a
ফাইল ছবি
ইসরাইলকে ফিলিস্তিনিদের পানির উৎস কেড়ে নেওয়া বন্ধ করতে বললেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
আন্তর্জাতিক পানি দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেওয়া এক ভাষণে তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। খবর ইয়েনি সাফাকের। আব্বাস ফিলিস্তিনি জনগণের জীবন নিয়ে এভাবে বর্বর আচরণ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগের অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বনেতৃবৃন্দকে ফিলিস্তিনি জনগণের পানির উৎসগুলো ইসরাইলের দখল থেকে রক্ষা করতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান এবং তিনি দ্রুততম সময়ে এ বিষয়ে সমাধান চান। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের জনসংযোগে গিয়ে এক ব্যক্তির হাতে থাপ্পড় খাওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশটিতে। এ বিষয়ে এতোদিন মুখ না খুললেও এবার মুখ খুলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এ বিষয়ে ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, “গণতন্ত্রে ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ আছে, তবে নির্বুদ্ধিতার সাথে সহিংসতা যুক্ত হলে তাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। আমি বরাবরই সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। অনেক সময়ই তারা ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করেন।”
ম্যাকরন জানান, তার চলমান জনসংযোগ কর্মসূচিতে এ ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সব দলের আইনপ্রণেতারা ওই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স এ বিষয়ে বলেন, দেশের প্রধানের ওপর হামলার অর্থ হল গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। গণতন্ত্রের অর্থ হল বিক্ষোভ, বিতর্ক, আর আলোচনার মাধ্যমে মতামত আদান-প্রদান। মতভেদ থাকতে পারে। সেটা জানানোর বৈধ উপায়ও আছে। কোনোভাবেই মৌখিকভাবে হেনস্তা বা শারীরিক আঘাত গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে দেশটির একটি বামপন্থী দলের আইনপ্রণেতা আদ্রিয়েন কোয়াটেনেন্স এ বিষয়ে বলেন, যে হামলার শিকার হয়েছেন ম্যাকরন তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। গণতন্ত্রে যে কোনো সমস্যা আলোচনা আর ব্যালটের মাধ্যমে সমাধান করতে হয়। সহিংসতার মাধ্যমে নয়।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের ড্রোম প্রদেশের ছোট শহরটির রেঁস্তোরা ও স্কুল পরিদর্শনের পর প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন অপেক্ষমান সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময়ে এগিয়ে গেলে হঠাৎই তাকে চড় মেরে বসেন এক ব্যক্তি। তার দেহরক্ষীরা ঘটনাটি দ্রুত সামলে নিলেও মুহূর্তের মধ্যেই ওই দৃশ্যটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ফাইল ছবি
এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় আলজাজিরা, এপি, মিডল ইস্ট আইসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের ব্যবহার করা একটি ভবনে হামলা করেছে ইসরাইল।
আজ শনিবার ১২তলা বিশিষ্ট আল-জালা ভবনটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে হায়েনা ইসরাইলি বাহিনী।
এর আগে ইসরাইলি বাহিনী আলজাজিরা টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য মিডিয়ার স্থানীয় অফিসকে বিমান হামলা থেকে বাঁচতে অবরুদ্ধ গাজার এ অফিসটি থেকে সরে যেতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। আলজাজিরা লাইভ আপডেটে এসব কথা জানানো হয়।
আলজাজিরার প্রতিনিধি জানান, তারা গত ১৫ বছর যাবত এ অফিসটি ব্যবহার করে আসছিলেন। তারা অফিসটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর্কাইভ এবং যন্ত্র ও সরঞ্জামাদি স্থানান্তর করতে পারেননি।
আলজাজিরা ভবন মালিক ও ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার সাথে তাদের কথোপথনও প্রচার করা হয়েছে, যেখানে তারা মালামাল স্থানান্তরে আরো সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অনেক সাংবাদিক ইসরাইলি বোমাবর্ষণ ও স্বল্প সময়ের নোটিশের কথা উল্লেখ করার বিষয়টি টুইটে আপডেট দিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র : মিডিল ইস্ট আই