। ঋণ ও সুদ: সরকারি ব্যাংকগুলো ১ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ দিয়ে আসছে। আর ঋণের মেয়াদ সাধারণত ২ বছর।

গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে আরও দুই মাস। সব মিলিয়ে ঋণ দেওয়া হচ্ছে ২৬ মাসের জন্য এবং সুদের হার ৯ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলো অবশ্য ঋণ দিচ্ছে ১ থেকে ৩ বছর মেয়াদি। এ ব্যাংকগুলো সুদ নেয় ১২ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত।

তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো বিদেশে গিয়ে পৌঁছানোর তিন মাস পর থেকে কিস্তি নেওয়া শুরু করে। অবশ্য সব ব্যাংকেরই ঋণের শর্ত ও অনুমোদনপ্রক্রিয়া প্রায় একই রকম।

ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরিশাস, ওমান, কাতার, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া—এসব দেশের ক্ষেত্রে দুই বছর, শুধু সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে এক বছর। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: বৈধ ভিসার পাশাপাশি বিদেশগামী কর্মীকে যে কোম্পানি কাজ দেবে বা নিয়োগ করবে,

সেই কোম্পানির নিয়োগপত্র লাগবে। লাগবে আবেদনকারীর সত্যায়িত তিন কপি ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানাসংবলিত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ,

পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। আরও লাগবে স্থানীয় বা ঘনিষ্ঠ এক বা একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিগত জামিননামা। এই জামিননামা সম্পত্তি বন্ধকের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। আবেদনকারীর মতো জামিনদারদের ছবি, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ,

পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হয়। এ ছাড়া যে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) আসবে, সেই ব্যাংকের সঙ্গে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে।

ঋণ পরিশোধ: সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছর। বিদেশে যাওয়ার পরে দুই বছরে ২৪ কিস্তি বা তিন বছরে বা ৩৬ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

প্রতি মাসে কিস্তি দিতে হবে একটি করে। এ ব্যাংক এক অঙ্কের সরল সুদ নেয়। অগ্রণী ব্যাংকও এক অঙ্ক সুদ নেয়, তবে ঋণ পরিশোধ করতে হয় দেড় বছরে। পূবালী ব্যাংক আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিলেও পরিশোধের মেয়াদ ২ বছর। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকসহ অন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে ১২, ২৪ ও ৩৬ মাসিক কিস্তিতে তা পরিশোধের ব্যবস্থা রেখেছে। বিদেশে যাওয়ার ৩ মাস পর থেকে ঋণের মাসিক কিস্তি শুরু হয় এ ব্যাংকের।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক