a ইসরাইলের মিডিয়ায় হিজবুল্লাহ নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইসরাইলের মিডিয়ায় হিজবুল্লাহ নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১, ১০:২৫
ইসরাইলের মিডিয়ায় হিজবুল্লাহ নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ

সংগৃহীত ছবি

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ নিয়ে ইসরাইলের গণমাধ্যম বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ করেছে। ইহুদি গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর কাছে বর্তমানে দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে হিজবুল্লাহ প্রতিদিন ইসরাইলে এক হাজার থেকে তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে।

হিজবুল্লাহ-ইসরাইল যুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইসরাইলের গণমাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইসরাইলের বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম ওয়ালার খবরে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর গত ১৫ বছরে হিজবুল্লাহ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ অনেক বাড়িয়েছে। তাদের অস্ত্রাগারে ২০০ কিলোমিটার পাল্লার গাইডেড মিসাইল রয়েছে। এছাড়া হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলোর পাল্লা ৪০০ কিলোমিটারের বেশি।

ইসরাইলের ইংরেজি দৈনিক হারেৎজের খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ প্রকল্পে ইসরাইলি বার বার হামলা সত্ত্বেও সংগঠনটি এ ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। তারা নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে এতটাই এগিয়েছে যে, ইসরাইলের নিরাপত্তা বিভাগগুলো এখন তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে। 

দুই বছর আগে ইসরাইলের সামরিক বিশ্লেষক অমোস হারয়েল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসরাইল আবারও লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ইসলামী এই প্রতিরোধ আন্দোলন উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ ইসরাইলের সব অবকাঠামোই ধ্বংস করার সক্ষমতা রয়েছে। ইসরাইল কমান্ডার গুই যুর এর মতে-হেজবুল্লাহ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গেরিলা যোদ্ধা।

গত বছরের শেষ দিকে হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, তাদের নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে এবং ইসরাইলের যেকোনো স্থানে তারা হামলা চালাতে সক্ষম।

২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ইসরাইল যুদ্ধঃ
২০০৬ সালের জুলাই মাসে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে ১২ জুলাই যুদ্ধ শুরু হয়ে তা ২০০৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। এই সংঘর্ষে ১৩’শ জন লেবানিজ এবং ১৬৫ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছিল।

এই যুদ্ধে ইসরাইলের গর্ব বেশ কয়েকটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস হয়। এ ট্যাংক গুলোকে তারা বিশ্বের সেরা ট্যাংক হিসেবে দাবি করতো।

১৪ আগষ্ট আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি হয়। ইসরাইল সরকার সামান্য মিলিশিয়াদের কাছে পরাজয়ের জন্য নিজ দেশের জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের পদত্যাগের দাবি ওঠে। হিজবুল্লাহ লেবানিজদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ভারতের একাধিক শহরে আত্মঘাতী হামলার হুমকি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৮ জুন, ২০২২, ১১:৪৩
ভারতের একাধিক শহরে আত্মঘাতী হামলার হুমকি

ফাইল ছবি

মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারতের একাধিক শহরে আত্মঘাতী হামলার  হুমকি এসেছে। এই হুমকির পর ভারতের ক্রেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন শহরে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। খবর: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ জুন আত্মঘাতী হামলা চালানোর হুমকি সংবলিত একটি চিঠি দিয়েছে আল-কায়েদা। তারা জানায়, নবী মুহাম্মদেরর সম্মানের জন্য এই লড়াই। দিল্লি, মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে। এই হুমকির পর ভারতের ক্রেন্দ্রীয় সরকার শহরগুলোতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে।

চিঠিতে লেখা রয়েছে, কয়েক দিন আগে হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা আল্লাহর শরিয়ার বিরোধী। মুহাম্মদ আল-মুস্তাফা, আহমেদ আল-মুজতবা এবং তার পবিত্র ও মহান স্ত্রী, সবার আস্থার সায়িদা আয়েশা বিন্তে আবু বকর সিদ্দিকের নামে ভারতীয় চ্যানেলে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় অপমান করা হয়েছে। এর কারণে বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিমের হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে। তাদের মন প্রতিহিংসায় পরিপূর্ণ হয়েছে। এর বদলা অবশ্যই নেওয়া হবে।

চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, বিশ্বের সমস্ত উদ্ধত, বেয়াদব মুখ বিশেষ করে হিন্দুত্ব সন্ত্রাসী যারা ভারতকে কব্জা করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে লড়ব আমরা। নবীর সম্মানের জন্য সবাইকে এই লড়াইয়ে শামিল হতে বলব।

ভারতের আলোচিত জ্ঞানবাপী মসজিদ ইস্যুতে গত মাসে এক টেলিভিশন টকশোতে মহানবী (সা.) প্রসঙ্গে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা। এ ঘটনা উত্তর প্রদেশের মুসলিমদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। বৃহস্পতিবার নুপুর শর্মাকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে টুইট করেন রাজ্য বিজেপির অপর নেতা নবীন কুমার জিন্দাল। যদিও পরে সেই টুইট মুছে ফেলেন তিনি।

এদিকে, এ ঘটনার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর উত্তর প্রদেশের কানপুর জেলায় দুটি গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে দাঙ্গা হয়েছে। এতে পুলিশের ২০ কর্মকর্তাসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার পুলিশ সহিংসতার এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত হিসেবে ৪০ জনের ছবি প্রকাশ করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও ও ছবি থেকে সন্দেহভাজনদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সহিংসতার পর দেড় হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিল কানপুর পুলিশ। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত জাফর হায়াতসহ ৫০ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নবীকে (সা.) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রবিবার নুপুর শর্মাকে দল থেকে বরখাস্ত এবং জিন্দালকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। এরপরও বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মুসলিম বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ ও তোপের মুখে পড়েছে ভারত। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্তত ১৬টি দেশ ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এসব দেশ ভারত ও বিজেপি সরকারের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দেশটিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জুলাই বিপ্লবের আহত যোদ্ধাদের পাশে এ এস এম আব্দুল হালিম


রিয়াদ, সিনিয়র রিপোর্টার, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৪০
জুলাই বিপ্লবের আহত যোদ্ধাদের পাশে এ এস এম আব্দুল হালিম

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

রিয়াদ, ইসলামপুর, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন: গত বছরের জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট শাসক হাসিনা সরকারের পতনের দাবিতে ছাত্র ও জনতার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হামদে রাব্বি আকরাম ও গণমাধ্যমকর্মী রিয়েল রোমান-এর চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব জনাব এ এস এম আব্দুল হালিম।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক আহত দুই যোদ্ধার হাতে তুলে দেন চেয়ারম্যান মহোদয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, "জুলাই বিপ্লবে ছাত্র ও জনতার আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আশার আলো দেখেছে। প্রকৃত স্বাধীনতার মূল মন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ এগিয়ে চলছে। এই যুদ্ধে নিহত ও আহতদের প্রতি আমাদের সবার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।"

এ এস এম আব্দুল হালিম আরও বলেন, "রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও জুলাই বিপ্লবে আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। এটি মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব।"

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক