a ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ইব্রাহীম রাইসি
ঢাকা রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ইব্রাহীম রাইসি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১, ১০:১৪
ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ইব্রাহীম রাইসি

ফাইল ছবি । ইব্রাহীম রাইসি

ইব্রাহীম রাইসি, যিনি ২০১৭ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তবে এবার তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন জরিপে তার নাম উঠে আসছে যে, দেশটির আগামীর প্রেসিডেন্ট তিনিই হতে যাচ্ছেন। 

বর্তমান ইরানের প্রধান বিচারপতি এই ইব্রাহিম রাইসি। ৬০ বছর বয়সী রাইসি দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের  অন্যতম। 

ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং রাইসির জন্ম একই স্থানে, অর্থাৎ দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে। খামেনির মতো না হলেও দেশটির সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের কট্টরপন্থীমহলে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।

খামেনির মতো রাইসিরও দাবি, বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদের (সঃ) বংশধর তিনি। বিশ্বনবীর রক্তসম্পর্কিত উত্তরাধিকার হওয়ার কারণে সবসময় কালো রঙের পাগড়ি পরেন তিনি। তবে ইরানের গণতন্ত্রপন্থী বলয়ে তার জনপ্রিয়তা তেমন নেই।

২০১৯ সালে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে রাইসিকে নিয়োগ দেন খামেনি। এরপর ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ দেন খামেনি। এ পদে থাকার সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়ে রাইসির।

রাইসি রাজনৈতিক দিক থেকে শিয়া ইসলামি কট্টরপন্থার সমর্থক। দেশের গণতন্ত্রপন্থীদের পাশাপাশি  তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য দেশগুলোরও কঠোর সমালোচক। তবে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি খারাপ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের বিষয়ে সুর নরম বলে ধারণা করা হয়। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট  

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রুশ তেল নিয়ে ইইউ’র প্রশ্নের মুখে ভারতের কড়া জবাব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩, ১০:০৭
রুশ তেল নিয়ে ইইউ’র প্রশ্নের মুখে ভারতের কড়া জবাব

ফাইল ছবি: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া থেকে কম মূ্ল্যে তেল আমদানি করছে ভারত।

বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বারবারই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতকে। সবশেষ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের চলতি ব্রাসেলস সফরে বিষয়টি ফের সামনে আসে। এ সময় রুশ অপরিশোধিত তেল থেকে ভারতীয় পরিশোধিত তেলজাত পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান জোসেফ বোরেল। এরপরেই তার কড়া জবাব দিয়ে জয়শঙ্কর তাকে কার্যত ইউরোপীয় কাউন্সিলের নিয়মকানুনের পাঠ পড়িয়ে শুনান।

জোসেফ বোরেলের প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিধানগুলো দেখুন। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, রুশ অপরিশোধিত তেল তৃতীয় কোনো দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হলে তাকে আর রুশ তেল হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।

রাজনৈতিকভাবে বিতর্ক হলেও আমদানি-রফতানির জন্য বিদেশি মুদ্রার আয়-ব্যয়ের ঘাটতি বা ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ ভারত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে রাশিয়া থেকে এই তেল আমদানির জন্যই। কারণ, কম বিদেশি মুদ্রা খরচে রাশিয়া থেকে তেল কিনে তাকে শোধন করে, একটা বড় অংশ বিদেশে রফতানি করে বিদেশি মুদ্রা আয়ও হয়েছে।

বেলজিয়ামের রাজধানীতে এক বাণিজ্য-প্রযুক্তি আলোচনায় যোগ দেন জয়শঙ্কর। তার সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কেন্দ্রীয় উদ্যোগ, দক্ষতা উন্নয়ন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।  ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোসেফ বোরেলও।

বৈঠকের আগেই এক সাক্ষাৎকারে বোরেল বলেছিলেন, ভারত রুশ তেল কেনে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তারা রুশ তেল থেকে তৈরি ডিজেলের মতো পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য ইউরোপে বিক্রি করবে, এটা ঠিক নয়। এর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এর জবাব দেন জয়শঙ্কর। সেই সময়ে অবশ্য বোরেল ছিলেন না। তার জায়গায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত কমিটির কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি মার্গ্রেথ ভেস্টেগার। জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার আইনগত ভিত্তি সম্পর্কে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারত বন্ধু। বন্ধু হিসেবে এই নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। পরস্পরকে দোষারোপ করা ঠিক নয়।

এর আগে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি করা নিয়েও আপত্তি তুলেছিল ইইউ। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কমানোর জন্য নয়াদিল্লিকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা ধারাবাহিক ভাবে চলছে। তখনও রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির পক্ষে কঠোর যুক্তি দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ইউরোপ এক বিকালে যে পরিমাণ তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে, ভারত তা করে এক মাসে। ভারতের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোর রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক বেশি, সে সময় তথ্য পেশ করে দেখিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

হিজবুল্লাহ রাশিয়ায় প্রতিনিধি অফিস খুলবে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বুধবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:০৩
হিজবুল্লাহ রাশিয়ায় প্রতিনিধি অফিস খুলবে

ফাইল ছবি

লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ তাদের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক অফিস রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে খুলবে। গত মাসে হিজবুল্লাহ একটি প্রতিনিধিদল এবং সেই সময় দু'পক্ষের বৈঠকটিতে বিষয়টি নিয়ে গভীর আলোকপাত করা হয়। 

গত বছর ১৫ মার্চ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ হিজুবল্লাহর প্রতিনিধিদলকে মস্কোয় স্বাগত জানিয়েছিলেন। হিজবুল্লাহর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতা ও সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ রা’দ। 

রাশিয়ার অনুরোধেই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা যায় এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে আগে যে বৈঠক হয়েছিল তার চেয়ে এবারের বৈঠক তুলনামূলক তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। পাশাপাশি এর দ্বারা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, হিজবুল্লাহ সংগঠনকে রুশ সরকার একটি স্বাধীন শক্তি হিসেবে ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক