a
ফাইল ছবি
আফগান সেনাবাহিনীর সদস্যরা জীবন বাঁচাতে সাজোয়া যানসহ বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ইরানের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল। মার্কিন বাহিনী দেশটি ছেড়ে যাওয়ার পর সেই অস্ত্রগুলো তালেবানের কাছে হস্তান্তর করেছে ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘আমওয়াজ মিডিয়া’র বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে দীর্ঘ ২০ বছরের মার্কিন দখলদারিত্বের অবসান ঘটে।
কাবুল দখলের আগে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য একের পর এক দখল করে নেয় তালেবান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
এর আগে যখন বিভিন্ন প্রদেশ তালেবান দখল করছিল, তখন জীবন বাঁচাতে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আফগানিস্তানে সীমানা পেরিয়ে ইরানে ঢুকে পড়েছিল আফগান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে সেই অস্ত্রগুলো জব্দ করেছিল ইরানের সেনাবাহিনী।
ফাইল ছবি
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর হাতে এক লাখের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে জানা গেছে। এতে ভয়ঙ্কর নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল। কারণ এসব ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ইহুদিবাদী দেশটির যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম।
ইসরায়েলের হিব্রু ভাষার ‘ইসরায়েল হাইয়ুম’ নামের পত্রিকাটি এমন আতঙ্কের খবর প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে হলে ইসরায়েলকে বহু পথ মাড়াতে হবে।
যদিও আঞ্চলিক রাজনীতিতে হিজবুল্লাহর প্রভাব ও ভূমিকার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল বহুমুখী সামরিক সংঘাতের প্রস্তুতি জোরদার করেছে। তাতেও ইসরায়েলের সরকার মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে এবং সামরিক শক্তির অভাববোধ।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ৩৩ দিনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে পত্রিকাটি বলেছে, অধিকৃত ভূখণ্ড এখন এক লাখের বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি গাজা থেকে যুক্ত হবে আরো হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
আফগান থেকে নিজেদের সেনাবাহিনী পুরোপুরি গুটিয়ে নেয়ার জন্য তালেবানের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সমঝোতা অনুযায়ী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বছরের মে মাসের মধ্যে মার্কিনিদের আফগানিস্তান ছাড়ার কথা দিয়েছিলেন।খবর বিবিসির।
কিন্তু নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। বাইডেন এ-সংক্রান্ত নতুন ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। এতে তিনি আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিতে পারেন বলে পেন্টাগন সূত্র জানিয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
‘নাইন–ইলেভেন’ নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ২০ বছর পূর্তির আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। ২০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য আহত হয়েছেন।
আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ আফগানিস্তান থেকে অন্যত্রও বিস্তৃত হয়। তবে শুধু আফগানিস্তানেই যুদ্ধ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার। প্রাণহানি, বিপুল ব্যয়—এসবে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ অনেক ক্ষুব্ধ।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে যুদ্ধবিরোধী মিছিল-সমাবেশ পর্যন্ত হয়েছে অনেক বার। তাদের আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠতে দেখা গেছে।
আফগান যুদ্ধ পুরোপুরি গুটিয়ে আনার জন্য তালেবানের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সমঝোতা অনুযায়ী, সব মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। আর তালেবান আবার দেশটি রাজনীতিতে ফিরে আসবে।